বাংলাদেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২০ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:৪৫ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৭.২% অনুমান করা হয়েছে। এটি একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন, কারণ বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ।


বাংলাদেশের অর্থনীতির সামনে কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

বৈষম্য: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সবার জন্য সমানভাবে সুবিধা বণ্টন করছে না। ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য ক্রমশই বাড়ছে।

দারিদ্র্য: বাংলাদেশে এখনও প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।

দুর্নীতি: দুর্নীতি বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় সমস্যা। দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। ক্রমবর্ধমান ঝড়, বন্যা এবং খরা বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প এবং অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।


বাংলাদেশে বৈষম্য বৃদ্ধির বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধরন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূলত উচ্চ-মূল্য-সংযোজন খাতগুলিতে কেন্দ্রীভূত, যেমন তৈরি পোশাক শিল্প। এই খাতগুলিতে কর্মসংস্থান মূলত উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যার ফলে ধনী ও দরিদ্রের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো: বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো বৈষম্যকে টিকিয়ে রাখার জন্য সহায়ক। উচ্চবিত্ত শ্রেণী রাজনৈতিক ক্ষমতা এবং সম্পদের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখে, যার ফলে তারা নিজেদের সুবিধার্থে নীতিমালা প্রণয়ন করতে পারে।

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা: বাংলাদেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা বৈষম্যকে প্রভাবিত করছে। ধনী পরিবারের সন্তানরা উচ্চশিক্ষা এবং ভালো স্বাস্থ্যসেবা পায়, যার ফলে তারা উন্নত কর্মসংস্থান এবং সুযোগ-সুবিধা অর্জনে সক্ষম হয়।


বৈষম্য বৃদ্ধির প্রভাব

বাংলাদেশে বৈষম্য বৃদ্ধির বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: বৈষম্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি বাধা। কারণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে বাজার সংকুচিত হয় এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস পায়।

সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে: বৈষম্য সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। কারণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে পারে, যার ফলে সামাজিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে: বৈষম্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে। কারণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, যার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়।


বৈষম্য হ্রাসের উপায়

বাংলাদেশে বৈষম্য হ্রাসের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধরন পরিবর্তন করা: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উচ্চ-মূল্য-সংযোজন খাতগুলির পাশাপাশি নিম্ন-মূল্য-সংযোজন খাতগুলিতেও ছড়িয়ে দেওয়া উচিত। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং তাদের আয় বৃদ্ধি পাবে।

সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামো সংস্কার করা: সামাজিক-রাজনৈতিক কাঠামোকে এমনভাবে সংস্কার করা উচিত যাতে সকল জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়। এতে বৈষম্য হ্রাস পাবে।

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা: শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সকল জনগোষ্ঠীর জন্য সুলভ এবং মানসম্পন্ন করা উচিত। এতে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নত হবে এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশে বৈষম্য একটি গুরুতর সমস্যা।

এটি সমাজের সকল ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বৈষম্য হ্রাস করার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং সমাজের সকল অংশীদারদের একসাথে কাজ করা জরুরি।


বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। যদিও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, তবুও এখনও প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে।


দারিদ্র্যের সংজ্ঞা

দারিদ্র্য একটি জটিল ধারণা। এটিকে সাধারণত আর্থিক সম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনযাত্রার মান ইত্যাদির ভিত্তিতে পরিমাপ করা হয়। বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণের জন্য মাথাপিছু দৈনিক আয়ের মান ব্যবহার করা হয়। ২০২২ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী জনসংখ্যার হার ১৮.৭ শতাংশ।


দারিদ্র্যের কারণ

বাংলাদেশে দারিদ্র্যের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: জনসংখ্যা বৃদ্ধি:

বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অত্যন্ত বেশি। এটি দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধরন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মূলত উচ্চ-মূল্য-সংযোজন খাতগুলিতে কেন্দ্রীভূত, যেমন তৈরি পোশাক শিল্প। এই খাতগুলিতে কর্মসংস্থান মূলত উচ্চশিক্ষিত এবং দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে সীমাবদ্ধ, যার ফলে দরিদ্র জনগোষ্ঠী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়।

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা: বাংলাদেশের শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার মান অপর্যাপ্ত। এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের সুযোগ সীমিত করে দেয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ: বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রাদুর্ভাব বেশি। এটি দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধির একটি উল্লেখযোগ্য কারণ।


দারিদ্র্যের প্রভাব

দারিদ্র্যের বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

         ১. মানুষের জীবনযাত্রার মান নিম্নমানের হয়।

         ২. স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ সীমিত হয়।

         ৩. সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়।

         ৪. অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।


বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি:

সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালনা করছে। এর মধ্যে রয়েছে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, উপবৃত্তি ইত্যাদি।

শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন: সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে বিনামূল্যে প্রাথমিক শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ইত্যাদি।

উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টি: সরকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণ কর্মসংস্থান কর্মসূচি, ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি ইত্যাদি।


দুর্নীতি একটি সামাজিক ব্যাধি, যা সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। দুর্নীতির কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।


দুর্নীতির সংজ্ঞা

দুর্নীতি হল ক্ষমতার অপব্যবহার। এটি একটি বিস্তৃত ধারণা, যা বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হতে পারে। দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে ঘুষ, লুটপাট, জালিয়াতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি ইত্যাদি।


দুর্নীতির কারণ

দুর্নীতির বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

অপরাধী মনোভাব: দুর্নীতির মূল কারণ হল অপরাধী মনোভাব। কিছু লোক মনে করে যে, আইন তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। তারা মনে করে যে, ক্ষমতার মাধ্যমে তারা যেকোনো কিছু করতে পারে।

অর্থনৈতিক বৈষম্য: অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। যখন সমাজে একটি বড় অংশের মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে, তখন তারা ক্ষমতার মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে।

দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব: দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাব দুর্নীতিকে উৎসাহিত করে। যখন রাজনৈতিক নেতারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তখন দুর্নীতিবাজরা তাদের অপকর্ম চালিয়ে যেতে উৎসাহিত হয়।


দুর্নীতির প্রভাব

দুর্নীতির বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়: দুর্নীতি অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রধান বাধা। দুর্নীতির কারণে সরকারের রাজস্ব আহরণ কম হয়, বিনিয়োগ কমে যায়, উৎপাদনশীলতা কমে যায় এবং বৈদেশিক বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হয়।

সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়: দুর্নীতি সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করে। দুর্নীতির কারণে সমাজে বিভাজন ও বিরোধ সৃষ্টি হয়, জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বৃদ্ধি পায়।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে: দুর্নীতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটায়। দুর্নীতির কারণে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, জনগণের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যায়।


দুর্নীতি দমনের উপায়

দুর্নীতি দমনে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি:

দুর্নীতি দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে দুর্নীতির ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি দুর্নীতি দমনে সহায়ক। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।

দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার: দুর্নীতি দমনে রাজনৈতিক অঙ্গীকার অপরিহার্য। রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। ক্রমবর্ধমান ঝড়, বন্যা এবং খরা বাংলাদেশের কৃষি, শিল্প এবং অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।


কৃষি

বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান খাত হল কৃষি। কৃষি জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলির মধ্যে একটি। ক্রমবর্ধমান ঝড় এবং বন্যা বাংলাদেশের কৃষি জমি এবং ফসলকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০২২ সালের বন্যায় বাংলাদেশের কৃষিখাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার ফলে প্রায় ৮০০,০০০ হেক্টর জমি ফসলহানির শিকার হয়। এছাড়াও, বন্যার ফলে বাংলাদেশের মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে, যা ফসলের উৎপাদন কমাতে পারে।


শিল্প

বাংলাদেশের শিল্প খাতও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের শিকার হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ঝড় এবং বন্যা বাংলাদেশের শিল্প কারখানা এবং অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০২২ সালের বন্যায় বাংলাদেশের শিল্পখাতও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার ফলে প্রায় ১০,০০০ শিল্প প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, বন্যার ফলে বাংলাদেশের শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।


অবকাঠামো

বাংলাদেশের অবকাঠামোও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের শিকার হচ্ছে। ক্রমবর্ধমান ঝড় এবং বন্যা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট এবং অন্যান্য অবকাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০২২ সালের বন্যায় বাংলাদেশের অবকাঠামোও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার ফলে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তাঘাট, ১০০টি ব্রিজ এবং কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, বন্যার ফলে বাংলাদেশের অবকাঠামো মেরামত এবং পুনর্নির্মাণের খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি কমাতে উপকূলীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত করার জন্য বাঁধ নির্মাণ, বনায়ন এবং অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এছাড়াও, সরকার কৃষি খাতকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় ব্যক্তিগত এবং সামাজিক উদ্যোগও গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তিগতভাবে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে আমাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারি। আমরা কম কার্বন নিঃসরণকারী জীবনযাত্রা বেছে নিতে পারি, যেমন বিদ্যুৎ সাশ্রয়, পরিবহন ব্যবহার কমানো এবং পুনর্ব্যবহার ও কমপয়েন্ট। সামাজিকভাবে, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে পারি। আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে সরকারের পদক্ষেপের দাবিতে চাপ সৃষ্টি করতে পারি। জলবায়ু পরিবর্তন একটি জটিল সমস্যা যা সমাধান করা সহজ নয়। তবে, ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং সরকারি উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় কাজ করতে পারি।


বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্ভাবনাও রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

জনসংখ্যা: বাংলাদেশের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। এটি অর্থনীতির জন্য একটি সম্ভাবনা হতে পারে, কারণ জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শ্রমশক্তি বৃদ্ধি পায়।

প্রাকৃতিক সম্পদ: বাংলাদেশে প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে, যেমন কৃষিজমি, জলসম্পদ এবং খনিজ সম্পদ। এগুলি অর্থনীতির জন্য একটি সম্ভাবনা হতে পারে। 

জিওগ্রাফিক অবস্থান: বাংলাদেশের জিওগ্রাফিক অবস্থান একটি সম্ভাবনা হতে পারে। বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র।


বাংলাদেশের জনসংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ২০২৩ সালের হিসাবে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৫০ লাখ। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শ্রমশক্তিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশের শ্রমশক্তি ছিল ৭ কোটি ৪৫ লাখ। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমশক্তি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি পায়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটাতে পারে। এছাড়াও, শ্রমশক্তি বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হতে পারে, যা অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পারে। তবে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কিছু নেতিবাচক প্রভাবও পড়তে পারে। যেমন, কর্মসংস্থানের চাহিদা বৃদ্ধি পায়, যা বেকারত্বের হার বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও, জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়, যা পরিবেশগত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই রয়েছে। এই সুবিধা এবং অসুবিধাগুলি বিবেচনা করে সরকারের উচিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা।


জনসংখ্যা বৃদ্ধির সুবিধাগুলি কাজে লাগানোর জন্য সরকারের উচিত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা:

শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।

দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা।

নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা।


জনসংখ্যা বৃদ্ধির অসুবিধাগুলি মোকাবেলা করার জন্য সরকারের উচিত নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা: 

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে প্রচারণা চালানো।

পরিবার পরিকল্পনা সেবাগুলির প্রসার ঘটানো।

পরিবেশগত সমস্যা সমাধানের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।


বাংলাদেশের অর্থনীতির ভবিষ্যত উজ্জ্বল। তবে, চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা এবং সম্ভাবনাগুলি কাজে লাগাতে হলে সরকার, ব্যবসায়ী এবং সমাজের সকল অংশীদারদের একসাথে কাজ করা জরুরি।

সর্বশেষ

পোস্টের ছবি

ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে থেকে তাদেরকে সাহায্য ও সহায়তা প্রদানের অনরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট সার্ভিস এসোসিয়েশন

পোস্টের ছবি

বাংলাদেশ সচিবালয় সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এসোসিয়েশন বাংলাদেশ

পোস্টের ছবি

বাংলাদেশ সচিবালয় সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এসোসিয়েশন বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা। নং-বাসপ্রবাকস/দাবী/২০২৪-০৪ প্রেস রিলিজ তারিখ: ১৯-০৮-২০২৪ খ্রিঃ জাতীয় পে কমিশন বাস্তবায়নের পর নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রসহ সকল দ্রব্যের মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে চলে যাওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ আজ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করা হয়নি। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বর্তমান দূরবীস্থা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যে দাবী বাস্তবায়নের দাবী জানান। সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব এসোসিয়েশনের পক্ষ হতে আহবায়ক জনাব মো: আবদুল খালেক, বাংলাদেশ সচিবালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা এসোসিয়েশন পক্ষ হতে আহবায়ক মো: হান্নান সরদার এবং সদস্য সচিব মুহাম্মদ মাহে আলম এবং বাংলাদেশ সচিবালয় ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এসোসিয়েশন পক্ষ হতে আহবায়ক মো: গোলাম রাজ্জাক এবং সদস্য সচিব মোহা: সালাহউদ্দীন সংগঠনের পক্ষ হতে ১০ দফা দাবী অর্থ সচিব এবং জনপ্রশাসন সচিবের নিকট পেশ করেন। দাবী পেশকালে উপস্থিত ছিলেন সর্বজনাব ১. মো: আবদুল খালেক ২. নাজমুল হক ৩. আ: মোতালেব ৪. নজরুল ইসলাম ৫. সুলতান আহমেদ ৬. কামাল হোসেন ৭. মো: হাছান সরদার ৮. মুহাম্মদ মাহে আলম ৯. মো: গোলাম রাজ্জাক ১০. মোহা: সালাহউদ্দীন ১১. গাজীউর রহমান ১২.মো: জসিম, ১৩. আফছার হোসেন ১৪. মাজহারুল হক ১৫. আ: হাই হাবিব ১৬. মোফাজ্জেল হোসেন ১৭. শামীম হোসেন ১৮. হাবিবুর রহমান ১৯. মো: বুলবুল আহমেদ ২০. জাহেদা খাতুনসহ আরো অনেকে। দাবিগুলো: (১) পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের দ্রুত পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ; (২) সচিবালয় নিয়োগ বিধি মোতাবেক সহকারী সচিব পদে চাকরি ৫ বছর পূর্তিতে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৩ বছর পূর্তিতে উপসচিব পদে পদোন্নতি প্রহান; (৩) চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকরিতে পুন: বহাল; (৪) সহকারী সচিব পদে পদোন্নতিপাওয়ার পর ৭৫% টাকার সুবিধা ও পে ফিক্সেশন বেনিফিট পূর্বের ন্যায় পুন: বহাল। (৫ ) জাতীয় পে স্কেল ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে; (৬) প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদেরকে উপ সহকারী সচিব পদ নাম প্রদান পূর্বক প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা পদে উন্নীতকরন; ৭) পেনশন ১০০% এবং পেনশন গ্র্যাচ্যুইটি ১.৫০০/- টাকা নির্ধারণ; ( (৮) পূর্বের ন্যায় টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড পূন: বহাল করতে হবে; (৯) বেতন গ্রেড ২০ ভাগের পরিবর্তে ১০ ভাগে নির্ধারণ ও (১০) রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েট ন্যায় সচিবালয়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মরারীদের ২০% সচিবালয় ভাতা প্রদান করতে হবে

পোস্টের ছবি

বাংলাদেশ সচিবালয় সহকারী সচিব, সিনিয়র সহকারী সচিব ও উপসচিব প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা এসোসিয়েশন বাংলাদেশ

পোস্টের ছবি

নারীকে গিলে খেলো কুমির, পেট কেটে বের হলো ছিন্নভিন্ন দেহ

পোস্টের ছবি

অরিজিতের হুঁশিয়ারিকে সমর্থন জানালেন রূপম

পোস্টের ছবি

‘লড়াই ব্যর্থ হলে মৃত্যু ছাড়া কোনো বিকল্প রাখতো না’

Link copied