স্পেনকে হারিয়ে ইউরোর শিরোপা ইংল্যান্ডের
০৯ জুলাই ২০২৩ ১১:২৬ মিনিট

২০২১ সালে বড়দের ইউরোর ফাইনালে ইতালির কাছে হেরে রানার্সআপ হয়েছিল ইংল্যান্ড। নিজ দেশের মাটিতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিলো থ্রি লায়ন্সদের। গেল বছরই ইংলিশ নারী দল অবশ্য পেয়েছিলো ইউরো জয়ের স্বাদ। এবার সেই পথেই হাঁটলো ইংলিশ তরুণরা। নাটকীয় ফাইনালে স্পেনকে হারিয়ে ৩৯ বছর পর অনূর্ধ্ব–২১ ইউরোর শিরোপা জিতল ইংলিশরা।
সেমিফাইনালের মতো এদিনও ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন লিভারপুলের মিডফিল্ডার কার্টিস জোন্স। অনূর্ধ্ব-২১ পর্যায়ে এটি ইংল্যান্ডের তৃতীয় ইউরো শিরোপা। এর আগে ১৯৮২ ও ১৯৮৪ সালে ইউরোর শিরোপা ঘরে তুলেছিল তারা।
শেষ মুহূর্তে দারুণভাবে পেনাল্টি ঠেকিয়ে জয়ের নায়ক হয়েছেন গোলকিপার জেমস ট্রাফোর্ড। ট্রাফোর্ড ৯৯ মিনিটে আবেল রুইজের পেনাল্টি ঠেকিয়ে না দিলে সমতায় ফিরতে পারত স্পেন, আর তখন ম্যাচও চলে যেত অতিরিক্ত সময়ে। এর আগে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে জয়সূচক গোলটি আসে কার্টিস জোন্সের কাছ থেকে। ম্যাচে ফেরার জন্য দ্বিতীয়ার্ধে স্পেন বেশ চেষ্টা করেও আলোর মুখ দেখেনি। শেষ দিকে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়ে ম্যাচে। ১০০ ও ১০১ মিনিটের মাথায় দুই দলেরই একজন করে খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেছেন।
টুর্নামেন্টজুড়ে দারুণ খেলা স্পেন এই ম্যাচেও খেলেছে দাপুটে ফুটবল। ৬৫ শতাংশ বলের দখল রেখে ২১টি শট নিয়ে একবার বল জালে জড়াতে পারে তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রুইজের সেই গোল বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের ফাঁদে পড়ে। এই টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে ১৩ গোল করেছে স্পেন দল, কিন্তু ফাইনালে এসে কাঙ্ক্ষিত গোলটি আর পায়নি তারা।
অন্যদিকে, ম্যাচের বেশির ভাগ সময় চাপে থাকলেও সুযোগ কাজে লাগিয়ে গোল আদায় করে নিয়েছেন লি কার্সলের শিষ্যরা। শিরোপা জয়ের সঙ্গে ইংল্যান্ড আরও একটি রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে। প্রতিযোগিতার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৬ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি ইংলিশরা।
শিরোপা জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ইংলিশ কোচ লি কার্সল বলেন, ‘আমার ধারণা, এই জয় ছেলেদের পাদপ্রদীপের আলোয় নিয়ে আসবে। এই দলটি দেখিয়েছে, তারা জিততে পারে। আমরা কোনো ক্লাব দল নই, কিন্তু আমরা যদি আরও এক মাস একসঙ্গে কাজ করতে পারতাম, তাহলে আরও বেশি নিয়ন্ত্রিত ফুটবল খেলতে পারতাম।’
তবে, শিরোপা না পেলেও হতাশ নন স্পেন কোচ সান্তি দেনিয়া। নিজের শিষ্যদের অর্জনকে নিয়ে গর্ব প্রকাশ করেছেন তিনি।