বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ০২:৩০ মিনিট


পোস্ট ফটো

দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতি, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ যা দ্রুত অগ্রগতি করছে। গত কয়েক দশকে, বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতি হয়েছে, এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এই অগ্রগতির ফলে, বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে।


বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি এই দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনার একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২%, যা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম। এই প্রবৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পোশাক রপ্তানি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। বাংলাদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায়ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.৭%, যা ১৯৭১ সালের ২২.৬% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের শিশু মৃত্যুহার ১৯৭১ সালের ১৪৩ জন প্রতি ১,০০০ জন থেকে ২০২২ সালের ৩৪ জন প্রতি ১,০০০ জনে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এটি বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। এছাড়াও, বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে।


বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা সত্ত্বেও, কিছু সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ রয়েছে যা মোকাবেলা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে: দারিদ্র্য এবং বৈষম্য:

বাংলাদেশ এখনও দারিদ্র্য এবং বৈষম্যের সমস্যায় ভুগছে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও টেকসই এবং সমতাভিত্তিক করে তুলতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশকে একটি বড় হুমকি। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।


বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যত নিশ্চিত করার জন্য, দেশটিকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে হবে:

          ১. অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে আরও টেকসই এবং সমতাভিত্তিক করে তোলা।

         ২. জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া।

         ৩. মানুষের ক্ষমতায়ন এবং উন্নয়নকে উৎসাহিত করা।


বাংলাদেশের অর্থনীতি গত কয়েক দশকে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.২%, যা বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম। এই বৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পোশাক রপ্তানি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, এবং অবকাঠামো উন্নয়ন। বাংলাদেশের অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধির পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলি হল:

পোশাক রপ্তানি: বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পোশাক রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতির বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি: বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের কৃষি খাত থেকে জিডিপির ১২% অবদান এসেছে। কৃষি উৎপাদনের বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখছে।

অবকাঠামো উন্নয়ন: বাংলাদেশ সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগের ফলে, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, এবং শিল্প-কারখানা উন্নত হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছে।


পোশাক রপ্তানি

পোশাক রপ্তানি বাংলাদেশের অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রপ্তানি থেকে দেশের জিডিপিতে প্রায় ১৫% অবদান এসেছে। পোশাক রপ্তানির মাধ্যমে, বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়াতে সক্ষম হয়েছে। এছাড়াও, পোশাক শিল্পে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।


কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। দেশের জনসংখ্যার প্রায় ৫০% কৃষি খাতে কর্মরত। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের কৃষি খাত থেকে জিডিপির ১২% অবদান এসেছে। কৃষি উৎপাদনের বৃদ্ধি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখছে।


অবকাঠামো উন্নয়ন

বাংলাদেশ সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এই বিনিয়োগের ফলে, বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, এবং শিল্প-কারখানা উন্নত হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করেছে।


বাংলাদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায়ও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। ২০২২ সালে, বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ছিল ৭৪.৭%, যা ১৯৭১ সালের ২২.৬% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, বাংলাদেশের শিশু মৃত্যুহার ১৯৭১ সালের ১৪৩ জন প্রতি ১,০০০ জন থেকে ২০২২ সালের ৩৪ জন প্রতি ১,০০০ জনে নেমে এসেছে। 


বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এটি বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। এছাড়াও, বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এটি বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। এর মধ্যে রয়েছে:

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেস্কো)

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)

জাতিসংঘের শিল্প ও বাণিজ্য সংস্থা (WTO)

জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)

জাতিসংঘের শিশু তহবিল (UNICEF)

জাতিসংঘের নারীর অধিকার কমিশন

বাংলাদেশ এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা করে। এটি বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, নারীর অধিকার ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

ভারত

চীন

যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাজ্য

জাপান

দক্ষিণ কোরিয়া

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ওআইসি


বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে তার স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়ন সাধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটি জাতিসংঘের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা গ্রহণ করে। বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কগুলিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে। এছাড়াও, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। এই সম্পর্কগুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এবং তার স্বার্থ রক্ষা করে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বাংলাদেশ তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলিকে আরও জোরদার করবে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তার ভূমিকা পালন করবে।


বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে বিশ্লেষণ করলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উল্লেখ করা যেতে পারে:

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলি তার ভৌগোলিক অবস্থান দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ এবং এর চারপাশে ভারত, চীন, মিয়ানমার ও ভারত মহাসাগর রয়েছে। এই অবস্থান বাংলাদেশকে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম করে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলি তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থা দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এর অর্থনীতি কৃষি ও শিল্প নির্ভর। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং এর সরকারের সাথে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সুসম্পর্ক রয়েছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলি তার সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বৈচিত্র্য দ্বারা প্রভাবিত হয়। বাংলাদেশ একটি বহুসংস্কৃতির দেশ এবং এর জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম। এই বৈচিত্র্য বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।


বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নরূপ:

বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং এটি বিশ্বের অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্য। বাংলাদেশ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য এবং এটি বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ তার প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে।

বাংলাদেশ ভারত, চীন, মিয়ানমার ও ভারত মহাসাগরের সাথে তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সাথেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।

বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করছে।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্কগুলির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। বাংলাদেশ তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কগুলিকে আরও জোরদার করবে এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে তার ভূমিকা পালন করবে।


বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে:

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং এর অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উন্নয়ন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি আকর্ষণীয় অংশীদার হিসেবে গড়ে তুলবে। বাংলাদেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে উন্নয়ন। বাংলাদেশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। এই উন্নয়ন বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে। বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল দেশ এবং এর সরকার জনগণের সমর্থন লাভ করে। এই স্থিতিশীলতা বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।


পোশাক রপ্তানি

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ইতিহাস ষাটের দশকে শুরু হয়। তবে সত্তরের দশকের শেষের দিকে রপ্তানিমুখী খাত হিসেবে এই শিল্পের উন্নয়ন ঘটতে থাকে। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক শিল্পকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) ঘোষণা করে। এর ফলে এই শিল্পের জন্য বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধি পায় এবং শিল্পের প্রসার ঘটে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য হল যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৭.২৫৭ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ৩৮.২১%। ইউরোপীয় ইউনিয়নে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৩.৬৮৯ বিলিয়ন ডলার, যা মোট রপ্তানির ৩২.২৫%। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রধান পণ্য হল পোলো শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স, পাজামা, গেঞ্জি, স্কার্ট, ইত্যাদি। এই শিল্পে উৎপাদিত পণ্যগুলির মান বিশ্বমানের। তাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই পণ্যগুলির চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের সম্ভাবনা অনেক। এই শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তবে এই শিল্পের উন্নয়নের জন্য কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ দূষণ রোধ, এবং নতুন বাজারে প্রবেশ। বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ, পরিবেশ দূষণ রোধ, এবং নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ। সরকারের এই পদক্ষেপগুলির ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল বলে আশা করা যায়।


বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতকরণ:

          ১. শ্রমিকদের বেতন, কর্মঘণ্টা, এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

         ২. পরিবেশ দূষণ রোধ: পোশাক কারখানাগুলিতে পরিবেশ দূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

         ৩. নতুন বাজারে প্রবেশ: নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।


কৃষি হল একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি। একটি দেশের জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি একটি চ্যালেঞ্জ। উন্নত কৃষি প্রযুক্তি, যেমন উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার, কীটনাশক, ও সেচব্যবস্থা, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে সরকার কৃষি গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। এর ফলে দেশে বিভিন্ন ধরনের উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার, কীটনাশক, ও সেচব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হচ্ছেন।


কৃষি গবেষণার বিস্তার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে সরকার কৃষি গবেষণার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে দেশে কৃষি গবেষণার বিস্তার ঘটেছে। কৃষি গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার, কীটনাশক, ও সেচব্যবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারের পাশাপাশি কৃষকদেরও সচেতন হতে হবে। কৃষকদের উচিত উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও সেচের সুবিধা গ্রহণ করা। এছাড়াও, কৃষকদের কৃষি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা উচিত। বাংলাদেশ সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির হার আরও বাড়াতে হলে সরকারের পাশাপাশি কৃষকদেরও সচেতন হতে হবে।


Link copied