বাংলাদেশ সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত
১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৫:২৪ মিনিট

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু হয়। তখন দেশের অর্থনীতি ছিল ধ্বংসস্তুপে, জনগণ ছিল দারিদ্র্য ও ক্ষুধার্ত।
দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি
দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি বলতে বোঝায় এমন অর্থনীতি যা দীর্ঘ সময় ধরে উচ্চ হারে জিডিপি (মোট দেশীয় উৎপাদন) বৃদ্ধি অর্জন করে।
উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলো সাধারণত 7% বা তার বেশি হারে জিডিপি বৃদ্ধি অর্জন করে।
জনসংখ্যার দ্রুত বৃদ্ধি: এই দেশগুলোতে সাধারণত উচ্চ জন্মহার থাকে, যার ফলে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঘটে।
নিম্ন মাথাপিছু আয়: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোর মাথাপিছু আয় উন্নত দেশগুলোর তুলনায় কম।
তরুণ জনসংখ্যা: এই দেশগুলোতে তরুণ জনসংখ্যার অনুপাত বেশি থাকে।
বিনিয়োগ বৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে উচ্চ হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
শ্রমশক্তির বৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে শ্রমশক্তির দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।
উন্নত অবকাঠামো: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি বিনিয়োগ করা হয়।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পায়।
প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য বলতে বোঝায় বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, শিল্পকলা, সাহিত্য, খেলাধুলা, রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজসেবা ইত্যাদি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
মহাকাশ গবেষণা: বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
চিকিৎসা বিজ্ঞান: বাংলাদেশের চিকিৎসকরা জটিল অস্ত্রোপচারে সফলতা
অর্জন করেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি: বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প দ্রুত বর্ধনশীল।
শিল্পকলা ও সাহিত্য:
সঙ্গীত: বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পীরা বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন।
সাহিত্য: বাংলাদেশের লেখকরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জিতেছেন।
চলচ্চিত্র: বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।
খেলাধুলা:
ক্রিকেট: বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে খেলেছে এবং টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পেয়েছে।
ফুটবল: বাংলাদেশ ফুটবল দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করছে।
রাজনীতি
স্বাধীনতা অর্জন: বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা: বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনীতি: দারিদ্র্য হ্রাস: বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার অনেকাংশে কমেছে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি
সমাজসেবা: নারীর ক্ষমতায়ন: বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
শিশুশিক্ষা: বাংলাদেশে শিশুশিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রযুক্তির অগ্রগতি:
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): AI বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি, পরিবহন ইত্যাদিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT): IoT আমাদের জীবনকে আরও সহজ এবং স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে পারে।
ব্লকচেইন: ব্লকচেইন লেনদেনকে আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তুলতে পারে।
বিশ্বায়ন:
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি: বিশ্বায়নের ফলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
জ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান: বিশ্বায়নের ফলে জ্ঞান ও প্রযুক্তির আদান-প্রদান বৃদ্ধি পেতে পারে।
সাংস্কৃতিক বিনিময়: বিশ্বায়নের ফলে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধি পেতে পারে।
টেকসই উন্নয়ন:
পরিবেশগত সুরক্ষা: টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি।
সামাজিক ন্যায়বিচার: টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি।
মানবসম্পদের উন্নয়ন:
শিক্ষা: মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য শিক্ষা অপরিহার্য।
স্বাস্থ্যসেবা: মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অপরিহার্য।
কর্মসংস্থান: মানবসম্পদের উন্নয়নের জন্য কর্মসংস্থান অপরিহার্য।
পোশাক শিল্পের অবদান
পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড। এটি দেশের মোট রপ্তানি আয়ের ৮০% এরও বেশি অবদান রাখে এবং ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে কর্মসংস্থান প্রদান করে। পোশাক শিল্পের অবদান কেবল অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অর্থনৈতিক অবদান:
রপ্তানি আয়: পোশাক শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রপ্তানি খাত। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় করেছে ৪২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
কর্মসংস্থান: পোশাক শিল্পে ৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কর্মরত, যার মধ্যে ৮০% এরও বেশি নারী। এটি দেশের সর্ববৃহৎ কর্মসংস্থানকারী খাত।
বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভ: পোশাক রপ্তানি থেকে অর্জিত বিদেশী মুদ্রা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দারিদ্র্য বিমোচন: পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অনেক পরিবার দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে।
অবকাঠামো উন্নয়ন: পোশাক শিল্পের প্রসারের ফলে দেশে অবকাঠামো উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
সামাজিক অবদান:
নারীর ক্ষমতায়ন: পোশাক শিল্পে নারীর কর্মসংস্থানের ফলে তাদের আর্থিক স্বাধীনতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের সামাজিক অবস্থান উন্নত হয়েছে।
শিক্ষার হার বৃদ্ধি: পোশাক শিল্পে কর্মরত পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য বেশি বেশি ব্যয় করছে। ফলে দেশে শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন: পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজনৈতিক অবদান:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা: পোশাক শিল্পের প্রসারের ফলে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: পোশাক শিল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে व्यापारिक সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
নতুন শিল্পের উত্থান
নতুন শিল্পের উত্থান বলতে বোঝায় প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, বাজারের চাহিদা এবং উদ্ভাবনের ফলে নতুন নতুন শিল্পের বিকাশ ও প্রসার।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI): AI বিভিন্ন ক্ষেত্র যেমন চিকিৎসা, শিক্ষা, কৃষি, পরিবহন ইত্যাদিতে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
ইন্টারনেট অফ থিংস: আমাদের জীবনকে আরও সহজ এবং স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে পারে।
ব্লকচেইন: ব্লকচেইন লেনদেনকে আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তুলতে পারে।
ফিনটেক: ফিনটেক আর্থিক সেবাগুলিকে আরও অ্যাক্সেসযোগ্য এবং সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে।
নবায়নযোগ্য : নবায়নযোগ্য : বিদ্যুৎ আমাদের পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব কমাতে পারে।
নতুন শিল্পের উত্থানের কারণ:
প্রযুক্তিগত অগ্রগতি: প্রযুক্তিগত অগ্রগতি নতুন নতুন পণ্য ও সেবা তৈরির সুযোগ তৈরি করে।
বাজারের চাহিদা: বাজারে নতুন নতুন চাহিদা তৈরি হচ্ছে যা নতুন শিল্পের উত্থানকে ত্বরান্বিত করে।
উদ্ভাবন: উদ্ভাবনী ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন শিল্পের সূচনা করছে।
নতুন শিল্পের উত্থানের সুবিধা:
নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ: নতুন শিল্প নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: নতুন শিল্প অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
জীবনযাত্রার মান উন্নত: নতুন শিল্প আমাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে।
নতুন শিল্পের উত্থানের চ্যালেঞ্জ:
প্রতিযোগিতা: নতুন শিল্পে প্রতিযোগিতা অনেক বেশি।
দক্ষ কর্মীর অভাব: নতুন শিল্পে দক্ষ কর্মীর অভাব দেখা দিতে পারে।
নীতিগত চ্যালেঞ্জ: নতুন শিল্পের জন্য নীতিমালা প্রণয়নে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ
ডিজিটাল বাংলাদেশ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজে রূপান্তর করার একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য:
সকলের জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুযোগ প্রদান করা
সরকারি সেবাগুলিকে ডিজিটালাইজ করা
জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তোলা
কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা
দারিদ্র্য বিমোচন করা
ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি:
গত কয়েক বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে
সরকারি সেবাগুলিকে ডিজিটালাইজ করা হয়েছে
অনলাইনে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে
ডিজিটাল বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ:
ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
ডিজিটাল বিভাজন একটি বড় সমস্যা
অনেক মানুষ এখনও তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে জানে না
তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নত করার প্রয়োজন
ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ:
সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ডিজিটাল বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল বলে আশা করা
ডিজিটাল বাংলাদেশের সাফল্য নির্ভর করবে:
সরকার, বেসরকারি খাত এবং জনগণের মধ্যে সমন্বয়
তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন
ডিজিটাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ
ডিজিটাল সার্ভিসেসের প্রসার
সমৃদ্ধ সংস্কৃতি
সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বলতে বোঝায় এমন একটি সংস্কৃতি যা দীর্ঘ ইতিহাস, বৈচিত্র্যময় ঐতিহ্য, সৃজনশীল অভিব্যক্তি এবং জীবন্ত রীতিনীতির দ্বারা সমৃদ্ধ।
সমৃদ্ধ সংস্কৃতির কিছু বৈশিষ্ট্য:
দীর্ঘ ইতিহাস: সমৃদ্ধ সংস্কৃতির দীর্ঘ ইতিহাস থাকে যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ধারণ করে আসা হয়। এই ইতিহাস ঐতিহ্য, রীতিনীতি, শিল্প, সাহিত্য এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক উপাদানের মাধ্যমে প্রকাশ পায়।
বৈচিত্র্য: সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে বিভিন্ন ধর্ম, জাতি, ভাষা এবং ঐতিহ্যের মানুষের সমন্বয় থাকে। এই বৈচিত্র্য সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করে তোলে এবং বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
সৃজনশীল অভিব্যক্তি: সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রশিল্প এবং অন্যান্য শিল্পকলার মাধ্যমে সৃজনশীল অভিব্যক্তির একটি শক্তিশালী ঐতিহ্য থাকে।
জীবন্ত রীতিনীতি: সমৃদ্ধ সংস্কৃতিতে রীতিনীতি এবং উৎসবগুলি জীবন্ত এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই রীতিনীতিগুলি ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য এবং সংহতি তৈরি করে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি: বাংলাদেশের সংস্কৃতি হাজার বছরের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। এটি বিভিন্ন ধর্ম, জাতি এবং ভাষার মানুষের সমন্বয়ে গঠিত। বাংলা সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য এবং চিত্রশিল্প বিশ্বখ্যাত।
জাপানের সংস্কৃতি: জাপানের সংস্কৃতি ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার একটি অনন্য মিশ্রণ। জাপানি ঐতিহ্যবাহী শিল্প, যেমন চা অনুষ্ঠান এবং কাবুকি থিয়েটার, বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
মেক্সিকোর সংস্কৃতি: মেক্সিকোর সংস্কৃতি স্থানীয় আমেরিকান, ইউরোপীয় এবং আফ্রিকান ঐতিহ্যের সমন্বয়ে গঠিত। মেক্সিকান সঙ্গীত, নৃত্য এবং খাবার বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়
পরিচয়: সমৃদ্ধ সংস্কৃতি একটি সম্প্রদায় বা জাতির পরিচয়ের অনুভূতি প্রদান করে।
ঐক্য: সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিভিন্ন ধরণের মানুষকে একত্রিত করে এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য তৈরি করে।
সৃজনশীলতা: সমৃদ্ধ সংস্কৃতি সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করে এবং নতুন ধারণার বিকাশকে সমর্থন করে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: সমৃদ্ধ সংস্কৃতি পর্যটন এবং অন্যান্য শিল্পকে উৎসাহিত করে যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে
ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার পুনরুজ্জীবন
সংস্কৃতি সংরক্ষণ: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। এগুলো হারিয়ে গেলে আমাদের সংস্কৃতি অনেক সমৃদ্ধ হবে।
কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার পুনরুজ্জীবনের মাধ্যমে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
পুনরুজ্জীবনের পদক্ষেপ:
সচেতনতা বৃদ্ধি: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার প্রতি মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
প্রশিক্ষণ প্রদান: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলায় নতুন প্রজন্মকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা: সরকারের পক্ষ থেকে ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষকতা করা।
বাজারজাতকরণ: ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলার পণ্যের বাজারজাতকরণ উন্নত করা।
বাংলার নকশি কাঁথা: নকশি কাঁথা বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্পকলা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টার মাধ্যমে নকশি কাঁথার পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।
জামদানি: জামদানি বাংলার ঐতিহ্যবাহী সূক্ষ্ম মসলিন শাড়ি। জামদানি শাড়ি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
মৃৎশিল্প: বাংলার মৃৎশিল্প বিশ্বখ্যাত। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টার মাধ্যমে মৃৎশিল্পের পুনরুজ্জীবন ঘটেছে।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি
অর্থনৈতিক উন্নয়ন: গত কয়েক দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন অর্জন করেছে। দারিদ্র্য হ্রাস, জিডিপি বৃদ্ধি, এবং নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
শান্তিরক্ষা অভিযানে অবদান: বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে সবচেয়ে বেশি সৈন্য পাঠানো দেশগুলোর মধ্যে একটি।
মানবিক সহায়তা: বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় প্রদানের মাধ্যমে মানবিক সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সংস্কৃতি: বাংলার সমৃদ্ধ সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত।
নেতিবাচক দিক:
মানবাধিকার লঙ্ঘন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের সমালোচনা করা হয়।
দুর্নীতি: দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা।
রাজনৈতিক অস্থিরতা: রাজনৈতিক অস্থিরতা বাংলাদেশের ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
পরিবেশগত সমস্যা: পরিবেশ দূষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
ভবিষ্যতের দিকে:
অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখা: বাংলাদেশকে তার অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে।
মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন: মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের মাধ্যমে সমালোচনা কমাতে হবে।
দুর্নীতি দূরীকরণ: দুর্নীতি দূরীকরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা: রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে হবে।
পরিবেশগত সমস্যা
পরিবেশগত সমস্যা বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টকারী যেকোনো ঘটনা বা প্রক্রিয়া।
প্রকারভেদ:
বায়ু দূষণ: যানবাহন, কলকারখানা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ইত্যাদি থেকে নির্গত ধোঁয়া ও ক্ষতিকর গ্যাসের কারণে বায়ু দূষিত হয়।
জল দূষণ: কলকারখানার বর্জ্য, কৃষি রাসায়নিক, প্লাস্টিক, ইত্যাদি জলাশয়ে মিশে জল দূষিত করে।
মাটি দূষণ: রাসায়নিক সার, কীটনাশক, প্লাস্টিক, ইত্যাদি মাটিতে মিশে মাটি দূষিত করে।
শব্দ দূষণ: যানবাহন, নির্মাণ কাজ, ইত্যাদি থেকে উচ্চ শব্দের কারণে শব্দ দূষণ ঘটে।
জলবায়ু পরিবর্তন: গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তন ঘটছে।
বন উজাড়: কৃষি জমি বৃদ্ধি, কাঠ পাচার, ইত্যাদির জন্য বন উজাড় করা হচ্ছে।
জীববৈচিত্র্য হ্রাস: বাসস্থান ধ্বংস, দূষণ, ইত্যাদির কারণে জীববৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে