‘আমাদের ১৫ জনকেই চাপ নিতে হবে, ভালো হলে সবাই উদযাপন করবো’
২৭ অক্টোবর ২০২৩ ০৫:১৯ মিনিট

কিছুদিন আগেও পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হতেই যেন ছন্দ হারালেন তিনি। পাশাপাশি ইনজুরির কারণে শেষ দুটি ম্যাচেও ছিলেন না এই ফাস্ট বোলার। সবকিছু ঠিক থাকলে দুই ম্যাচ পর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে ফিরছেন তাসকিন! এই মুহূর্তে দল হিসেবে বাংলাদেশ প্রবল চাপে, স্বীকার করে নিলেন ডানহাতি এই পেসার।
শনিবার ডাচদের বিপক্ষে সেরাটা দিয়ে হারের বৃত্ত ভাঙতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী তিনি। স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ জিতে শুরু করলেও পরের চার ম্যাচে হেরে এই মুহূর্তে কোণঠাসা সাকিব আল হাসানরা। সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে আসলেও যে পারফরম্যান্স হওয়ার কথা, তেমন কিছুই হচ্ছে না। তাতে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ থেকে ক্রমেই দূরে সরে আসছে। যদিও কাগজে কলমে এখনও টিকে আছে সম্ভবনা।
শেষ চার ম্যাচের সবগুলো জয় এবং অন্যদের জয়-পরাজয়ে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগও থাকবে। পথ হারানো বাংলাদেশ এতদূর চিন্তা করছে না। ম্যাচ ধরে ধরে খেলে শেষ পর্যন্ত এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা তাদের। ইংল্যান্ড, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চারটি ম্যাচে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশ। লাল-সবুজ জার্সিধারীদের যেন স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা।
এভাবে হারের পর প্রবল সমালোচনার শিকার হচ্ছে দল। বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন তাসকিনরা। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তাসকিন বলে গেছেন, ‘এটা তো আসলে হয় কী, যখন খারাপ হয়, তখন আমাদের এই ১৫ জনকেই সব চাপ নিতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই ওটা আমরা নিচ্ছি, সব চাপ নিচ্ছি সমস্যা নেই। আবার যখন ভালো হবে, সবাই মিলে উদযাপন করবো।’ গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের পেস আক্রমণ বিশ্বমানের হয়ে উঠেছে। কিন্তু বিশ্বকাপ শুরু হতেই যেন তারা খেই হারিয়েছে। এই মুহূর্তে দলের মূল শক্তির জায়গা পেস বোলিং।
সেটি ভালো না হওয়াতেই এমন ব্যর্থতা, ‘পেস বোলার ইউনিট হিসেবে আমরা ভালো করছিলাম। হয়তো গত ৫ ম্যাচে তেমন ভালো করতে পারিনি। কোনও অজুহাত না দিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের দিকেই মনোযোগ দিতে পারি। আমরা কীভাবে আরও উন্নতি করতে পারি, এই নিয়ে আমাদের মিটিংও হচ্ছে। নির্দিষ্ট অনুশীলনও করছি। এখন আমাদের পরিকল্পনা এতদিন যা করেছি, তার চেয়েও যদি উন্নতি হয়, তাহলে সন্তুষ্টি নিয়ে ফিরতে পারবো। পেসার হিসেবে আমরা ভালো না করলে জেতাটাও কঠিন। পেস বোলিং আমাদের শক্তির জায়গা।’
শনিবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কলকাতায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ৩৩ বছর পর এই ভেন্যুতে ওয়ানডে খেলবেন সাকিবরা। তাসকিনের বিশ্বাস ডাচদের বিপক্ষে সাফল্য পেতে আগের থেকে ১০ থেকে ১৫ ভাগ ভালো খেললেই হবে, ‘আশা অনুযায়ী তো বোলিং-ব্যাটিং দুটোই হয়নি। আশা করছি যে কালকে আমাদের সেরাটা দিয়ে, যেসব জায়গায় ভুল হয়েছে ওগুলোতে উন্নতি করে; মূল লক্ষ্য জয়ের কোনও বিকল্প নেই।
নিজেদের সেরাটা দিয়ে জিততে চাই। যেসব জায়গায় ভালো হয়নি, সেসব জায়গায় ১০-১৫ শতাংশ উন্নতি করলে হয়তো জেতার সুযোগটা আসবে।’ ছোট দলগুলোর বিপক্ষে খেলতে নেমে বড় দলগুলোকে অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে হয়। ফলে ম্যাচের আগে এই নিয়ে বাড়তি চাপ থাকে। বিশেষ করে খারাপ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেলে, তখন আরও কঠিন হয়ে যায় দলের সাফল্য পাওয়া। বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন তাসকিনও, ‘ম্যাচ হেরে গেলে তো সবই কঠিন।
অবশ্যই এমন ম্যাচগুলোতে আরও বেশি চাপ থাকে। কারণ সবার প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকে। আমরা সবগুলো ম্যাচই জিততে চাই। বললেই তো আর জিততে পারবো না, সঠিক জিনিসগুলো প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই জিততে হবে। এখন শুধু পুরো মনোনিবেশ করে ম্যাচটা জিততে হবে। তারপর পরের ম্যাচগুলো নিয়ে ভাবতে চাই। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারি, তাহলে না জেতার কারণ দেখি না। জিতবো ইনশাআল্লাহ।’
আরো পড়ুনঃ কী হবে ২৮ অক্টোবর: দুই পক্ষের ‘অনড় অবস্থানে’ বাড়ছে উদ্বেগ