রাজনীতি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৭:৩৯ মিনিট
রাজনীতি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন গোষ্ঠী ও ব্যক্তির মধ্যে স্বার্থ ও নীতির সমন্বয় সাধন করা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
রাজনীতির সংজ্ঞায় বিভিন্ন পণ্ডিত বিভিন্ন দিক থেকে আলোকপাত করেছেন। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা হলো:
আব্রাহাম লিংকন বলেছেন, "রাজনীতি হলো মানুষের সাথে মানুষের মধ্যে বিষয়গুলোর ব্যবস্থাপনা।"
মার্কসবাদী মতবাদে রাজনীতিকে "অর্থনৈতিক ব্যবস্থার একটি প্রতিফলন" হিসেবে দেখা হয়।
ডেমোক্রেটিক মতবাদে রাজনীতিকে "জনগণের দ্বারা জনগণের জন্য শাসনের একটি প্রক্রিয়া" হিসেবে দেখা হয়।
রাজনীতির উদ্দেশ্য
রাজনীতির উদ্দেশ্য হলো সমাজের কল্যাণ সাধন করা। এই উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য রাজনীতির মাধ্যমে নিম্নলিখিত কাজগুলো করা হয়:
মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা
অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা
রাজনীতির মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা
রাজনীতির মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো অবলম্বন করা যেতে পারে:
সকল নাগরিকের জন্য আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠা করা
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করা
বৈষম্য দূর করা
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা
সকল নাগরিকের জন্য আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠা করা
আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনের সমান শাসন বলতে বোঝায়, সকল নাগরিক, এমনকি ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাও আইনের অধীন। আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলার পরিবেশ দূর করা সম্ভব। দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হয়। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের আয়ের উৎস বৃদ্ধি করা হয়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করা
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের জনগণের সামগ্রিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব। শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে মানুষের সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করা হয়।
বৈষম্য দূর করা
বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজে সামাজিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজের সকল মানুষের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত রোধ করা হয়।
মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা হলো সমাজের কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা ছাড়া সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের সমান শাসন বলতে বোঝায়, সকল নাগরিক, এমনকি ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাও আইনের অধীন। আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব।
মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। রাজনীতির মাধ্যমে মানবাধিকার সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
মানবাধিকার বিষয়ক আইন ও নীতিমালা প্রণয়ন।
মানবাধিকার বিষয়ক শিক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা
সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে সকল মানুষের সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। রাজনীতির মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা। দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের আয়ের উৎস বৃদ্ধি করা হয়। এতে সকল মানুষের জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বৈষম্য দূর করা। বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সকল মানুষের সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করা সম্ভব। রাজনীতির মাধ্যমে বৈষম্য দূর করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:
বৈষম্যমূলক নিয়ম-কানুন বাতিল করা।
সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বৈষম্যমূলক আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা
শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব। রাজনীতির মাধ্যমে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে:
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ব্যবস্থা করা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে সমাজে অপরাধ ও বিশৃঙ্খলা রোধ করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত রোধ করা সম্ভব।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা
অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব। রাজনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা হয় নিম্নলিখিত উপায়ে:
অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন। অর্থনৈতিক নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব।
বিনিয়োগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা। বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিতে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করা। শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের দক্ষতা বৃদ্ধি করা সম্ভব।
আইনের সমান শাসন বলতে বোঝায়, সকল নাগরিক, এমনকি ক্ষমতাসীন ব্যক্তিরাও আইনের অধীন। আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা করা সম্ভব। আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব কারণ:
আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।
আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সকল নাগরিকের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করা সম্ভব।
আইনের সমান শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা সম্ভব।
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা
দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা হয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের আয়ের উৎস বৃদ্ধি করা হয়। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব কারণ:
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়।
দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে সমাজে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা কমে যায়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন করা
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব কারণ:
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের সুস্থ জীবনযাপনের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে উন্নয়ন ও প্রগতি সূচিত হয়।
বৈষম্য দূর করা
বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজে সকল মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব। বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব কারণ:
বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজে সকল মানুষের জন্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা সম্ভব।
বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজে সকলের মধ্যে সম্প্রীতি ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পায়।
বৈষম্য দূর করার মাধ্যমে সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত রোধ করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব কারণ:
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত রোধ করা সম্ভব।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশ্বের শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করা সম্ভব।
রাজনীতির ইতিহাস আলোচনা করতে হলে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর দিকে তাকাতে হবে। প্রাচীন সভ্যতাগুলোতে রাজনীতির উদ্ভব হয়েছিল সমাজের শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য। প্রাচীন মিশর, গ্রিস, রোম প্রভৃতি সভ্যতায় রাজনীতির বিভিন্ন রূপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রাচীন মিশরে রাজনীতি ছিল পুরোহিতদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তারাই রাষ্ট্রের শাসক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব ছিলেন। গ্রিসে রাজনীতি ছিল নাগরিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। গণতন্ত্রের উৎপত্তি হয়েছিল গ্রিসে। রোমে রাজনীতি ছিল সামরিক নেতাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
মধ্যযুগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল ধর্ম। ধর্মীয় নেতা ও শাসকদের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ছিল মধ্যযুগের রাজনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মধ্যযুগে রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য ছিল ধর্মীয় ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা করা।
আধুনিক যুগে রাজনীতির রূপ ও বৈশিষ্ট্য অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। আধুনিক যুগে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে জনগণ। জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে রাজনীতিতে। আধুনিক যুগে রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য হলো জনগণের কল্যাণ সাধন।
বিভিন্ন ধরনের রাজনীতি
রাজনীতির বিভিন্ন ধরনের শ্রেণীবিভাগ করা যেতে পারে। যেমন:
শাসনব্যবস্থার ভিত্তিতে: রাষ্ট্রপতি শাসিত, প্রধানমন্ত্রী শাসিত, একদলীয়, দ্বদলীয়, বহুদলীয় প্রভৃতি।
শাসনব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের শাসন পরিচালনার পদ্ধতিকে বোঝায়। রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতিই রাষ্ট্রের প্রধান শাসক। প্রধানমন্ত্রী শাসিত শাসনব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রীই রাষ্ট্রের প্রধান শাসক। একদলীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রে একমাত্র দলই ক্ষমতায় থাকে। দ্বদলীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রে দুটি দলই ক্ষমতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। বহুদলীয় শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রে একাধিক দলই ক্ষমতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে: পুঁজিবাদী, সমাজতান্ত্রিক, মিশ্র অর্থনীতি প্রভৃতি।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বোঝায়। পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রয়েছে। সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় উৎপাদন ও বন্টনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় পুঁজিবাদী ও সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
সামাজিক ব্যবস্থার ভিত্তিতে: গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, সামরিক শাসন প্রভৃতি।
সামাজিক ব্যবস্থা বলতে রাষ্ট্রের সামাজিক ব্যবস্থাকে বোঝায়। গণতন্ত্রে জনগণের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত। একনায়কতন্ত্রে এক ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত। সামরিক শাসনে সামরিক কর্তৃপক্ষের শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত।
রাজনীতির ভবিষ্যৎ
রাজনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ মনে করেন, রাজনীতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির ফলে রাজনীতিতে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটবে। অন্যদিকে, কেউ মনে করেন, রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বিশ্বায়নের ফলে বিভিন্ন দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
রাজনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ওপর। যেমন: দারিদ্র্য, বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হলে রাজনীতির ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল