জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:৫৮ মিনিট


পোস্ট ফটো

জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা এবং তীব্রতা বাড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, তীব্র বৃষ্টিপাত এবং দীর্ঘস্থায়ী খরার মতো ঘটনাগুলি আরও সাধারণ হয়ে উঠছে।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে নিম্ন-উচ্চতাসম্পন্ন উপকূলীয় অঞ্চলগুলি বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।

তীব্র বৃষ্টিপাত

তীব্র বৃষ্টিপাতও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রভাব। তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।

দীর্ঘস্থায়ী খরা

দীর্ঘস্থায়ী খরাও জলবায়ু পরিবর্তনের একটি প্রভাব। দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে ফসল উৎপাদন হ্রাস, খাদ্য ঘাটতি এবং দারিদ্র্য বৃদ্ধি হতে পারে।


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য, আমাদের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে হবে। এটি করতে, আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসগুলিতে স্যুইচ করতে পারি। আমরা আমাদের শহরগুলিকে আরও জলবায়ু-প্রতিরোধী করতেও কাজ করতে পারি, উদাহরণস্বরূপ, বনায়ন এবং জলাধার নির্মাণের মাধ্যমে। জলবায়ু পরিবর্তন একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এটি মোকাবেলা করার জন্য আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে:

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্রের জল যখন উষ্ণ হয় তখন এটি প্রসারিত হয়, যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। এটি উপকূলীয় বন্যা, লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি হতে পারে।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি হল একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘটছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে সমুদ্রের জলও উষ্ণ হচ্ছে। এই উষ্ণ জল প্রসারিত হয়, যার ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির দুটি প্রধান কারণ হল:

          ১. সমুদ্রের জলের তাপীয় প্রসারণ: সমুদ্রের জল একটি তরল, এবং যেকোনো তরল তাপমাত্রা বাড়লে প্রসারিত হয়। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের জলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে সমুদ্রের জল প্রসারিত হচ্ছে। এই প্রসারণের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

          ২. বরফ গলন: পৃথিবীর মেরু অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে বরফ রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই বরফ গলছে। বরফ গলে সমুদ্রে মিশে গেলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক প্রভাব দেখা দিতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

           ১. উপকূলীয় বন্যা: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। উপকূলীয় বন্যায় উপকূলীয় জনবসতি, অবকাঠামো এবং পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।

          ২. লবণাক্ততা বৃদ্ধি: সমুদ্রের জল যখন উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবেশ করে তখন লবণাক্ততা বৃদ্ধি পায়। লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়, ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং পানির ব্যবহারের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়।

          ৩. প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন বন, মৎস্যক্ষেত্র এবং বন্যপ্রাণী আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

          ১.জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির হার কমানো সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানো, জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো এবং বনায়ন কার্যক্রম বৃদ্ধি করা।

          ২.উপকূলীয় অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন: উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণ করলে উপকূলীয় বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কমানো সম্ভব। উপকূলীয় অঞ্চলে বন্যা প্রতিরোধী অবকাঠামো নির্মাণের মধ্যে রয়েছে বাঁধ, স্লুইস গেট এবং ঝড়খালী নির্মাণ।

          ৩.লবণাক্ততা মোকাবেলা: লবণাক্ততা মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন লবণাক্ততা সহনশীল ফসল চাষ, লবণাক্ততা দূরীকরণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ এবং লবণাক্ততা-মুক্ত পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা।

সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি একটি বৈশ্বিক সমস্যা যা মানব সভ্যতার জন্য মারাত্মক হুমকি। এই সমস্যা মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ব্যবস্থা গ্রহণ, উপকূলীয় অঞ্চলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং লবণাক্ততা মোকাবেলার মতো পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে সমুদ্রের পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে সমুদ্রের পানি প্রসারিত হয় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে মেরু অঞ্চলের বরফ ও হিমবাহ গলতে থাকে। এসব বরফ ও হিমবাহ গলে গেলে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির আরেকটি কারণ হল ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতার হ্রাস। ভূ-পৃষ্ঠের উচ্চতার হ্রাস ঘটতে পারে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত, বা লবণাক্ত জলের স্তর বৃদ্ধির কারণে।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এই প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: উপকূলীয় অঞ্চলে জলমগ্নতা:

           ১. সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে জলমগ্নতা দেখা দেয়। এতে উপকূলীয় শহর ও জনবসতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

          ২. লবণাক্ত জলের উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লবণাক্ত জল উপকূলীয় অঞ্চলের নদী ও খালে উঠে আসে। এতে নদী ও খালের পানি লবণাক্ত হয়ে যায়।

          ৩. কৃষি ও মৎস্য শিল্পে ক্ষতি: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি ও মৎস্য শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিবেশগত পরিবর্তন: সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশগত পরিবর্তন দেখা দেয়। এতে উপকূলীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ ও প্রাণীজগতের ক্ষতি হয়।


সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে:

          ১. গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো: গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানো হলে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধ করা সম্ভব। ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।

          ২. বরফ ও হিমবাহ গলন রোধ করা: বরফ ও হিমবাহ গলন রোধ করা হলে সমুদ্রের পানির পরিমাণ বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব।

          ৩. উপকূলীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা: উপকূলীয় অঞ্চলকে সুরক্ষিত করার জন্য উপকূলীয় বেড়িবাঁধ নির্মাণ, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উঁচুতে ঘরবাড়ি নির্মাণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।


তীব্র বৃষ্টিপাত: পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে আরও বেশি জলীয় বাষ্প থাকতে পারে, যার ফলে তীব্র বৃষ্টিপাত হয়। এটি বন্যা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ায়।


পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে আরও বেশি জলীয় বাষ্প থাকতে পারে। জলীয় বাষ্প হল বায়ুমণ্ডলের অন্যতম প্রধান গ্যাস। এটি মেঘ গঠনের জন্য দায়ী। বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে মেঘের আকার বড় হয় এবং আরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলের জলের চক্রের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে, বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে, তীব্র বৃষ্টিপাতের ঘটনা বেশি দেখা যায়। 

তীব্র বৃষ্টিপাতের বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

           ১.বন্যা: তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর পানি উপচে পড়ে বন্যা হয়। এটি জনবসতি, ফসলি জমি এবং অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত করে।

          ২.ভূমিধস: তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে মাটির ক্ষয় হয়। এটি ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়ায়।

          ৩.নদীর ক্ষতি: তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে নদীর তলদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এটি নদীর ক্ষরণ বৃদ্ধি করে এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।

          ৪.জল দূষণ: তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে নদী এবং জলাশয়ে দূষিত পানি প্রবেশ করতে পারে। এটি জল দূষণের ঝুঁকি বাড়ায়।

          ৫.স্বাস্থ্য সমস্যা: তীব্র বৃষ্টিপাতের ফলে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বাড়ে।


তীব্র বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে:

           ১. বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন: বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, নদীর তীর রক্ষা বাঁধ ইত্যাদি নির্মাণ করে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যেতে পারে।

          ২. ভূমিধস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন: ভূমিধস নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, গাছপালা রোপণ ইত্যাদি করে ভূমিধস নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা যেতে পারে।

          ৩. জল দূষণ রোধ: নদী এবং জলাশয় দূষণ রোধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।

          ৪. জনসচেতনতা বৃদ্ধি: জনসাধারণকে তীব্র বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি এবং তা থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সচেতন করা যেতে পারে।

          ৫. বাংলাদেশ একটি বন্যার ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তীব্র বৃষ্টিপাতের ঘটনা বাংলাদেশে আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। এর ফলে বন্যা, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই তীব্র বৃষ্টিপাতের ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।


দীর্ঘস্থায়ী খরা: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। কিছু অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী খরা দেখা দেয়, যা ফসলের ফলন হ্রাস, জলের সংকট এবং স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলে বাষ্পীভবনের হার বৃদ্ধি পায়। বাষ্পীভবনের হার বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলের জলের চক্রের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে, বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে, তীব্র বৃষ্টিপাতের ঘটনা বেশি দেখা যায়। এছাড়াও, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ ও হিমবাহ গলছে। এর ফলে, পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে বাষ্পীভবনের হার বৃদ্ধি পায়। বাষ্পীভবনের হার বৃদ্ধির ফলে বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বায়ুমণ্ডলের জলের চক্রের পরিবর্তন ঘটে। এর ফলে, বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তিত হয়। দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টিপাতের পরিবর্তে, তীব্র বৃষ্টিপাতের ঘটনা বেশি দেখা যায়। 


দীর্ঘস্থায়ী খরার বিভিন্ন নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

           ১. ফসলের ফলন হ্রাস: দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ কমে যায়। এর ফলে ফসলের ফলন হ্রাস পায়।

          ২. জলের সংকট: দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে পানির উৎসগুলি শুকিয়ে যায়। এর ফলে জলের সংকট দেখা দেয়।

          ৩. স্বাস্থ্য সমস্যা: দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

          ৪. প্রাকৃতিক পরিবেশের ক্ষতি: দীর্ঘস্থায়ী খরার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।


দীর্ঘস্থায়ী খরার ঝুঁকি কমাতে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে: জল সংরক্ষণ:

জল সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন:

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ

পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়া

পানি ব্যবহারের দক্ষতা বৃদ্ধি


জল সম্পদ উন্নয়ন: জল সম্পদ উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে, যেমন:

নদী ও খাল খনন

জলাধার নির্মাণ

ভূগর্ভস্থ জল সম্পদ


উন্নয়ন কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তন: কৃষি ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী খরার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে, যেমন:

খরা-সহনশীল ফসলের চাষ

পানি সেচের দক্ষতা বৃদ্ধি

বাংলাদেশ একটি খরাপ্রবণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দীর্ঘস্থায়ী খরার ঘটনা বাংলাদেশে আরও বেশি দেখা যাচ্ছে। এর ফলে ফসলের ফলন হ্রাস, জলের সংকট এবং অন্যান্য সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই দীর্ঘস্থায়ী খরার ঝুঁকি কমাতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।


জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের উপর প্রভাবগুলি গুরুতর এবং বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করে। এই প্রভাবগুলি মোকাবেলা করার জন্য, আমাদের জলবায়ু পরিবর্তনকে হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবগুলি কমাতে সাহায্য করতে পারে: কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করুন:

কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে যান: জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে দূরে সরে গেলে কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হবে।

নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করুন: নবায়নযোগ্য শক্তির উৎসগুলি, যেমন সৌর শক্তি এবং বায়ু শক্তি, কার্বন নিঃসরণ মুক্ত। উদ্যানপালন বৃদ্ধি করুন: গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এবং বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন মুক্ত করে।


Link copied