বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ জন সঙ্গীতশিল্পী
০৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:৩৪ মিনিট
বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্প অত্যন্ত সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময়। বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতধারার শিল্পীরা বাংলাদেশে জনপ্রিয়। তবে, কিছু শিল্পী তাদের অনন্য প্রতিভা এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছেন।
এখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ১০ জন সঙ্গীতশিল্পীর একটি তালিকা রয়েছে:
১. আব্দুল হামিদ
আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আবেগপূর্ণ গানগুলির জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ধারক। আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী। তিনি ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার বারহাট্টা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই লোকসংগীতের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি স্থানীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে লোকসংগীতের তালিম নেন। আব্দুল হামিদ ১৯৬০-এর দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে গ্রামীণ রেডিওতে গান গাইতেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি টেলিভিশনে গান গাওয়া শুরু করেন।
তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয় হন। আব্দুল হামিদ বিভিন্ন ধরনের লোকসংগীত পরিবেশন করেন। তিনি বাংলার গ্রামীণ লোকসংগীত, মুর্শিদী গান, জারগণী, বাউল গান, ভাওয়াইয়া, ভাটিয়ালি, ঢপলি, ঝুমুর, সারি, টুংটাং, ঠুমরি, মুদ্রা, খেমটা, কাওয়ালী, সারদাস, রামপ্রসাদ সেনের গান, লালন ফকিরের গান ইত্যাদি পরিবেশন করেন। আব্দুল হামিদ তার গানের মাধ্যমে বাংলার লোকসংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি বাংলা লোকসংগীতের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
আব্দুল হামিদের উল্লেখযোগ্য গানঃ
১."আমার প্রিয় নারী"
২."আমার গ্রাম আমার দোলা"
৩."আমার মায়ের দেশ"
৪."আমার বুকের মাঝে"
৫."আমি চাই বাংলাদেশ"
৬."আমি চলে যাব"
৭."ওরে চাঁদরে বেনারসি"
৮."ওরে শ্যাম সুন্দর"
আব্দুল হামিদ প্রাপ্ত পুরুষ্কার ও সম্মাননাঃ
১.একুশে পদক (২০০৭)
২.স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৬)
৩.বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পদক (১৯৯৭)
৪.জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৮৩)
৫.বাচসাস পুরস্কার (১৯৭৬)
৬.থিয়েটার গুণীজন পুরস্কার (২০০২)
৭.টেলিভিশন আকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৮)
৮.লোকসংগীত একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৯)
২. আহমেদ রফিক
আহমেদ রফিক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলা গানের এক কিংবদন্তি। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আধুনিক গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব। আহমেদ রফিক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ১৯২৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি স্থানীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে গান শেখান। আহমেদ রফিক ১৯৫০-এর দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে রেডিওতে গান গাইতেন।
১৯৬০-এর দশকে তিনি টেলিভিশনে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয় হন। আহমেদ রফিক বিভিন্ন ধরনের আধুনিক গান পরিবেশন করেন। তিনি বাংলার দেশাত্মবোধক গান, প্রেমের গান, ঐতিহ্যবাহী গান, লোকগীতি, গজল, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ইত্যাদি পরিবেশন করেন। আহমেদ রফিক তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি বাংলা সঙ্গীতের একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।
আহমেদ রফিকের উল্লেখযোগ্য গান
১."আমার সোনার বাংলা"
২."আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো"
৩."ওরে শ্যাম সুন্দর"
৪."ওরে সোনার বাংলা"
৫."আমি তোমার চাঁদনী রাতে"
৬."আমার মনের ছবি তুমি"
৭."আমার প্রিয় নারী"
৮."আমার গ্রাম আমার দোলা"
আহমেদ রফিকের মৃত্যু
আহমেদ রফিক ২০২৩ সালের ১২ জুলাই ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলা সংস্কৃতি জগতে এক শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।
আহমেদ রফিকের গানের বৈশিষ্ট্য
আহমেদ রফিকের গানের বৈশিষ্ট্য হলো তার সুন্দর কণ্ঠস্বর, সাবলীল উপস্থাপনা এবং গভীর আবেগ। তার গানে বাংলা সংস্কৃতির আবহ ফুটে ওঠে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। আহমেদ রফিক বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সংস্কৃতিতে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
৩. সাবিনা ইয়াসমিন
সাবিনা ইয়াসমিন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং বাংলা গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৭২ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন। সাবিনা ইয়াসমিন ১৯৭২ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে রেডিওতে গান গাইতেন। ১৯৭৩ সালে তিনি "শুধু গান গেয়ে পরিচয়" গান দিয়ে চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয় হন। সাবিনা ইয়াসমিন বিভিন্ন ধরনের বাংলা গান পরিবেশন করেন। তিনি দেশাত্মবোধক গান, প্রেমের গান, ঐতিহ্যবাহী গান, লোকগীতি, গজল, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ইত্যাদি পরিবেশন করেন। সাবিনা ইয়াসমিন তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। তিনি বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব।
সাবিনা ইয়াসমিনের উল্লেখযোগ্য:
গান "শুধু গান গেয়ে পরিচয়"
১."এ সুখের নেই কোন সীমানা"
২."আমি তোমার চাঁদনী রাতে"
৩."আমার মনের ছবি তুমি"
৪."আমার প্রিয় নারী"
৫."ওরে শ্যাম সুন্দর"
৬."ওরে সোনার বাংলা"
৭."আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো"
সাবিনা ইয়াসমিন প্রাপ্ত পুরস্কার ও সম্মাননা
১.একুশে পদক (২০০৭)
২.স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৬)
৩.বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী পদক (১৯৯৭)
৪.জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭৫)
৫.বাচসাস পুরস্কার (১৯৭৬)
৬.থিয়েটার গুণীজন পুরস্কার (২০০২)
৭.টেলিভিশন আকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৮)
৮.লোকসংগীত একাডেমী পুরস্কার (১৯৮৯)
সাবিনা ইয়াসমিনের গানের বৈশিষ্ট্য
সাবিনা ইয়াসমিনের গানের বৈশিষ্ট্য হলো তার সুন্দর কণ্ঠস্বর, সাবলীল উপস্থাপনা এবং গভীর আবেগ। তার গানে বাংলা সংস্কৃতির আবহ ফুটে ওঠে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। সাবিনা ইয়াসমিন বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সংস্কৃতিতে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
সাবিনা ইয়াসমিনের গানের কিছু বিশেষত্ব
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে তুলে ধরেছেন।
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছেন।
৪. এন্ড্রু কিশোর
এন্ড্রু কিশোর বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী। তিনি বাংলা গানের এক কিংবদন্তি। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আধুনিক গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব। এন্ড্রু কিশোর কুমার বাড়ৈ (মঞ্চনাম এন্ড্রু কিশোর হিসাবেই অধিক পরিচিত; ৪ নভেম্বর ১৯৫৫ - ৬ জুলাই ২০২০) ছিলেন একজন বাংলাদেশী গায়ক। তিনি বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, যে'জন্য তিনি 'প্লেব্যাক সম্রাট' নামে পরিচিত। তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে "জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প", "হায়রে মানুষ রঙ্গীন ফানুস", "ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে", "আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি", "আমার বুকের মধ্যে খানে", "আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন", "ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা", "সবাই তো ভালোবাসা চায়" প্রভৃতি।
প্রাথমিক জীবন
এন্ড্রু কিশোর ১৯৫৫ সালের ৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা এবং মাতা ছিলেন গৃহিণী। তিনি ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়ার প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি স্থানীয় শিক্ষকদের কাছ থেকে গান শেখান।
কর্মজীবন
এন্ড্রু কিশোর ১৯৭৭ সালে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে রেডিওতে গান গাইতেন। ১৯৭৮ সালে তিনি "মেইল ট্রেন" চলচ্চিত্রের "অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তাঁর কেউ" গান দিয়ে চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয় হন। এন্ড্রু কিশোর বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি দেশাত্মবোধক গান, প্রেমের গান, ঐতিহ্যবাহী গান, লোকগীতি, গজল, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ইত্যাদি পরিবেশন করেছেন। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
এন্ড্রু কিশোর তার গানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১০টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৪টি বাচসাস পুরস্কার, ৪টি টেলিভিশন আকাদেমি পুরস্কার, ৪টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ১টি কেরালা গভর্নমেন্ট ফিল্ম পুরস্কার, ১টি থাইল্যান্ড ফিল্ম পুরস্কার এবং ১টি ভারতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন।
এন্ড্রু কিশোরের গানের বৈশিষ্ট্য
এন্ড্রু কিশোরের গানের বৈশিষ্ট্য হলো তার সুন্দর কণ্ঠস্বর, সাবলীল উপস্থাপনা এবং গভীর আবেগ। তার গানে বাংলা সংস্কৃতির আবহ ফুটে ওঠে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। এন্ড্রু কিশোর বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সংস্কৃতিতে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
এন্ড্রু কিশোরের গানের কিছু বিশেষত্ব
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে তুলে ধরেছেন। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছেন।
৫। রুনা লায়লা
রুনা লায়লা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং বাংলা গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। রুনা লায়লা ১৯৭০-এর দশকে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি প্রথমে রেডিওতে গান গাইতেন। ১৯৭২ সালে তিনি "অগ্নিপরীক্ষা" চলচ্চিত্রের "ওরে শ্যাম সুন্দর" গান দিয়ে চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করেন। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং সাবলীল উপস্থাপনার জন্য জনপ্রিয় হন। রুনা লায়লা বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তিনি দেশাত্মবোধক গান, প্রেমের গান, ঐতিহ্যবাহী গান, লোকগীতি, গজল, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ইত্যাদি পরিবেশন করেছেন। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। রুনা লায়লা তার গানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৩টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, ৫টি বাচসাস পুরস্কার, ৫টি টেলিভিশন আকাদেমি পুরস্কার, ৫টি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ১টি কেরালা গভর্নমেন্ট ফিল্ম পুরস্কার এবং ১টি ভারতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। রুনা লায়লা তার গানের বৈশিষ্ট্য হলো তার সুন্দর কণ্ঠস্বর, সাবলীল উপস্থাপনা এবং গভীর আবেগ। তার গানে বাংলা সংস্কৃতির আবহ ফুটে ওঠে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। রুনা লায়লা বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সংস্কৃতিতে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
রুনা লায়লার গানের কিছু বিশেষত্ব
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলা সংস্কৃতির বিভিন্ন দিককে তুলে ধরেছেন।
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন।
তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করেছেন।
রুনা লায়লার উল্লেখযোগ্য গান
"ওরে শ্যাম সুন্দর"
"এ সুখের নেই কোন সীমানা"
"আমি তোমার চাঁদনী রাতে"
"আমার মনের ছবি তুমি"
"আমার প্রিয় নারী"
"ওরে সোনার বাংলা"
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো"
"এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেওনা"
রুনা লায়লা একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী শিল্পী। তিনি একজন দক্ষ গজল শিল্পীও। তিনি ভারত, পাকিস্তান, ইরান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র প্রভৃতি দেশে গজল পরিবেশন করেছেন। তিনি তার গজল গানের মাধ্যমেও বাংলা সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন। রুনা লায়লা একজন সফল ব্যবসায়ীও। তিনি একজন সফল রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী। তিনি "রুনা লায়লা কনসার্ট প্রোডাকশন" নামে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানেরও মালিক।
৬। ফেরদৌসী রহমান
ফেরদৌসী রহমান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং বাংলা গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। ফেরদৌসী রহমান ১৯৪১ সালের ২৮ জুন ব্রিটিশ ভারতের কোচবিহারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন পল্লীগীতি সম্রাট আব্বাস উদ্দিন। ছোটবেলা থেকেই তিনি গানে হাতে খড়ি হয় তার পিতার কাছে। পরবর্তীতে ওস্তাদ মোহাম্মদ হোসেন খসরু, ইউসুফ খান কোরেইশী, কাদের জামেরী, গুল মোহাম্মদ খান প্রমূখ সঙ্গীতজ্ঞের কাছে তালিম নিয়েছেন।
কর্মজীবন
ফেরদৌসী রহমান ১৯৫৫ সালে মাত্র ৮ বছর বয়সে রেডিওতে গান করেন। ১৯৬০ সালে তিনি "আসিয়া" নামের চলচ্চিত্রে প্রথম প্লে ব্যাক করেন। ৬০ ও ৭০-এর দশকের বহু চলচ্চিত্রে তিনি নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে যুক্ত ছিলেন। তার প্লে ব্যাক করা চলচ্চিত্রের সংখ্যা ২৫০-এর কাছাকাছি। ফেরদৌসী রহমান ১৯৬০ সালে ইউনেস্কো ফেলোশীপ পেয়ে লন্ডনের ট্রিনিটি কলেজ অব মিউজিক থেকে ৬ মাসের সঙ্গীতের ওপর স্টাফ নোটেশন কোর্স সম্পন্ন করেন। ফেরদৌসী রহমান তার গানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৭৭ সালে একুশে পদক, ১৯৯৫ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ২০১৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ফেরদৌসী রহমানের গানের বৈশিষ্ট্য
ফেরদৌসী রহমানের গানের বৈশিষ্ট্য হলো তার সুন্দর কণ্ঠস্বর, সাবলীল উপস্থাপনা এবং গভীর আবেগ। তার গানে বাংলা সংস্কৃতির আবহ ফুটে ওঠে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বাংলার মানুষের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। ফেরদৌসী রহমান বাংলা সঙ্গীতের একজন অন্যতম প্রধান নারী ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা সংস্কৃতিতে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
ফেরদৌসী রহমানের উল্লেখযোগ্য গান
"ও কি গাড়িয়াল ভাই"
"মাঝি বাইয়া যাওরে"
"লোকে বলে বলেরে"
"আল্লা মেঘ দে"
"ও মুই না শোন"
"বাপুই চেংড়ারে"
"যে জন প্রেমের ভাব"
"আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি"
৭। কনকচাঁপা
কনকচাঁপা বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আবেগপূর্ণ গানগুলির জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ধারক।
৮। মমতাজ
মমতাজ বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আবেগপূর্ণ গানগুলির জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতির একজন গুরুত্বপূর্ণ ধারক।
৯। আইয়ুব বাচ্চু
আইয়ুব বাচ্চু বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলা গানের এক কিংবদন্তি। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং রক সঙ্গীতের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব।
১০। ওয়াহিদুল হক
ওয়াহিদুল হক বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বাংলা গানের এক কিংবদন্তি। তিনি তার সুন্দর কণ্ঠস্বর এবং আধুনিক গানের জন্য পরিচিত। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পের অন্যতম প্রধান পুরুষ ব্যক্তিত্ব। এই তালিকাটি সম্পূর্ণ নয়। বাংলাদেশের আরও অনেক জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রয়েছেন। তবে, এই শিল্পীরা তাদের অনন্য প্রতিভা এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গীত শিল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।