মদপান ত্যাগ করলে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি কমে যায়

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২৭ নভেম্বর ২০২৩ ০৫:০৩ মিনিট


পোস্ট ফটো

ধূমপান একটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। ধূমপান ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ফুসফুস রোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান ত্যাগ করা হলে এই ঝুঁকিগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

ধূমপানের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে:

ক্যান্সার: ধূমপান বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ক্যান্সারের কারণ। ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সার, মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, অন্ননালীর ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, কিডনির ক্যান্সার, মূত্রাশয়ের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। হৃদরোগ: ধূমপান হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান রক্তচাপ, কোলেস্টেরল এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। এটি হৃদযন্ত্রের পেশীকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করতে পারে।
ফুসফুসের রোগ: ধূমপান ফুসফুসের রোগ, যেমন ব্রঙ্কাইটিস এবং এমফিসেমার ঝুঁকি বাড়ায়। ব্রঙ্কাইটিস একটি ফুসফুসের অবস্থা যা শ্বাসনালীকে প্রদাহিত করে। এমফিসেমা একটি ফুসফুসের অবস্থা যা ফুসফুসের বায়ু থলিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
ডায়াবেটিস: ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়।
অস্টিওপোরোসিস: ধূমপান অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অস্টিওপোরোসিস একটি হাড়ের রোগ যা হাড়কে দুর্বল এবং ভঙ্গুর করে তোলে।
অ্যাজমা: ধূমপান অ্যাজমার ঝুঁকি বাড়ায়। অ্যাজমা একটি শ্বাসযন্ত্রের অবস্থা যা শ্বাসকষ্ট এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
দাঁতের ক্ষয়: ধূমপান দাঁতের ক্ষয়ের ঝুঁকি বাড়ায়।
অকাল বার্ধক্য: ধূমপান অকাল বার্ধক্যের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান ত্যাগের পরে স্বাস্থ্যের উন্নতি শুরু হয়। মাত্র 20 মিনিটের মধ্যে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমতে শুরু করে। 12 ঘন্টা পরে, কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। 2 সপ্তাহের মধ্যে, শ্বাসকষ্ট কমে যায়। 1 বছরের মধ্যে, হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। 15 বছরের মধ্যে, ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।

ধূমপান ত্যাগ করা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধূমপান ত্যাগ করলে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।
ধূমপান এবং ক্যান্সারের মধ্যে সম্পর্ক

ধূমপান এবং ক্যান্সারের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে। ধূমপান বিশ্বের সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ কারণ যা ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ধূমপান ফুসফুস ক্যান্সারের সবচেয়ে বড় কারণ, তবে এটি অন্যান্য অনেক ধরনের ক্যান্সারেরও ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান ক্যান্সার সৃষ্টি করে কারণ এটি কোষের ডিএনএ-তে ক্ষতি করে। ধূমপানের ধোঁয়ায় রয়েছে 7,000 এরও বেশি রাসায়নিক পদার্থ, যার মধ্যে অনেকগুলি ক্যান্সার সৃষ্টিকারী। এই রাসায়নিক পদার্থগুলি কোষের ডিএনএ-তে ক্ষতি করে, যা ক্যান্সার কোষের বিকাশের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

ধূমপানের কারণে যেসব ক্যান্সার হতে পারে সেগুলির মধ্যে রয়েছে:

ফুসফুস ক্যান্সার
মুখগহ্বরের ক্যান্সার
গলা ক্যান্সার
খাদ্যনালীর ক্যান্সার
পাকস্থলীর ক্যান্সার
অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার
কিডনি ক্যান্সার
মূত্রাশয়ের ক্যান্সার
স্তন ক্যান্সার
যোনি ক্যান্সার
পায়ু ক্যান্সার

ধূমপানের মাত্রা যত বেশি, ক্যান্সারের ঝুঁকি তত বেশি। যারা বেশি ধূমপান করে তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
ধূমপান ত্যাগ করলে ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রতি বছর 10% কমে যায়। 15 বছর ধরে ধূমপান ত্যাগ করলে ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি অধূমপায়ীদের মতো হয়ে যায়।
ধূমপান ত্যাগ করা একটি কঠিন কাজ হতে পারে, তবে এটি সম্ভব। ধূমপান ত্যাগের জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন যেদিন আপনি ধূমপান ত্যাগ করবেন।
আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে আপনার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলুন।
ধূমপান ত্যাগের জন্য সাহায্য নিন।
ধূমপান ত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাওয়া যায়। আপনি একজন ডাক্তার, নার্স, বা ধূমপান ত্যাগ করার জন্য প্রশিক্ষিত একজন পেশাদারের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি ধূমপান ত্যাগ করার জন্য ওষুধও নিতে পারেন। ধূমপান ত্যাগ করা ক্যান্সার প্রতিরোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারেন। ধূমপান ত্যাগের গুরুত্ব অনেক। ধূমপান ত্যাগ করলে ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়।

ধূমপান ত্যাগের ফলে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলি হল:

স্বাস্থ্যের উন্নতি: ধূমপান ত্যাগ করলে স্বাস্থ্যের উন্নতি শুরু হয়। মাত্র 20 মিনিটের মধ্যে রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমতে শুরু করে। 12 ঘন্টা পরে, কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। 2 সপ্তাহের মধ্যে, শ্বাসকষ্ট কমে যায়। 1 বছরের মধ্যে, হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়। 15 বছরের মধ্যে, ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যায়।
অর্থ সাশ্রয়: ধূমপান একটি ব্যয়বহুল অভ্যাস। ধূমপান ত্যাগ করলে প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা সাশ্রয় করা যায়।
ব্যক্তিগত পরিধি বৃদ্ধি: ধূমপান ত্যাগ করলে জীবনের মান বৃদ্ধি পায়। ধূমপান ত্যাগ করলে শ্বাসকষ্ট কমে যায়, ফলে দৈনন্দিন কাজকর্ম করা সহজ হয়। এছাড়াও, ধূমপান ত্যাগ করলে স্বাদ এবং গন্ধের অনুভূতি বাড়ে।
ধূমপান ত্যাগ করা কঠিন হতে পারে, তবে এটি সম্ভব। ধূমপান ত্যাগের জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণ করুন যেদিন আপনি ধূমপান ত্যাগ করবেন। আপনার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে আপনার পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলুন। ধূমপান ত্যাগের জন্য সাহায্য নিন।
ধূমপান ত্যাগ করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সাহায্য পাওয়া যায়। আপনি একজন ডাক্তার, নার্স, বা ধূমপান ত্যাগ করার জন্য প্রশিক্ষিত একজন পেশাদারের সাথে কথা বলতে পারেন। আপনি ধূমপান ত্যাগের জন্য ওষুধও নিতে পারেন।
ধূমপান ত্যাগ করা একটি স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ধূমপান ত্যাগ করলে আপনি আপনার স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন, অর্থ সাশ্রয় করতে পারেন এবং জীবনের মান বৃদ্ধি করতে পারেন।

আরও পড়ুন

Link copied