স্বপ্নের সোনার বাংলার পথে

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৬ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:১৪ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনের পর ১৯৯০ সালে গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসে বাংলাদেশ। এরপর থেকে বাংলাদেশ সরকার দেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এই কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। 


বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে:

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: বাংলাদেশ সরকার অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্পায়ন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ। এই পদক্ষেপগুলির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৪%।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন: বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। এর ফলে দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়েছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ৭৫.৪% এবং গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন: বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে দেশে সড়ক, রেল, নৌ, ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও, দেশে নতুন নতুন সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ও শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ সরকার অর্থনীতির দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেছে:

শিল্পায়ন: বাংলাদেশ সরকার শিল্পায়নকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর জন্য সরকার বিভিন্ন শিল্পকারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করছে। এছাড়াও, সরকার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন সড়ক, রেল, বিদ্যুত, ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে।

কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি: বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও সেচব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করছে।

বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ: বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা।

এই পদক্ষেপগুলির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার ৭.৪%। এই প্রবৃদ্ধির ফলে দেশের জিডিপির আকার ১.২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।


শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন

বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করছে। এর ফলে দেশে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে, সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে। এর ফলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের সাক্ষরতার হার ৭৫.৪% হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রে, সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ও জেলা সদর হাসপাতালগুলির উন্নয়ন, এবং নতুন নতুন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ করছে। এর ফলে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর হয়েছে।


যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন

বাংলাদেশ সরকার যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে দেশে সড়ক, রেল, নৌ, ও বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও, দেশে নতুন নতুন সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ও শিল্প কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার জাতীয় মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক, ও জেলা সড়কগুলির উন্নয়ন করছে। এর ফলে দেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার নতুন নতুন রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনগুলির উন্নয়ন করছে। এর ফলে দেশের রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে। নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার দেশের প্রধান নদীগুলিতে ফেরিঘাট, ব্রিজ, ও টার্মিনাল নির্মাণ করছে। এর ফলে দেশের নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে। বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার নতুন নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ এবং বিমানবন্দরগুলির উন্নয়ন করছে। এর ফলে দেশের বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য সরকার নতুন নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এবং বিদ্যমান বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উন্নয়ন করছে। এর ফলে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার মান উন্নত হয়েছে। শিল্প কারখানা নির্মাণের জন্য সরকার শিল্প এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন করছে। এর ফলে দেশে শিল্প কারখানা নির্মাণের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে


শিল্পায়ন

বাংলাদেশ সরকার শিল্পায়নকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এর জন্য সরকার বিভিন্ন শিল্পকারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে নতুন শিল্প কারখানা স্থাপনের জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকার শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন সড়ক, রেল, বিদ্যুত, ও গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নেও কাজ করছে। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ লাখ কিলোমিটার, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দৈর্ঘ্য প্রায় ২ হাজার কিলোমিটার, এবং বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ১৬ হাজার মেগাওয়াট। সরকার শিল্পের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ জনশক্তিকে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।


কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ও সেচব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করছে। সরকার উন্নত বীজ, সার, কীটনাশক, ও সেচব্যবস্থার প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশের ধান উৎপাদন ছিল প্রায় ৪ কোটি টন, গম উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন, এবং পাট উৎপাদন ছিল প্রায় ১ কোটি টন। সরকার কৃষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করছে। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ কৃষককে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।


বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ

বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনিয়োগের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরি করা এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা। সরকার বিনিয়োগের জন্য সুবিধাজনক পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা সংস্কার করেছে। এছাড়াও, সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করছে, যেমন কর ছাড়, ভূমি বরাদ্দ, ও অবকাঠামোগত সুবিধা। এই পদক্ষেপগুলির ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


শিক্ষা

বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি, এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে কাজ করছে। সরকার প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কমিউনিটি স্কুল, মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য স্কুল ও কলেজ, এবং উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলির উন্নয়নে কাজ করছে। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৫.৪%। সরকার শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, পাঠ্যপুস্তকের মানোন্নয়ন, এবং শিক্ষার পরিবেশের উন্নয়ন।


স্বাস্থ্যসেবা

বাংলাদেশ সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ও জেলা সদর হাসপাতালগুলির উন্নয়ন, এবং নতুন নতুন হাসপাতাল নির্মাণের কাজ করছে। ২০২৩ সালে, বাংলাদেশের গড় আয়ু ছিল ৭২.৬ বছর। সরকার স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে, যেমন স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ, হাসপাতালগুলির অবকাঠামোগত উন্নয়ন।


বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

দরিদ্রতা: বাংলাদেশে এখনও অনেক মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে।

বেকারত্ব: দেশে বেকারত্বের হার এখনও উচ্চ। অবৈধ অভিবাসন: বাংলাদেশের অনেক যুবক অবৈধ অভিবাসনের মাধ্যমে বিদেশে যান।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।



বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। অর্থাৎ, তাদের দৈনিক আয় ১.৯০ মার্কিন ডলারের কম। দারিদ্র্যের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

কৃষিনির্ভর অর্থনীতি: বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ কৃষিনির্ভর। কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা কম হওয়ায় অনেক কৃষক দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। শিক্ষার অভাব: শিক্ষার অভাব দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়, যা কর্মসংস্থান এবং আয় বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবার অভাব: স্বাস্থ্যসেবার অভাব দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে।


জলবায়ু পরিবর্তন

বাংলাদেশে বেকারত্বের হার প্রায় ৬%। বেকারত্বের কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি:

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতি কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে বাধা দেয়। শিক্ষার অভাব: শিক্ষার অভাব দক্ষতা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়, যা কর্মসংস্থানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

অবকাঠামোগত ঘাটতি: অবকাঠামোগত ঘাটতি শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের বিকাশকে বাধা দেয়, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।


জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: ঝড় ও বন্যা:

ঝড় ও বন্যায় বাংলাদেশের অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরা: খরায় বাংলাদেশের ফসল ও খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হয়।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত হতে পারে।


বাংলাদেশ সরকার দারিদ্র্য, বেকারত্ব, অবৈধ অভিবাসন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:

দারিদ্র্য বিমোচনে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করছে।

বেকারত্ব দূরীকরণে সরকার বিভিন্ন কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প গ্রহণ করছে।

অবৈধ অভিবাসন রোধে সরকার সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে।


বাংলাদেশের দারিদ্র্য মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে:

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির মাধ্যমে দরিদ্রদের সহায়তা প্রদান করছে। এর মধ্যে রয়েছে ভিজিডি, ওয়ান-টাইম সামাজিক সহায়তা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি। এই কর্মসূচিগুলির মাধ্যমে দরিদ্রদের আয় বৃদ্ধি, পুষ্টির উন্নতি, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।

কৃষি উন্নয়ন: সরকার কৃষি উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি ভর্তুকি, কৃষি প্রশিক্ষণ, কৃষি গবেষণা ইত্যাদি। এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দারিদ্র্য হ্রাস করা হচ্ছে।

শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশ: সরকার শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে শিল্প নীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য সুবিধা, অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি। এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাস করা হচ্ছে।


বাংলাদেশের বেকারত্ব মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে:

কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প: সরকার বিভিন্ন কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, শিল্প প্রকল্প, পর্যটন প্রকল্প ইত্যাদি। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হচ্ছে।

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ: সরকার শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার সম্প্রসারণ, কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন, দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ ইত্যাদি। এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা হচ্ছে, যা কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।


বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে:

বনায়ন: সরকার বনায়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করছে।

উপকূলীয় এলাকায় স্থাপনা উন্নয়ন: সরকার উপকূলীয় এলাকায় স্থাপনা উন্নয়নের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করছে।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি: সরকার জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় জনসাধারণের সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।


বাংলাদেশ সরকারের উন্নয়ন কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, ও অন্যান্য ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৯ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮%, যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার হার বেড়েছে, এবং মাথাপিছু আয় বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার কমেছে, এবং গড় আয়ু বেড়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে সরকারকে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে রয়েছে:

দারিদ্র্য: বাংলাদেশের দারিদ্র্য হার এখনও ২৪.৩%।

বেকারত্ব: বাংলাদেশের বেকারত্বের হার এখনও ৫.২%।

অবৈধ অভিবাসন: বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা এখনও উল্লেখযোগ্য।

জলবায়ু পরিবর্তন: বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের ঝুঁকি এখনও উচ্চ।


চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় সরকারকে আরও বিস্তারিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে:

দারিদ্র্য বিমোচনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা।

কৃষি উন্নয়নে গবেষণা ও প্রশিক্ষণের পরিমাণ বৃদ্ধি করা। শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্য বিকাশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা।

কর্মসংস্থানমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা।

শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মান বৃদ্ধি করা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জাতীয় পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।



Link copied