বাংলাদেশ শিক্ষার আলোয় আলোকিত
১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৪:৩৩ মিনিট

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিল ধ্বংসস্তুপে পরিণত। দীর্ঘ যুদ্ধের কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল, শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিলেন অনুপস্থিত, এবং পাঠ্যপুস্তক ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ ছিল অপ্রতুল। এই প্রতিকূল পরিস্থিতি সত্ত্বেও, স্বাধীন বাংলাদেশের সরকার শিক্ষার ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রগতি অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে।
শিক্ষার প্রসার:
স্বাধীনতার পর প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক এবং বিনামূল্যে করা হয়। স্কুল স্থাপন, শিক্ষক নিয়োগ, এবং পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায়ও ব্যাপক প্রসার ঘটে। নতুন নতুন স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
শিক্ষার মান উন্নয়ন:
শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ, পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন, এবং পরীক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নত করার চেষ্টা করা হয়।
শিক্ষার ফলাফল:
স্বাধীনতার পর শিক্ষা ক্ষেত্রে অভাবনীয় অগ্রগতির ফলে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিক্ষার হার বৃদ্ধির ফলে দারিদ্র্য হ্রাস, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এবং মানবসম্পদের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
চ্যালেঞ্জ:
শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। শিক্ষার মানে আরও উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য দূরীকরণ, এবং শিক্ষার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
স্বাধীনতার পর শিক্ষা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যে অগ্রগতি অর্জন করেছে তা অভাবনীয়। তবে এখনও অনেক পথ অতিক্রম করার বাকি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত এক জাতিতে পরিণত করা সম্ভব।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিশেষ করে নারী শিক্ষায়
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বিশেষ করে নারী শিক্ষায়, একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। সরকারের নীতি, কর্মসূচি, এবং বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে এই অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে।
নারী শিক্ষায় অগ্রগতি:
প্রাথমিক শিক্ষায়: স্বাধীনতার পর নারীদের প্রাথমিক শিক্ষার হার ছিল মাত্র 18%। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে 97%।
মাধ্যমিক শিক্ষায়: স্বাধীনতার পর নারীদের মাধ্যমিক শিক্ষার হার ছিল 11%। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে 70%।
উচ্চশিক্ষায়: স্বাধীনতার পর নারীদের উচ্চশিক্ষার হার ছিল 2.5%। ২০২২ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে 38%।
কারণসমূহঃ
সরকারি নীতি: সরকার নারী শিক্ষাকে উৎসাহিত করার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
কর্মসূচি: সরকার নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে নারী শিক্ষার গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন: দারিদ্র্য হ্রাস, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, এবং নারীর ক্ষমতায়নের ফলে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
চ্যালেঞ্জ:
সমাজের রক্ষণশীল মনোভাব: কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাজের রক্ষণশীল মনোভাব নারী শিক্ষার পথে বাধা সৃষ্টি করে।
দারিদ্র্য: দারিদ্র্যের কারণে অনেক পরিবার তাদের মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে পারে না।
বাল্যবিবাহ: বাল্যবিবাহ নারী শিক্ষার একটি বড় বাধা।
ভৌগোলিক অবস্থান: দুর্গম এলাকায় বসবাসকারী মেয়েদের স্কুলে যাওয়া কঠিন।
বাংলাদেশে নারী শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও এখনও অনেক পথ অতিক্রম করার বাকি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে নারী শিক্ষার হার আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব।
সরকারের শিক্ষা-বান্ধব নীতি ও কর্মসূচি
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা হয়েছে। সরকার শিক্ষা-বান্ধব নীতি ও কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এই অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
শিক্ষা-বান্ধব নীতি:
জাতীয় শিক্ষা নীতি, ২০১০: এই নীতির লক্ষ্য হলো সকলের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নীতি, ২০১২: এই নীতির লক্ষ্য হলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।
কারিগরি শিক্ষা নীতি, ২০১৮: এই নীতির লক্ষ্য হলো দক্ষ জনবল তৈরি করা।
শিক্ষা-বান্ধব কর্মসূচি:
প্রাথমিক শিক্ষা সম্প্রসারণ কর্মসূচি (পিইডিপি): এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার হার বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক শিক্ষা ভোটাধিকার কর্মসূচি: এই কর্মসূচির মাধ্যমিক স্তরে জ্ঞানবৃত্তি প্রদান করা হয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ড: এই বোর্ড কারিগরি শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ করে।
নীতি ও কর্মসূচির প্রভাব:
শিক্ষার হার বৃদ্ধি: সরকারের নীতি ও কর্মসূচির ফলে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন: শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
দারিদ্র্য হ্রাস: শিক্ষার প্রসারের ফলে দারিদ্র্য হ্রাস পেয়েছে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বৃদ্ধি অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
চ্যালেঞ্জ:
শিক্ষার মানে আরও উন্নয়ন: শিক্ষার মান আরও উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈষম্য দূরীকরণ: শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য দূরীকরণ করা।
শিক্ষার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি: শিক্ষার জন্য বরাদ্দ বৃদ্ধি করা।
সরকারের শিক্ষা-বান্ধব নীতি ও কর্মসূচি শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে এখনও অনেক পথ অতিক্রম করার বাকি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশকে শিক্ষার আলোয় আলোকিত এক জাতিতে পরিণত করা সম্ভব।
শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যোগের ভূমিকা
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার প্রসার ও মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বেসরকারি উদ্যোগের ভূমিকা:
শিক্ষার প্রসার: বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন: বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রযুক্তি ব্যবহার, এবং উন্নত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখে।
প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ফলে শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়, যা শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক।
বৈচিত্র্য বৃদ্ধি: বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য বৃদ্ধি করে।
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও অন্যান্য কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।
চ্যালেঞ্জ:
মান নিয়ন্ত্রণ: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মান নিয়ন্ত্রণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
সম্পদের অভাব: অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পর্যাপ্ত সম্পদের অভাব রয়েছে।
বৈষম্য: বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার খরচ অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে।
নিয়ন্ত্রণের অভাব: বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে কিছুটা শিথিলতা দেখা যায়।
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করা সম্ভব।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় অবকাঠামোগত উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন:
স্কুল: সরকার নতুন স্কুল স্থাপন, পুরাতন স্কুল সংস্কার, এবং শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে।
কলেজ: সরকার নতুন কলেজ স্থাপন, পুরাতন কলেজ সংস্কার, এবং বিজ্ঞানাগার, লাইব্রেরি, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে মাধ্যমিক স্তরে অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়: সরকার নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার, এবং গবেষণা কেন্দ্র, লাইব্রেরি, এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নয়নের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষায় অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছে।
অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রভাব:
শিক্ষার হার বৃদ্ধি: অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন: উন্নত অবকাঠামো শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক।
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি: উন্নত অবকাঠামো শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি: উন্নত অবকাঠামো শিক্ষকদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
চ্যালেঞ্জঃ
অবকাঠামোগত ঘাটতি: এখনও অনেক এলাকায় স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত ঘাটতি রয়েছে।
মানসম্পন্ন অবকাঠামোর অভাব: অনেক স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন অবকাঠামোর অভাব রয়েছে।
অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ: অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
অর্থায়নের অভাব: অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব রয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের প্রশিক্ষণ
শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের প্রশিক্ষণ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি:
সরকার নিয়োগ: সরকার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বৃদ্ধি করেছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান: বেসরকারি স্কুল, কলেজ, এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকার চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণ:
প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান: সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচি: সরকার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করেছে।
প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রশিক্ষণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রশিক্ষণের প্রভাব:
শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি: প্রশিক্ষণের ফলে শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষার মান উন্নয়ন: শিক্ষকদের দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার মান উন্নয়ন পায়।
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি: দক্ষ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করতে পারে।
চ্যালেঞ্জ:
প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অভাব: এখনও অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে।
প্রশিক্ষণের মান: প্রশিক্ষণের মান সবসময় একই রকম নাও হতে পারে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ: সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করতে পারে না।
প্রশিক্ষণের ব্যয়: প্রশিক্ষণের ব্যয় অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষকদের জন্য বহন করা কঠিন।
শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বৃদ্ধি ও তাদের প্রশিক্ষণ শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন করা সম্ভব।
শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন
শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
শিক্ষা উপকরণের উন্নয়ন:
সরকারের পদক্ষেপ: সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন, এবং শিক্ষা উপকরণ সরবরাহের মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণের উন্নয়নে কাজ করছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা: বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বাজারজাত করে।
পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন:
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি): এনসিটিবি সকল স্তরের শিক্ষার জন্য পাঠ্যক্রম তৈরি ও সংশোধন করে।
পাঠ্যক্রম সংস্কার: সরকার নিয়মিতভাবে পাঠ্যক্রম সংস্কার করে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য।
পাঠ্যক্রমে বিভিন্ন দক্ষতার অন্তর্ভুক্তি: শুধুমাত্র জ্ঞানের পাশাপাশি পাঠ্যক্রমে বিভিন্ন দক্ষতার অন্তর্ভুক্তি করা হচ্ছে।
উন্নয়নের প্রভাব:
শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি: আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করে।
শিক্ষার মান উন্নয়ন: উন্নত শিক্ষা উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম শিক্ষার মান উন্নয়নে সহায়ক।
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা: যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য সহায়ক।
চ্যালেঞ্জ:
উন্নত শিক্ষা উপকরণের অভাব: অনেক স্কুলে এখনও উন্নত শিক্ষা উপকরণের অভাব রয়েছে।
পাঠ্যক্রমের বোঝা: অনেক শিক্ষার্থীর জন্য পাঠ্যক্রমের বোঝা বেশি।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদের নতুন শিক্ষা উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণের প্রয়োজন।
অর্থায়নের অভাব: শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়নের অভাব রয়েছে।
শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এবং সমাজের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়নের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।
শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন
শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিক্ষা উপকরণ ও পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষা উপকরণ এবং পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।
সরকারের পদক্ষেপ:
বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ
মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন
শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ
ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বিতরণ
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা:
বিভিন্ন ধরণের শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও বাজারজাত
অনলাইন শিক্ষা উপকরণ তৈরি ও সরবরাহ
পাঠ্যক্রমের উন্নয়ন:
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি):
সকল স্তরের শিক্ষার জন্য পাঠ্যক্রম তৈরি ও সংশোধন
নতুন নতুন বিষয় ও দক্ষতা অন্তর্ভুক্তি পাঠ্যক্রমকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা
পাঠ্যক্রম সংস্কার:
নিয়মিতভাবে পাঠ্যক্রম সংস্কার
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুসারে পরিবর্তন
শিক্ষাবিদ, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মতামত গ্রহণ
সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি