‘হঠাৎ বৃষ্টি’ নিয়ে ফেরদৌসের স্মৃতিকাতরতা
২০ নভেম্বর ২০২৩ ০১:৪০ মিনিট

সিনেমায় নায়ক ফেরদৌসের অভিষেক ১৯৯৭ সালে, ‘বুকের ভিতর আগুন’ ছবির মাধ্যমে। যেখানে মূলত প্রয়াত নায়ক সালমান শাহর অসমাপ্ত কাজটি সম্পন্ন করতে যোগ দেন তিনি। তবে ফেরদৌসকে নায়ক হিসেবে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা এনে দেয় যে ছবিটি, সেটার নাম ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এটি। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার ছবিটি দুই বাংলাতেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। এতে ফেরদৌসের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদীর রসায়ন মন জিতে নেয় দর্শকের। বাসু চ্যাটার্জী নির্মিত ছবিটির ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে সম্প্রতি। এ উপলক্ষে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র চিত্রনাট্য ও শিল্পী-কুশলীদের অভিজ্ঞতা জড়ো করে একটি বই সম্পাদনা করেছেন ছটকু আহমেদ। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ‘চিত্রনাট্য ও অন্যান্য প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ছবিটির ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র নায়ক ফেরদৌস। এছাড়া ছবিটির প্রযোজক হাবিবুর রহমান খান, ইমপ্রেস টেলিফিল্ম লিমিটেড ও চ্যানেল আইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, চিত্রনায়ক রিয়াজ, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিকভাবে অন্য সবার চেয়ে কিঞ্চিত বেশি আপ্লুত ফেরদৌস। তিনি বললেন, “চোখের পলকে যেন ২৫টা বছর পার হয়ে গেলো। বেশ নান্দনিক একটা আয়োজনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের কিছু অসাধারণ মানুষ এবং কিংবদন্তি নির্মাতা, প্রযোজকদের সাথে নিয়ে এবং চ্যানেল আই পরিবারের সঙ্গে আমরা ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র বইটির মোড়ক উন্মোচন করছি। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার পিতৃতুল্য, ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র প্রযোজক হাবিব আঙ্কলকে, আমাকে এই অসাধারণ বইটি উপহার দেওয়ার জন্য। ধন্যবাদ প্রিয় পরিচালক ছটকু ভাইকে, অসীম সাহসী এই উদ্যোগ নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বইটি প্রকাশ করার জন্য। আপনি সুযোগ দিয়েছেন বলেই আজ আমি ফেরদৌস হয়েছি; আপনি কষ্ট করেছেন বলেই আজ এই বইটি প্রকাশিত হয়েছে।” এই বই তৈরির পেছনের ঘটনা প্রসঙ্গে ফেরদৌস জানান, হাবিবুর রহমান প্রযোজিত প্রায় সব ছবির ওপর বই রয়েছে। তাই তিনি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’কে নিয়েও একটি বই করার অনুরোধ জানান। সেটাই বাস্তবায়িত হলো অবশেষে। ২০২০ সালে মারা গেছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র নির্মাতা বাসু চ্যাটার্জী। ফলে তিনি তো না-ই, ছবির নায়িকা কিংবা কলকাতার কোনও শিল্পীকেও এই অনুষ্ঠানে পাওয়া যায়নি। তবে ছবির নায়িকা প্রিয়াঙ্কা, শ্রীলেখা মিত্র, জুন মালিয়া, সংগীত পরিচালক নচিকেতা চক্রবর্তীসহ অনেকেই তাদের অভিজ্ঞতা লিখেছেন বইটিতে। তাদের স্মরণ করে ফেরদৌস সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ভীষণ মিস করেছি বাসু দা, বাসু চ্যাটার্জী; আমার বন্ধু, আমার গুরু, আমার মেন্টর, আমার পরিচালক, আমার ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র কারিগরকে। ভালো থেকো বাসু দা। প্রিয়াঙ্কা, জুন, শ্রীলেখা, মনোজ দা, নচিকেতা দা (ছবির সংগীত পরিচালক) এবং ছবির কুশলীরা থাকলে আয়োজনটি পরিপূর্ণ হতো। তোমরা না থাকলে ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ হতোই না।” উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া তামিল ছবি ‘কাধাল কত্তাই’ ছবির রিমেক এই ‘হঠাৎ বৃষ্টি’। তবু গল্প ও নির্মাণের জোরে ছবিটি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে রেকর্ড পরিমাণ ব্যবসা করেছিল।