ইউরোপের যে সাত দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২৪ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:৩৭ মিনিট


পোস্ট ফটো

দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ, ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। এছাড়া ইউরোপের প্রায় সব দেশেই জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা প্রাপ্তি যেমন সহজ, তেমনি খরচও অনেক কম।

বর্তমানে ইউরোপের যে দেশগুলোর ভিসা সহজে পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ইত্যাদি।   এছাড়া অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পোল্যান্ড, এই ভিসার মাধ্যমে, আপনি এই ২৬ টি ইউরোপীয় দেশে অবাধে ভ্রমণ করতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকতে পারবেন।


ফ্রান্স

ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী একটি দেশ। ফ্রান্সে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায় সহজেই। তবে সেক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসাও সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে খুব সহজেই কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন। ফ্রান্সের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি শক্তিশালী শক্তি ছিল। ফ্রান্সের বিপ্লব, যা ১৭৮৯ সালে শুরু হয়েছিল, ইউরোপীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। বিপ্লব একটি নতুন সরকারের প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করেছিল যা মানবাধিকারের ধারণাকে সমর্থন করেছিল। ফ্রান্স তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে আল্পস, পিরেনিজ এবং ভূমধ্যসাগর সহ বিভিন্ন ধরণের ভূদৃশ্য রয়েছে। ফ্রান্সে অনেকগুলি সুন্দর গ্রাম, শহর এবং দ্বীপও রয়েছে।


ফ্রান্সে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: আইফেল টাওয়ার:

বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণগুলির মধ্যে একটি, আইফেল টাওয়ার প্যারিসের একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক।

লুভর মিউজিয়াম: বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসা, ভেনুসের জন্ম এবং অন্যান্য অনেক বিখ্যাত শিল্পকর্ম রয়েছে।

প্যারিসের ক্যাথেড্রাল নটর-ডাম: একটি সুন্দর গোথিক ক্যাথেড্রাল যা ১২ শতকে নির্মিত হয়েছিল।

ভার্সাই প্রাসাদ: ফরাসি বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের রাজাদের বাসস্থান ছিল।

মন্তে কার্লো: ফ্রান্সের দক্ষিণে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল ক্যাসিনো শহর।

কনস্টানস হ্রদ: ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদগুলির মধ্যে একটি।


ফ্রান্স ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

ফরাসি ভাষা শিখুন বা এর কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

ফ্রান্সে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

ফ্রান্সে মুদ্রা ইউরো।

ফ্রান্সে খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে।

ফ্রান্সে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।


পর্তুগাল

অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগালকে। কারণ, পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ। পর্তুগালে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। এছাড়া ভ্রমণ ও পড়াশোনার জন্য সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। পর্তুগাল ইউরোপের দক্ষিণে অবস্থিত একটি দেশ যা তার সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি, প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ দর্শকদের আকর্ষণ করে। পর্তুগালের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি শক্তিশালী শক্তি ছিল। পর্তুগাল ছিল ইউরোপের প্রথম দেশ যা আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকা আবিষ্কার করে। পর্তুগাল তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। পর্তুগিজ ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে একটি। পর্তুগিজ সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী পরিচিত। পর্তুগাল তার স্যুপ, পাস্তা এবং পেস্ট্রির জন্যও বিখ্যাত। পর্তুগাল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে আটলান্টিক মহাসাগর, পর্বতমালা, নদী এবং হ্রদ সহ বিভিন্ন ধরণের ভূদৃশ্য রয়েছে। পর্তুগালে অনেকগুলি সুন্দর গ্রাম, শহর এবং দ্বীপও রয়েছে।


পর্তুগালে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: লিসবন:

>> পর্তুগালের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর, লিসবন তার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।

>> কোইমব্রা: ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটির অবস্থান, কোইমব্রা তার ঐতিহাসিক কেন্দ্রের জন্য বিখ্যাত।

>> সিনট্রা: ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান, সিনTRA তার সুন্দর প্রাসাদ এবং দুর্গগুলির জন্য বিখ্যাত।

>> পোর্তু: পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, পোর্তু তার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং ওয়াইন উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত।

>> আলগাভে: পর্তুগালের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত একটি সুন্দর উপকূলীয় অঞ্চল, আলগাভে তার সৈকত, রিসর্ট এবং ঐতিহাসিক শহরগুলির জন্য বিখ্যাত।


পর্তুগাল ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

>> পর্তুগিজ ভাষা শিখুন বা এর কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

>> পর্তুগালে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

>> পর্তুগালে মুদ্রা ইউরো।

>> পর্তুগালে খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে।

>> পর্তুগালে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।


পর্তুগালের কিছু বিশেষত্ব

>> পর্তুগাল ইউরোপের বৃহত্তম সামুদ্রিক শক্তি ছিল।

>> ১৫ শতকে, পর্তুগাল আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকা আবিষ্কার করে।

>> পর্তুগিজরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাণিজ্য এবং উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে।

>> পর্তুগাল ইউরোপের দীর্ঘতম উপকূলরেখার দেশ।

>> পর্তুগালের উপকূলরেখার দৈর্ঘ্য প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার।


মাল্টা

মাল্টা ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশ। বর্তমানে প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশ থেকে মাল্টায় কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। ইউরোপের এই দেশে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে কাজ নিয়ে মাল্টায় যাচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসাপ্রাপ্তিও বেশ সহজ। ইউরোপের অন্যদেশগুলোর তুলনায় মাল্টায় যেতে খরচও বেশ কম। মাল্টার ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে ওঠে। মাল্টা ১৫৩০ সালে স্পেনের অধীনে আসে এবং পরে ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সের অধীনে আসে। ১৮১৫ সালে মাল্টা ব্রিটিশদের অধীনে আসে এবং ১৯৬৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। মাল্টা তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। দেশটিতে ইতালিয়ান, ইংরেজি এবং মালেটি ভাষা প্রচলিত। মাল্টা তার শিল্প, সঙ্গীত, থিয়েটার এবং সাহিত্যের জন্যও বিখ্যাত।


মাল্টায় অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

>> ভ্যালেটা: মাল্টার রাজধানী, ভ্যালেটা তার ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের জন্য বিখ্যাত।

>> মারসাস্ক্লো: মাল্টার একটি সুন্দর শহর যা তার সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলীয় দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।

>> গোজো: মাল্টার একটি দ্বীপ যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলির জন্য বিখ্যাত।

>> হাল-সাফলিনি: মাল্টার একটি দ্বীপ যা তার প্রাচীন মন্দিরগুলির জন্য বিখ্যাত।


সুইজারল্যান্ড

পর্যটনের অন্যতম দেশ সুইজারল্যান্ড। সবসময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যান পর্যটকরা। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যান। কারণ, সহজেই সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন। আবার পড়াশোনা জন্য ভিসাপ্রাপ্তি সহজ। সেক্ষেত্রে ভালো আইইএলটিএস স্কোর ও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সুইজারল্যান্ডের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে ওঠে। সুইজারল্যান্ড ১৩ শতকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে ওঠে। সুইজারল্যান্ড তার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত। দেশটিতে চারটি জাতীয় ভাষা রয়েছে: জার্মান, ফরাসি, ইতালিয়ান এবং রোমানশ। সুইজারল্যান্ড তার শিল্প, সঙ্গীত, থিয়েটার এবং সাহিত্যের জন্যও বিখ্যাত।


সুইজারল্যান্ডে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: জেনেভা:

>> সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, জেনেভা তার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির জন্য বিখ্যাত।

>> জুরিখ: সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর, জুরিখ তার ব্যাংকিং, আর্থিক পরিষেবা এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

>> বের্নে: সুইজারল্যান্ডের রাজধানী, বের্নে তার ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের জন্য বিখ্যাত।

>> ইন্টারলাকেন: সুইজারল্যান্ডের একটি সুন্দর শহর যা আল্পসের পাদদেশে অবস্থিত।

>> লুগানো: সুইজারল্যান্ডের দক্ষিণে অবস্থিত একটি সুন্দর শহর যা তার হ্রদ এবং উপত্যকার জন্য বিখ্যাত।


সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

>> জার্মান, ফরাসি, ইতালিয়ান বা রোমানশ ভাষার কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

>> সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

>> সুইজারল্যান্ডে মুদ্রা সুইস ফ্রাঙ্ক।

>> সুইজারল্যান্ডে খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে।

>> সুইজারল্যান্ডে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।

>> সুইজারল্যান্ড একটি সুন্দর এবং বহুমুখী দেশ যা পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু অফার করে। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা উপভোগ করেন তবে সুইজারল্যান্ড অবশ্যই আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত গন্তব্য।


হাঙ্গেরি

পর্যটনের অন্যতম দেশ সুইজারল্যান্ড। সবসময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যান পর্যটকরা। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যান। কারণ, সহজেই সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন। আবার পড়াশোনা জন্য ভিসাপ্রাপ্তি সহজ। সেক্ষেত্রে ভালো আইইএলটিএস স্কোর ও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। হাঙ্গেরি মধ্য ইউরোপের একটি স্থলবেষ্টিত প্রজাতন্ত্র। এর উত্তরে স্লোভাকিয়া, উত্তর-পূর্বে ইউক্রেন, পূর্বে রোমানিয়া, দক্ষিণে সার্বিয়া, মন্টেনিগ্রো, ক্রোয়েশিয়া ও স্লোভেনিয়া, এবং পশ্চিমে অস্ট্রিয়া অবস্থিত। হাঙ্গেরির রাজধানী ও বৃহত্তম শহর বুদাপেস্ট। হাঙ্গেরির জনসংখ্যা প্রায় ৯.৭ মিলিয়ন। এর সরকারব্যবস্থা প্রজাতন্ত্রী। হাঙ্গেরির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান। হাঙ্গেরির অর্থনীতি মূলত কৃষি ও শিল্পভিত্তিক। কৃষিখাতে গম, ভুট্টা, সূর্যমুখী, মিষ্টি বিট, লাল মরিচ ও ভেড়া পালন প্রধান। শিল্পখাতে রাসায়নিক, বিদ্যুৎ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, লৌহ ও ইস্পাত, মেশিন নির্মাণ ও পর্যটন প্রধান। হাঙ্গেরির সংস্কৃতি সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যময়। হাঙ্গেরীয়রা তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। হাঙ্গেরির কিছু বিখ্যাত ঐতিহ্যবাহী খাবারের মধ্যে রয়েছে গুলাশ, ল্যাংওশ, প্যানকেক, এবং ওয়াইন। হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য। এছাড়াও, এটি ন্যাটো, ইকোনমিক কমিউনিটি অফ সেন্ট্রাল ইউরোপ (সিইইসি), এবং ইউরোপীয় মুক্ত বাণিজ্য সংস্থা (ইইএফটিএ) এর সদস্য।


হাঙ্গেরির পর্যটন

হাঙ্গেরি একটি জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। দেশটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতি পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। হাঙ্গেরির কিছু বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে বুদাপেস্টের রাজকীয় প্রাসাদ, বুদাপেস্টের সংসদ ভবন, আবুডা, হেলেভিটস পর্বতমালা, এবং বালাটন হ্রদ।


নেদারল্যান্ড

সবর্তমানে নেদারল্যান্ডসের স্টুডেন্ট ভিসাও অনেক সহজ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ডসে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করেছে, তাদের সকলেই ভিসা পেয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে।


লিথুয়ানিয়া

সুইডেনের বিপরীত পাশে অবস্থিত লিথুয়ানিয়ার শিক্ষার হার প্রায় ৯৯ শতাংশ। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট ভিসায় সুবিধা পাওয়া যায় এই দেশটিতে। তবে লিথুনিয়ায় কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন।


লাটভিয়া

বাল্টিক সাগরের পূর্বদিকে অবস্থিত লাটভিয়া। দেশটিতে স্টুডেন্ট ভিসার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। এছাড়া কাজের জন্যও ভিসা দিয়ে থাকে দেশটি।সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইউরোপের এই দেশগুলোতে ভিসা প্রাপ্তির হার অনেক বেশি। সকল প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করলে খুব সহজেই ভিসা পেয়ে যাবেন। ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন অনলাইনেই। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক কম।


এর মধ্যে রোমানিয়া, ফ্রান্স, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, মালটা এই দেশগুলোতে আপনি অনেক কম খরচে যেতে পারবেন।


বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া যেতে সাধারণত মোট ৮ লাখ থেকে ৯ লাখ টাকা খরচ করতে হবে। ট্যুরিষ্ট ভিসা, ওয়ার্ক ভিসা সহ উচ্চ শিক্ষার জন্য কম খরচে ফ্রান্স যেতে পারবেন। মাত্র ৮ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা খরচ করে যেতে পারবেন পর্তুগাল। মাল্টা যেতে আপনার মোট খরচ এর পরিমান হবে, ৭ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত।

Link copied