মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ঘিরে আদালতে হট্টগোল

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২০ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০০ মিনিট


পোস্ট ফটো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় জামিনের আবেদন ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। জামিন শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। এসময় বিএনপির আইনজীবীরা প্রতিবাদ করেন। এসময় আদালতে হট্টগোল হয়।
সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।
এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষ অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন। আইনজীবীরা জানান, জামিন শুনানিতে পিপির কোনও প্রয়োজন নেই। আদালতে কোনও বিবিধ মামলার শুনানিতে পিপি উপস্থিতির প্রয়োজন পড়েনি। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান। বিচারক পরে তারিখ জানাবেন বললে আদালত কক্ষে মৃদু হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
এদিন বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রকাশ্যে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণা ছাড়া এজলাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দিনের অন্য মামলা শুনানি করতে বাধা দেন আইনজীবীরা। এমতাবস্থায় ৩টা ১৪ মিনিটে কোনও সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এজলাস থেকে নেমে যান।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মো. মোহসিন মিয়াসহ প্রমুখ।
পরে রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২২ নভেম্বর মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ২৯ অক্টোবর মির্জা ফখরুলকে গুলশান-২ এর ৭১ নম্বর সড়কের ১৮ নম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালায় কিছু লোক। এ ঘটনায় মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির ৫৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতাকর্মীরা হাতে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাস ভবনের সামনে বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তারা বৈশাখী পরিবহনের বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাঙচুর করে আনুমানিক ২০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
মিছিলকারীরা বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি শোটা, লোহার রড, ইটপাটকেল ও ককটেলসহ (বিস্ফোরক) বেআইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে রাস্তায় জনসাধারনের ও যানবাহনের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যানবাহনের ক্ষতিসাধন, জনমনে আতঙ্ক, ত্রাস সৃষ্টি করে পুলিশের সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা ও হত্যার উদ্দেশে আক্রমণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ সদস্যদের আহত করে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল অব. আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, আবদুস সালাম, ভিপি জয়নাল, উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য, ড. ফরহাদ খালিম ডোনার, শাহজাদা মিয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, আতাউর রহমান ঢালি, আব্দুল খায়ের ভূঁইয়া, আমিনুল হক, ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, আসাদুল কমির শাহিন, তরিকুল ইসলাম তেজনি, মনির হোসেন, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, মীর সরাফত আলী শফু, রফিকুল ইসলাম বকুল, অমিরুল ইসলাম আলিম।

Link copied