সেরা ১৫ জন বাঙালি কৌতুক অভিনেতা
০৯ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:১০ মিনিট
বাঙালি কৌতুক অভিনেতাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তাদের অভিনয় দক্ষতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের নাম নিম্নরূপ:
অরুণ চক্রবর্তী (১৯৩৩-২০১১)
উত্তম কুমার (১৯২৬-১৯৮০)
আলমগীর (জন্ম ১৯৪৯)
নাদিম (১৯৪৮-২০১৪)
আনোয়ার হোসেন (১৯৩৫-২০০৭)
মমতাজ আলী খান (১৯৩০-১৯৯৯)
জাহাঙ্গীর আলম (১৯৪৩-২০১৪)
আহমেদ জামান চৌধুরী (১৯৩৯-২০১২)
আফজাল শরীফ (জন্ম ১৯৪৬)
শহীদুল আলম সাচ্চু (জন্ম ১৯৫২)
মৌসুমী হামিদ (জন্ম ১৯৭৩)
সিদ্দিকুর রহমান (জন্ম ১৯৬৮)
শাহীন আলম (জন্ম ১৯৭০)
এই অভিনেতারা তাদের নিজস্ব অনন্য শৈলী এবং ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেছেন। তারা তাদের অভিনয়ের মাধ্যমে হাসির খোরাক দিয়েছেন, কিন্তু তাদের অভিনয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলনও ঘটেছে। এই অভিনেতাদের মধ্যে অরুণ চক্রবর্তীকে বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের জনক বলা হয়। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি "অরুণ চক্রবর্তী স্টাইল" নামে একটি অনন্য শৈলী তৈরি করেছিলেন, যা তার পরবর্তী কৌতুক অভিনেতাদের অনুপ্রাণিত করেছে। উত্তম কুমার ছিলেন একজন বিশিষ্ট অভিনেতা, যিনি তার অভিনয় দক্ষতার মাধ্যমে সকল শ্রেণীর দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি কৌতুক অভিনয়েও ছিলেন পারদর্শী। তিনি "আমার ভুল" চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আলমগীর একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি কৌতুক অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন। তিনি "মিয়া ভাই" চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। নাদিম ছিলেন একজন জনপ্রিয় অভিনেতা, যিনি কৌতুক অভিনয়ের পাশাপাশি নাটক, টেলিফিল্ম এবং বিজ্ঞাপনেও অভিনয় করেছেন। তিনি "সবার উপরে প্রেম" চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এই অভিনেতাদের পাশাপাশি আরও অনেক বাঙালি কৌতুক অভিনেতা আছেন যারা তাদের অভিনয় দক্ষতা এবং উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তারা বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন।
১. অরুণ চক্রবর্তী
অরুণ চক্রবর্তী (১৯৩৩-২০১১) ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, যিনি তার কৌতুক অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনিকে বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের জনক বলা হয়।
জন্ম ও শিক্ষা
অরুণ চক্রবর্তী ১৯৩৩ সালের ২ জানুয়ারি কলকাতার একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। অরুণ চক্রবর্তী কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন
অরুণ চক্রবর্তী তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০-এর দশকে। তিনি প্রথমে একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "রাজা রামমোহন রায়", "শঙ্খচূড়", "অগ্নিপরীক্ষা" ইত্যাদি। ১৯৬০-এর দশকে অরুণ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি প্রথমে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার নাম "ইস্ক"। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "আমার ভুল", "দেবদাস", "সোনার কাজল", "আশার আলো" ইত্যাদি। অরুণ চক্রবর্তী তার কৌতুক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। তার অভিনয় ছিল অত্যন্ত বাস্তবধর্মী এবং হাস্যরসাত্মক। অরুণ চক্রবর্তী তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে "আমার ভুল" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু
অরুণ চক্রবর্তী ২০১১ সালের ১১ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৭৮ বছর বয়সে মারা যান।
অরুণ চক্রবর্তীর উল্লেখযোগ্য
চলচ্চিত্র আমার ভুল (১৯৭৬)
দেবদাস (১৯৭৬)
সোনার কাজল (১৯৭৮)
আশার আলো (১৯৮১)
কাঁচের চশমা (১৯৮২)
ভালবাসার ঘর (১৯৮৩)
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে (১৯৮৩)
আঁধারের ভেতর আলো (১৯৮৪)
অরুণ চক্রবর্তীর উল্লেখযোগ্য
মঞ্চ নাটক রাজা রামমোহন রায় শঙ্খচূড় অগ্নিপরীক্ষা মহাভারত রামায়ণ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য শকুন্তলা মিলন সীতা
অরুণ চক্রবর্তী বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের হাসির খোরাক দিয়েছেন, কিন্তু তার অভিনয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলনও ঘটেছে। তিনি "অরুণ চক্রবর্তী স্টাইল" নামে একটি অনন্য শৈলী তৈরি করেছিলেন, যা তার পরবর্তী কৌতুক অভিনেতাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
২. উত্তম কুমার
উত্তম কুমার (১৯২৬-১৯৮০) ছিলেন একজন ভারতীয়-বাঙালি চলচ্চিত্র অভিনেতা, চিত্রপ্রযোজক, পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে তাঁকে 'মহানায়ক' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। উত্তম কুমারকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জাত অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জন্ম ও শিক্ষা
উত্তম কুমার ১৯২৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর কলকাতার অহিরিতলায় একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। উত্তম কুমার কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
উত্তম কুমার তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৪৭ সালে। তিনি প্রথমে একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "রাজা রামমোহন রায়", "শঙ্খচূড়", "অগ্নিপরীক্ষা" ইত্যাদি। ১৯৫২ সালে উত্তম কুমার চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি প্রথমে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার নাম "মহানায়ক"। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "অভিযান", "সাত নম্বর ব্লক", "দুই নম্বর বাড়ি", "শঙ্খচূড়", "চাওয়া পাওয়া", "দেবদাস", "অমানুষ", "সোনার কাজল", "আলোর পথের দিশারী", "আশার আলো" ইত্যাদি। উত্তম কুমার তার অভিনয়ের মাধ্যমে সকল শ্রেণীর দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রাণ অভিনেতা, যিনি তার অভিনয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন। উত্তম কুমার তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি পাঁচবার জাতীয় পুরস্কার, আটবার বিএফজেএ পুরস্কার (যা দ্বিতীয় সর্বাধিক) ও তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ১৯৭৫ সালে "অমানুষ" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার সম্মাননা হিসেবে পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু
উত্তম কুমার ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৫৪ বছর বয়সে মারা যান।
উত্তম কুমারের উল্লেখযোগ্য
চলচ্চিত্র অভিযান (১৯৫২)
সাত নম্বর ব্লক (১৯৫৩)
দুই নম্বর বাড়ি (১৯৫৫)
শঙ্খচূড় (১৯৫৬)
চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯)
দেবদাস (১৯৫৫)
অমানুষ (১৯৭৪)
সোনার কাজল (১৯৭৮)
আলোর পথের দিশারী (১৯৭৯)
আশার আলো (১৯৮১)
উত্তম কুমারের অবদান উত্তম কুমার বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রতিভাবান অভিনেতা, যিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ শিল্পী, যিনি তার কাজের মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয়ে চিরকালের জন্য বেঁচে থাকবেন।
৩.সিদ্দিকুর রহমান
সিদ্দিকুর রহমান একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন অভিনেতা। তিনি এক পর্বের টেলিভিশন নাটক ও ধারাবাহিকে বেশিরভাগ সময় কমেডি চরিত্রে অভিনয় করে থাকেন। ২০১৩ সালে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘এইতো ভালোবাসা’ মুক্তি পেয়েছিল। তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন অভীনেত্রী নিপুন।
জন্ম ও শিক্ষা
সিদ্দিকুর রহমান ১৯৭৮ সালের ২৫ জুন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মোহাম্মদ আলী খান এবং মায়ের নাম মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। তিনি মধুপুরের মধুপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং টাঙ্গাইলের সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তারপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
সিদ্দিকুর রহমান তার কর্মজীবন শুরু করেন একজন সহকারী পরিচালক হিসেবে। তিনি ২০০৫ সালে দীপংকর দীপন নির্মিত “রৌদ্র ও রোদেলার কাব্য” নাটকে “কাউয়া সিদ্দিক” চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নাটকে অভিনয় শুরু করেন। পরবর্তিতে ফাহামির পরিচালনায় কবি বলেছেন ও ধারাবাহিক নাটক হাউসফুলের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
সিদ্দিকুর রহমান অভিনীত জনপ্রিয় নাটক ও ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কবি বলেছেন
হাউসফুল
হ্যালো ছাইয়্যা ছাইয়্যা
গ্ৰ্যাজুয়েট
মাইক
হাম্বা
বন্ধু এবং ভালোবাসা সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ড্যান্স ডিরেক্টর আমি নাটক বানাতে চাই চৈতা পাগল বরিশালের মামা ভাগ্নে আমাদের সংসার চন্দ্র বিন্দু রেডিও চকলেট পুরস্কার ও সম্মাননা সিদ্দিকুর রহমান তার অভিনয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২০১৩) নাট্য আকাদেমি পুরস্কার (২০১৪) বাচসাস পুরস্কার (২০১৫) টেলিভিশন নাট্যধারা পুরস্কার (২০১৬)
৪. অরুন চক্রবর্তী
অরুণ চক্রবর্তী ছিলেন একজন বাংলাদেশী অভিনেতা, যিনি তার কৌতুক অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তিনিকে বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের জনক বলা হয়।
জন্ম ও শিক্ষা
অরুণ চক্রবর্তী ১৯৩৩ সালের ২ জানুয়ারি কলকাতার একটি বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। অরুণ চক্রবর্তী কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন।
কর্মজীবন
অরুণ চক্রবর্তী তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৫০-এর দশকে। তিনি প্রথমে একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "রাজা রামমোহন রায়", "শঙ্খচূড়", "অগ্নিপরীক্ষা" ইত্যাদি। ১৯৬০-এর দশকে অরুণ চক্রবর্তী চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি প্রথমে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার নাম "ইস্ক"। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "আমার ভুল", "দেবদাস", "সোনার কাজল", "আশার আলো" ইত্যাদি। অরুণ চক্রবর্তী তার কৌতুক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। তার অভিনয় ছিল অত্যন্ত বাস্তবধর্মী এবং হাস্যরসাত্মক। অরুণ চক্রবর্তী তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৭৬ সালে "আমার ভুল" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
মৃত্যু
অরুণ চক্রবর্তী ২০১১ সালের ১১ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ৭৮ বছর বয়সে মারা যান।
অরুণ চক্রবর্তীর উল্লেখযোগ্য
চলচ্চিত্র আমার ভুল (১৯৭৬)
দেবদাস (১৯৭৬)
সোনার কাজল (১৯৭৮)
আশার আলো (১৯৮১)
কাঁচের চশমা (১৯৮২)
ভালবাসার ঘর (১৯৮৩)
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে (১৯৮৩)
আঁধারের ভেতর আলো (১৯৮৪)
অরুণ চক্রবর্তীর উল্লেখযোগ্য মঞ্চ নাটক
রাজা রামমোহন রায়
শঙ্খচূড়
অগ্নিপরীক্ষা
মহাভারত
রামায়ণ
চন্দ্রগুপ্ত
মৌর্য
শকুন্তলা
মিলন সীতা।
৪. আফজাল শরীফ
আফজাল শরীফ হলেন একজন বাংলাদেশী টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি তার কৌতুক অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত।
জন্ম ও শিক্ষা
আফজাল শরীফ ১৯৪৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। আফজাল শরীফ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
কর্মজীবন
আফজাল শরীফ তার কর্মজীবন শুরু করেন ১৯৭০-এর দশকে। তিনি প্রথমে একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বেশ কয়েকটি মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "সাত ভাই চম্পা", "আয়না ঝুলছে", "ভুলো যাও সব দুঃখ" ইত্যাদি। ১৯৮০-এর দশকে আফজাল শরীফ চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি প্রথমে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার নাম "আশার আলো"। এরপর তিনি বেশ কয়েকটি বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল "সোনার কাজল", "আশার আলো", "আঁধারের ভেতর আলো", "মায়ের চোখের মণি", "ভালোবাসা তুমি কোথায়", "প্রেমের তাজমহল", "আমার বন্ধু রাশেদ", "আমার প্রেমিকা শ্রাবণী" ইত্যাদি। আফজাল শরীফ তার কৌতুক অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। তার অভিনয় ছিল অত্যন্ত বাস্তবধর্মী এবং হাস্যরসাত্মক। আফজাল শরীফ তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। তিনি ১৯৮৬ সালে "সোনার কাজল" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আফজাল শরীফ বাঙালি কৌতুক অভিনয়ের ক্ষেত্রে এক অসামান্য অবদান রেখেছেন। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের হাসির খোরাক দিয়েছেন, কিন্তু তার অভিনয়ে সমাজের নানা অসঙ্গতি এবং সমস্যার প্রতিফলনও ঘটেছে। তিনি "আফজাল শরীফ স্টাইল" নামে একটি অনন্য শৈলী তৈরি করেছিলেন, যা তার পরবর্তী কৌতুক অভিনেতাদের অনুপ্রাণিত করেছে।