বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেবাকারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০২:০২ মিনিট
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী।
পরিচয়:
জন্ম: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭ (বয়স ৭৬ বছর), টুঙ্গিপাড়া
পিতা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি
মাতা: বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গমাতা
স্বামী: এম এ ওয়াজেদ মিয়া (বিবাহ. ১৯৬৭–২০০৯)
সন্তান: সজীব ওয়াজেদ, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল
শিক্ষা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক
রাজনৈতিক কর্মজীবন:
১৯৬৭: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত
১৯৭৫: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর লন্ডনে নির্বাসনে যান
১৯৮১: আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত
১৯৯৬-২০০১: প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন
২০০৯-বর্তমান: দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন
অর্জন:
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত
দারিদ্র্য হ্রাস: দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে কমিয়েছে
নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর শিক্ষা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
ডিজিটাল বাংলাদেশ: তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ
চ্যালেঞ্জ:
দুর্নীতি: দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা
মানবাধিকার: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ
বিরোধী দলের সাথে সম্পর্ক: তিক্ত সম্পর্ক
পরিবেশ: পরিবেশ দূষণ বৃদ্ধি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার গুরুত্ব
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে একজন গুরুত্বপূর্ণ নেত্রী। তিনি দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রী এবং তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তার গুরুত্বের কয়েকটি কারণ:
১) দীর্ঘতম সময় ধরে দায়িত্ব পালন:
১৯৯৬-২০০১: প্রথমবারের মত প্রধানমন্ত্রী
২০০৯-বর্তমান: দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী
২) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি:
জিডিপি প্রবৃদ্ধি: দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি
দারিদ্র্য হ্রাস: দারিদ্র্যের হার অর্ধেকে কমিয়েছে
পোশাক শিল্পের উন্নয়ন: পোশাক রপ্তানি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন
অবকাঠামোগত উন্নয়ন: বিদ্যুৎ, সড়ক, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
৩) নারীর ক্ষমতায়ন:
নারীর শিক্ষা বৃদ্ধি: মেয়েদের শিক্ষার হার বৃদ্ধি
নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধি: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি
নারীর জন্য আইনি সুরক্ষা: নারীর অধিকার রক্ষার জন্য আইন প্রণয়ন
৪) ডিজিটাল বাংলাদেশ:
তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি: ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বৃদ্ধি, ডিজিটাল সেবা প্রদান
ই-গভর্নেন্স: সরকারি সেবা অনলাইনে প্রদান
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবদান: ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা
৫) পদ্মা সেতু:
বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু: দক্ষিণ ও পশ্চিম বাংলাদেশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান: দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার
৬) আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভূমিকা:
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশগ্রহণ: বিশ্ব শান্তিতে অবদান
আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত: বিশ্ব নেতাদের কাছে সম্মানিত
প্রাথমিক জীবন ও রাজনৈতিক কর্মজীবন:
শেখ হাসিনার জন্ম ও পরিবার:
জন্ম:
শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন।তার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।তার মাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গমাতা খ্যাত।শেখ হাসিনা পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়।
পরিবার:
শেখ হাসিনার বিয়ে হয় এম. এ. ওয়াজেদের সাথে।তাদের দুটি সন্তান - সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) এবং সায়মা ওয়াজেদ হোসেন (কন্যা)।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান।
শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন:
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি দীর্ঘ ও ঝঞ্ঝাপূর্ণ রাজনৈতিক জীবনে বহু বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী নেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন।
শেখ হাসিনার অবদান:
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক থেকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি লাভ করেছে। শেখ হাসিনা একজন দূরদর্শী নেত্রী এবং তার নীতি-নির্ধারণ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
শিক্ষা ও রাজনৈতিক কর্মজীবনের শুরু
শিক্ষা:
শেখ হাসিনা ঢাকার ধানমন্ডি গার্লস' হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক কর্মজীবনের শুরু:
শেখ হাসিনা ছাত্রজীবনেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
১৯৬৪ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৭ সালে তিনি ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান:
মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ হাসিনা ভারতে মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত 'মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ সরকার'-এর উপদেষ্টা ছিলেন।
স্বাধীনতার পর:
স্বাধীনতার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানে তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন।
শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান।
নির্বাসনে জীবন:
শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসনে জীবনযাপন করেন।
নির্বাসনে থাকাকালীন তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সম্পর্ক:
শেখ হাসিনা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা। তাদের সম্পর্ক ছিল পিতা-কন্যার সম্পর্কের চেয়েও বেশি। শেখ হাসিনা তার পিতার রাজনৈতিক কর্মজীবনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার কন্যাকে খুব ভালোবাসতেন এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সামরিক অভ্যুত্থানে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্য নিহত হন। শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সে সময় পশ্চিম জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যান। নির্বাসনে থাকাকালীন শেখ হাসিনা তার পিতার আদর্শ ধারণ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেন। ১৯৮১ সালে দেশে প্রত্যাবর্তন করার পর শেখ হাসিনা বাংলাদেশের একজন প্রভাবশালী নেত্রী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সম্পর্ক ছিল স্নেহ, ভালোবাসা ও পরস্পর শ্রদ্ধার সম্পর্ক।
মুক্তিযুদ্ধে অবদান:
শেখ হাসিনা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ছাত্রলীগের নেত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে ছিলেন। তিনি মুজিবনগর সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য ও কাজ করেন।
শেখ হাসিনার কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ:
১৯৭১ সালের মার্চ মাসে তিনি লন্ডনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে একটি বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
তিনি "বাংলাদেশ স্বাধীনতা কমিটি" গঠনে ভূমিকা রাখেন যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের জন্য কাজ করে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রশিক্ষণ ক্যাম্প স্থাপনে ও তাদের অস্ত্র সরবরাহে সহায়তা করেন।
শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০০৯ সাল থেকে এই পদে আছেন। তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল:
বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ-আয়ের দেশে পরিণত করা।
দারিদ্র্য দূর করা।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন করা।
মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
এই লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য তিনি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে কিছু হল:
"মুজিব বর্ষ" উদযাপন করা।
"স্মার্ট বাংলাদেশ" পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা।
"ডেল্টা প্ল্যান ২১০০" বাস্তবায়ন করা।
"বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১" বাস্তবায়ন করা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন:
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি ২০০৯ সাল থেকে এই পদে আছেন। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘতম সময় ধরে সরকার প্রধান। তার এই দীর্ঘ সময়ের কার্যকালে বাংলাদেশ অনেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন করেছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন:
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেক বেড়েছে।
দারিদ্র্য অনেক কমেছে।
মাথাপিছু আয় অনেক বেড়েছে।
বাংলাদেশ এখন একটি নিম্ন-মাঝারি আয়ের দেশ।
সামাজিক উন্নয়নঃ
শিক্ষার হার অনেক বেড়েছে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
নারীর ক্ষমতায়নে অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত হয়েছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন:
বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেড়েছে।
সড়ক যানবাহন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
রেল যানবাহন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
নৌ যানবাহন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
বিমান যানবাহন ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ:
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অনেক সম্ভাবনাময়। দেশটি অনেক দিক থেকে দ্রুত অগ্রগতি করছে। অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক সুচকগুলো উন্নত হচ্ছে। অবকাঠামো দ্রুত উন্নত হচ্ছে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হল:
দারিদ্র্য দূর করা
অসমতা দূর করা
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা করা
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলা করা
দুর্নীতি দূর করা
যদি বাংলাদেশ এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারে তাহলে দেশটি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হতে পারবে।
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ হল:
জনসংখ্যার লাভাংশ উপভোগ করা
অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য আনা
প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা
মানবসম্পদ উন্নয়ন করা
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নত করা
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নত করা:
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নত করা বর্তমান সময়ের একটি জরুরি প্রয়োজন। কারণ আইসিটি বর্তমান বিশ্বের চালিকাশক্তি এবং ভবিষ্যতের কর্মক্ষেত্রে এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে। তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য কিছু পদক্ষেপ:
১. পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ:
বর্তমান বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করা।
ব্যবহারিক জ্ঞান ও দক্ষতার উপর জোর দেওয়া।
মুখস্থ বিদ্যার পরিবর্তে ধারণাগত জ্ঞানের উপর জোর দেওয়া।
আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহার করা, যেমন - প্রজেক্ট ওয়ার্ক, অ্যাসাইনমেন্ট, ভাইভা ইত্যাদি।
২. শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ:
আইসিটি শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি সম্পর্কে তাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা।
তাদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ সুবিধা নিশ্চিত করা।
৩. প্রযুক্তির ব্যবহার:
শিক্ষাক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা।
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা।
অনলাইন শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার ঘটানো।
৪. পর্যাপ্ত অবকাঠামো:
স্কুল ও কলেজগুলোতে আইসিটি ল্যাব স্থাপন করা।
ল্যাবগুলোতে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করা।
৫. সরকারি সহায়তা:
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি করা।
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে উৎসাহিত করা।
তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষার জন্য জ্ঞানবৃত্তি প্রদান করা।
দারিদ্র্য দূর করার জন্য কিছু কার্যকর পন্থা:
ব্যক্তিগত পর্যায়ে: শিক্ষা:
শিক্ষা মানুষকে দক্ষ করে তোলে এবং উন্নত কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়।
কর্মসংস্থান: স্থায়ী কর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয়ের উৎস সৃষ্টি করা।
স্বাস্থ্যসেবা: সুস্থ থাকলেই মানুষ কাজ করতে পারবে এবং আয়ের উৎস বজায় রাখতে পারবে।
পরিবার পরিকল্পনা: অল্প বয়সে বিয়ে ও অবাঞ্ছিত গর্ভধারণ রোধ করে পরিবারের আর্থিক বোঝা কমানো।
সঞ্চয় ও বিনিয়োগ: ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় ও বিনিয়োগ করার অভ্যাস গড়ে তোলা।
সামাজিক পর্যায়ে:
দারিদ্র্য দূরীকরণ নীতি: সরকারের পক্ষ থেকে দারিদ্র্য দূরীকরণে লক্ষ্য নির্ধারণ করে নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা, ভাতা, বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (SME) উন্নয়ন: SME-র জন্য ঋণ, প্রশিক্ষণ, ও বাজারজাতকরণে সহায়তা প্রদান।
ভূমি সংস্কার: ভূমির মালিকানা ন্যায়সঙ্গতভাবে বন্টন করা।
দুর্নীতি দূরীকরণ: দুর্নীতি দারিদ্র্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, তাই দুর্নীতি দূরীকরণে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে:
সমৃদ্ধ দেশগুলোর সহায়তা: উন্নত দেশগুলোর পক্ষ থেকে দরিদ্র দেশগুলোকে আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান।
বৈশ্বিক ন্যায়বিচার: বাজারে ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোর শোষণ রোধ।
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই: জলবায়ু পরিবর্তন দারিদ্র্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ, তাই এর বিরুদ্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ।