মানুষের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা
২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৫৩ মিনিট
বাংলাদেশের সংবিধানের ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রজাতন্ত্র হইবে একটি গণতন্ত্র, যেখানে মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকিবে, মানবসত্তার মর্যাদা ও মূল্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নিশ্চিত হইবে।"
এই অনুচ্ছেদের অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিম্নলিখিত মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে:
জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার মানবাধিকারের অধিকার সমান অধিকার ও সুযোগের অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকার পরিবারের অধিকার শিক্ষার অধিকার চিকিৎসার অধিকার কর্মসংস্থানের অধিকার সমাজিক নিরাপত্তার অধিকার মানুষের জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, মর্যাদা ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫ থেকে ১৭ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "মানুষের জীবন, স্বাধীনতা, দেহ, মর্যাদা ও সম্পত্তির নিরাপত্তা বিধান করা হইবে।" এই অনুচ্ছেদের অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিম্নলিখিত অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে: জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার নিরাপত্তার অধিকার সত্তার অধিকার সম্পত্তির অধিকার মানুষের সমতা, বৈষম্যহীনতা ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ থেকে ২৯ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "মানুষের সমতা, বৈষম্যহীনতা ও সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা হইবে।"
এই অনুচ্ছেদের অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিম্নলিখিত অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে: সাম্য ও বৈষম্যহীনতার অধিকার চাকরি ও চাকরির সুযোগের সমতার অধিকার শিক্ষা ও শিক্ষার সুযোগের সমতার অধিকার চিকিৎসা ও চিকিৎসার সুযোগের সমতার অধিকার মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সংবিধানের ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হইবে।"
এই অনুচ্ছেদের অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের নিম্নলিখিত অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে: ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অধিকার সংগঠনের স্বাধীনতার অধিকার এই বিধানগুলির অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের একটি মৌলিক অধিকার রয়েছে যে তারা নির্বিচারে গ্রেপ্তার, আটক বা কারারুদ্ধ হবে না। তাদেরকে নিরপেক্ষ বিচারের অধিকার রয়েছে এবং তাদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা সংরক্ষণ করা হবে।
এই বিধানগুলির অধীনে, বাংলাদেশের নাগরিকদের শিক্ষা, চিকিৎসা, কর্মসংস্থান এবং সামাজিক নিরাপত্তার মতো মৌলিক অধিকার রয়েছে। তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে এবং তারা তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে। তারা সংগঠিত হতে পারে এবং তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সংগঠনগুলিতে যোগ দিতে পারে। এই বিধানগুলি বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটি ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি নথি যা মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলিকে ঘোষণা করে। এই ঘোষণাপত্রটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি চুক্তি যা সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই চুক্তিটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ১৯৬৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
এটি একটি চুক্তি যা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই চুক্তিটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। নারীর অধিকারের উপর কনভেনশন নারীর অধিকারের উপর কনভেনশনটি ১৯৭৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি চুক্তি যা নারীর অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই চুক্তিটি নারীর অধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। শিশু অধিকারের কনভেনশন শিশু অধিকারের কনভেনশনটি ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি চুক্তি যা শিশুর অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে।
এই চুক্তিটি শিশুর অধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। বাংলাদেশ সরকার এই চুক্তিগুলি অনুসমর্থন করে মানবাধিকার রক্ষার প্রতি তার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করেছে। এই চুক্তিগুলির অধীনে, বাংলাদেশ সরকারের নিম্নলিখিত দায়িত্ব রয়েছে: মানবাধিকারের লঙ্ঘন প্রতিরোধ করা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত করা এবং অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া। মানবাধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আইন ও প্রবিধান প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা। মানবাধিকারের প্রতি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বাংলাদেশ সরকার এই দায়িত্বগুলি পালন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: মানবাধিকার বিষয়ক আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন ও সংশোধন করা। মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করা।
মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোকে সহায়তা প্রদান করা। বাংলাদেশ সরকার মানবাধিকার রক্ষার জন্য আরও অনেক কিছু করতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করা। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য মানবাধিকার সুরক্ষায় আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া। সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় মৌলবাদ দূর করা। বাংলাদেশ সরকার এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলে মানবাধিকার রক্ষায় আরও অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হবে।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটি ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি নথি যা মানবাধিকারের মৌলিক নীতিগুলিকে ঘোষণা করে। এই ঘোষণাপত্রটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রের ২৮টি অনুচ্ছেদে মানবাধিকারের বিভিন্ন দিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার নিরাপত্তার অধিকার ন্যায়বিচারের অধিকার সমান অধিকার ও সুযোগের অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার মতপ্রকাশের অধিকার সংগঠনের অধিকার পরিবারের অধিকার শিক্ষার অধিকার চিকিৎসার অধিকার কর্মসংস্থানের অধিকার সমাজিক নিরাপত্তার অধিকার মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রটি একটি নৈতিক ও আদর্শিক দলিল।
এটি একটি আইনি চুক্তি নয়। তবে, এই ঘোষণাপত্রের নীতিগুলি আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ১৯৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এটি একটি চুক্তি যা সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই চুক্তিটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।
সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ৩০টি অনুচ্ছেদে সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের বিভিন্ন দিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার নিরাপত্তার অধিকার ন্যায়বিচারের অধিকার সমান অধিকার ও সুযোগের অধিকার ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার মতপ্রকাশের অধিকার সংগঠনের অধিকার পরিবারের অধিকার নির্বাচনের অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি একটি আইনি চুক্তি। এই চুক্তির স্বাক্ষরকারী দেশগুলি এই চুক্তির নীতিগুলিকে বাস্তবায়নের জন্য বাধ্য। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তি সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি ১৯৬৬ সালের ১৬ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ দ্বারা গৃহীত হয়েছিল।
এটি একটি চুক্তি যা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি ও প্রবিধানগুলিকে প্রতিষ্ঠিত করে। এই চুক্তিটি মানবাধিকারের উপর আন্তর্জাতিক আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ২৮টি অনুচ্ছেদে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের বিভিন্ন দিকগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: জীবনযাত্রার মান উন্নত করার অধিকার শিক্ষার অধিকার চিকিৎসার অধিকার কর্মসংস্থানের অধিকার সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তিটি একটি আইনি চুক্তি।
সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ২য় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ব্যক্তির জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থাকবে। এই অধিকার অলঙ্ঘনীয়।" এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতন, অত্যাচার, বা অন্য কোনওভাবে তার জীবন বা স্বাধীনতা হরণ করা থেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। নিরাপত্তার অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ৩য় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ব্যক্তির ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক নিরাপত্তার অধিকার থাকবে।"
এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির তার ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনে হস্তক্ষেপ করা থেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, বাড়ির অখণ্ডতা, পরিবারের একত্র থাকার অধিকার এবং যোগাযোগের অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ন্যায়বিচারের অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৪ থেকে ১৭ অনুচ্ছেদে ন্যায়বিচারের অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির একটি নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থায় ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: একজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হলে তাকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা করার সুযোগ দেওয়া হবে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি নিরপেক্ষ বিচারকের সামনে হাজির করা হবে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি দ্রুত এবং প্রকাশ্য বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একজন দক্ষ আইনজীবীর সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সাক্ষীদের সামনে হাজির করার অধিকার রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি নিরপেক্ষ ট্রাইব্যুনালে হাজির করার অধিকার রয়েছে।
একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সাক্ষ্যগ্রহণ পদ্ধতির অধিকার রয়েছে। একজন ব্যক্তিকে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলির বিচার করার জন্য একটি নিরপেক্ষ রায়ের অধিকার রয়েছে। সমান অধিকার ও সুযোগের অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ব্যক্তি, জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম, রাজনৈতিক বা অন্যান্য মতাদর্শ, জাতীয় বা সামাজিক উৎপত্তি, সম্পদ, জন্ম বা অন্য কোনও অবস্থার ভিত্তিতে বৈষম্য ছাড়াই, এই চুক্তিতে স্বীকৃত অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার রাখে।"
এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির আইনের সামনে সমান এবং আইনের দ্বারা সুরক্ষিত অধিকার ও স্বাধীনতা ভোগ করার অধিকার রয়েছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার থাকবে। এই অধিকারের মধ্যে ধর্ম পালনের অধিকার, ধর্ম পালনের জন্য স্থাপনা নির্মাণের অধিকার, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অধিকার, ধর্মীয় শিক্ষার অধিকার এবং ধর্মীয় সংগঠনের অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।"
এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির তার ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রয়েছে। মতপ্রকাশের অধিকার সিভিল ও রাজনৈতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ব্যক্তির মতপ্রকাশের অধিকার থাকবে। এই অধিকারের মধ্যে যে কোনও তথ্য বা ধারণা প্রকাশের স্বাধ
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১১ থেকে ১৪ অনুচ্ছেদে জীবনযাত্রার মান উন্নত করার অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির একটি স্বাস্থ্যকর এবং আরামদায়ক জীবনযাপন করার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির পর্যাপ্ত খাদ্য, জল, বাসস্থান, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা করার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির কর্মসংস্থান এবং মর্যাদাপূর্ণ কাজের অধিকার রয়েছে। শিক্ষার অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৩ অনুচ্ছেদে শিক্ষার অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির প্রাথমিক শিক্ষার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির উচ্চ শিক্ষার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষার জন্য সমতা এবং বৈষম্যহীনতার অধিকার রয়েছে।
চিকিৎসার অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১২ অনুচ্ছেদে চিকিৎসার অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির চিকিৎসার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির এই চিকিৎসাসেবাগুলির জন্য উপযুক্ত মূল্যে অ্যাক্সেস করার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির চিকিৎসাসেবাগুলির জন্য বৈষম্যহীনতার অধিকার রয়েছে। কর্মসংস্থানের অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ৬ থেকে ৮ অনুচ্ছেদে কর্মসংস্থানের অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির কর্মসংস্থানের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির মর্যাদাপূর্ণ কাজের অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির ন্যায্য এবং সন্তোষজনক বেতনের অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশের অধিকার রয়েছে।
সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১০ থেকে ১২ অনুচ্ছেদে সামাজিক নিরাপত্তার অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির বেকারত্বের ক্ষেত্রে সহায়তার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির বয়স্কত্বের ক্ষেত্রে সহায়তার অধিকার রয়েছে।
প্রত্যেক ব্যক্তির অক্ষমতার ক্ষেত্রে সহায়তার অধিকার রয়েছে। প্রত্যেক ব্যক্তির মাতৃত্বকালীন এবং শিশুকালীন সহায়তার অধিকার রয়েছে। সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকারের আন্তর্জাতিক চুক্তির ১৫ থেকে 21 অনুচ্ছেদে সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকারের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের অর্থ হল প্রত্যেক ব্যক্তির সংস্কৃতি ও শিক্ষার অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: প্রত্যেক ব্যক্তির তার নিজস্ব সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করার অধিকার।