দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০ দিনে ছয় বাংলাদেশি খুন
১২ জুলাই ২০২৩ ১১:২২ মিনিট

দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ২০ দিনে ছয় বাংলাদেশি খুন হয়েছে। গত মাসের শেষ সপপ্তাহ থেকে জোহানসবার্গ, ফ্রি স্টেট, ইস্টার্নকেপ, কেপটাউন প্রদেশ ও এলাকাগুলোতে এ ঘটনাগুলো ঘটে। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার (১০ ও ১১ জুলাই) দুই বাংলাদেশি খুন হন। এছাড়া জুন মাসের শেষ সপ্তাহে চার প্রবাসী দেশটিতে অপমৃত্যুর শিকার হয়েছেন।
গত মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে কেপটাউনের লিডেন ডেল্ফ এলাকায় বাংলাদেশি নাজমুল হোসেনের ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা করে একদল বন্দুকধারী। এ সময় নাজমুল হোসেনকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায় বন্দুকধারীরা। নাজমুলের দেশের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার দুধমুখা এলাকায় বলে জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (১০ জুলাই) জোহানসবার্গের পস্তুরাস এলাকায় ডাকাতের গুলিতে শামীম নামের এক বাংলাদেশি খুন হয়েছে। প্রবাসীরা জানান, চাঁদা না পেয়ে দোকানের বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা শামীমকে লক্ষ্য করে গুলি করলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। তার দেশের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায়।
গত ২৬ জুন ফ্রি স্টেট প্রদেশের বুসাবেলোতে রিগান ইসলাম নামে এক বাংলাদেশিকে গুলি করা হত্যা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগে থেকে ওঁতপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। তারা ধারণা করছেন, রিগান টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন।
তার আগে গত ২৫ জুন রাত সাড়ে ৭টার দিকে ইস্টার্নকেপ প্রভিন্সের স্টেকস্প্রিট শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকানে ঢুকে আব্দুল মতিন নামে এক প্রবাসীকে ডাকাত দল গুলি করে হত্যা করে নগদ অর্থ, মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চলে যায়। তার দেশের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন ওই এলাকায় ব্যবসা করে আসছিলেন।
এছাড়াও গত ২৪ জুন সন্ধ্যার পর জোহানেসবার্গ শহরের ব্রামফন্টেইনে বাংলাদেশি মালিকানাধীন দোকানে ডাকাতির সময় বাধা দিতে গেলে মাকসুদুর রহমান মহসিন নামের এক প্রবাসীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার দেশের বাড়ি কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলায় বলে জানা গেছে
একইদিন সন্ধ্যার পর জোহানেসবারর্গের সুয়েটোতে প্রবীণ বাংলাদেশি, কমিউনিটির পরিচিত মুখ মোহাম্মদ হারুন নিজ দোকানে ডাকাতদের গুলিতে নিহত হন। তার দেশের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাটে।
প্রবাসীদের অপমৃত্যু নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শাখা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও কমিউনিটি সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিস রহমান বলেন, প্রবাসীদের সতর্কভাবে চলাফেরা করতে হবে। পরিস্থিতি এখন অনেক কঠিন হয়ে গেছে। মরদেহ দেশে পাঠানো ও মামলা চালানোর জন্য যতটা সম্ভব ভোক্তভোগী প্রবাসীদের পাশে থেকে তাদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।