আইনে ভাই - বোনের সম্পত্তি বন্টন

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ০৬:১৪ মিনিট


পোস্ট ফটো

সম্পত্তির অধিকার বলতে বোঝায় কোন ব্যক্তির সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, ব্যবহার, উপভোগ এবং নিষ্পত্তি করার অধিকার। এটি একটি মৌলিক মানবাধিকার যা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন আইন ও নীতি দ্বারা স্বীকৃত। 


বাংলাদেশের আইনে সম্পত্তির অধিকার:

বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২ অনুচ্ছেদে সম্পত্তির অধিকারকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রত্যেক নাগরিকের আইনের শাসন অনুযায়ী সম্পত্তি অর্জন, ধারণ, ব্যবহার, উপভোগ এবং নিষ্পত্তি করার অধিকার রয়েছে।


সম্পত্তির অধিকারের গুরুত্ব:

ব্যক্তি স্বাধীনতা: সম্পত্তির অধিকার ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্বায়ত্তশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।

অর্থনৈতিক উন্নয়ন: সম্পত্তির অধিকার ব্যক্তিদের বিনিয়োগ, উৎপাদন এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য উৎসাহিত করে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখে।

সামাজিক ন্যায়বিচার: সম্পত্তির অধিকার সমাজে সম্পদের ন্যায্য বন্টন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।


সম্পত্তির অধিকারের সীমাবদ্ধতা:

জনস্বার্থ: জনস্বার্থে রাষ্ট্র সম্পত্তির অধিকারের উপর কিছু সীমাবদ্ধতা আরোপ করতে পারে।

পরিবেশ: পরিবেশ রক্ষার জন্য রাষ্ট্র সম্পত্তির ব্যবহারের উপর কিছু বিধিনিষেধ জারি করতে পারে।

অন্যের অধিকার: অন্যের অধিকার লঙ্ঘন না করে সম্পত্তির অধিকার প্রয়োগ করা উচিত।


সম্পত্তির অধিকার রক্ষা:

আইনের শাসন: সম্পত্তির অধিকার রক্ষার জন্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা গুরুত্বপূর্ণ।

ন্যায়বিচার ব্যবস্থা: সম্পত্তি বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ন্যায়বিচার ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন।

সচেতনতা বৃদ্ধি: সম্পত্তির অধিকার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা গুরুত্বপূর্ণ।


মুসলিম আইন:

মুসলিম আইন অনুসারে, একজন মুসলিম পুরুষের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি নিম্নলিখিতভাবে বন্টন করা হয়:

স্ত্রী: স্ত্রী 1/4 অংশ পায়।

পুত্র: প্রতিটি পুত্র 1/2 অংশ পায়।

কন্যা: প্রতিটি কন্যা 1/4 অংশ পায়।

মা: মা 1/6 অংশ পায়। বাবা: বাবা 1/6 অংশ পায়।

ভাইবোন: যদি পুত্র বা কন্যা না থাকে, তাহলে ভাইবোনরা সম্পত্তির অংশীদার হবে।


মুসলিম আইন

মুসলিম আইন হলো ইসলামী শরীয়াহ্‌র নীতি ও নিয়মাবলীর উপর ভিত্তি করে প্রণীত আইন ব্যবস্থা। মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এটি ব্যক্তিগত আইন (Personal Law) হিসেবে প্রযোজ্য।


মুসলিম আইনের উৎস:

কুরআন: কুরআন হলো ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ এবং মুসলিম আইনের প্রধান উৎস।

হাদিস: হাদিস হলো রাসুল মুহাম্মদ (সাঃ)-এর বাণী ও কর্ম।

ইজমা: ইজমা হলো মুসলিম সম্প্রদায়ের সর্বজনীন ঐকমত্য।

কিয়াস: কিয়াস হলো অনুমানের মাধ্যমে নতুন আইন প্রণয়ন।


মুসলিম আইনের প্রধান বিষয়:

পারিবারিক আইন: বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার, হেবা, ওয়াকফ ইত্যাদি।

অর্থনৈতিক আইন: ঋণ, বাণিজ্য, চুক্তি ইত্যাদি।

ফৌজদারি আইন: চুরি, ডাকাতি, হত্যা ইত্যাদি।


বাংলাদেশে মুসলিম আইন:

বাংলাদেশে মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪ এবং মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১ মুসলিমদের ব্যক্তিগত আইন হিসেবে প্রযোজ্য।


মুসলিম আইনের সমালোচনা:

লিঙ্গ বৈষম্য: মুসলিম আইনের কিছু বিধান নারীদের পুরুষদের তুলনায় কম অধিকার প্রদান করে।

জটিলতা: মুসলিম আইন বেশ জটিল এবং এর ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে ভিন্নতা দেখা যায়।


হিন্দু আইন:

হিন্দু আইন অনুসারে, একজন হিন্দু পুরুষের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি নিম্নলিখিতভাবে বন্টন করা হয়:

স্ত্রী: স্ত্রী 1/4 অংশ পায়।

পুত্র: প্রতিটি পুত্র সম্পত্তির সমান অংশ পায়।

কন্যা: প্রতিটি কন্যা সম্পত্তির সমান অংশ পায়।

মা: মা সম্পত্তির সমান অংশ পায়।

বাবা: বাবা সম্পত্তির সমান অংশ পায়।

ভাইবোন: যদি পুত্র বা কন্যা না থাকে, তাহলে ভাইবোনরা সম্পত্তির সমান অংশ পাবে।

হিন্দু আইন বলতে বোঝায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য প্রযোজ্য আইন ব্যবস্থা। এটি প্রাচীন ভারতীয় ধর্মগ্রন্থ ও রীতিনীতির উপর ভিত্তি করে প্রণীত।


হিন্দু আইনের উৎস:

শাস্ত্র: হিন্দু ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ, যেমন বেদ, স্মৃতি, ইত্যাদি।

রীতিনীতি: স্থানীয় ও পারিবারিক রীতিনীতি। বিচারের

রায়: হিন্দু আদালতের বিচারের রায়।


হিন্দু আইনের প্রধান বিষয়:

পারিবারিক আইন: বিবাহ, তালাক, উত্তরাধিকার, হেবা, ওয়াকফ ইত্যাদি।

অর্থনৈতিক আইন: ঋণ, বাণিজ্য, চুক্তি ইত্যাদি।

ধর্মীয় আইন: ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বণ, ইত্যাদি।


হিন্দু আইনের সমালোচনা:

জটিলতা: হিন্দু আইন বেশ জটিল এবং এর ব্যাখ্যা ও প্রয়োগে ভিন্নতা দেখা যায়।

অস্পষ্টতা: হিন্দু আইনের কিছু বিধান অস্পষ্ট এবং বিতর্কিত।


অন্যান্য আইন:

বাংলাদেশের অন্যান্য আইন, যেমন, 'বাংলাদেশ উত্তরাধিকার আইন, ১৯৮০' অনুসারে, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি তার উইল অনুসারে বন্টন করা হবে। যদি কোন উইল না থাকে, তাহলে আইন অনুসারে সম্পত্তি বন্টন করা হবে।


বাংলাদেশে মুসলিম ও হিন্দু আইনের পাশাপাশি আরও অনেক আইন প্রযোজ্য। এসকল আইন বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত, যেমন:

অর্থনৈতিক আইন: কোম্পানি আইন, চুক্তি আইন, বাংকিং আইন, ইত্যাদি।

ফৌজদারি আইন: দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ইত্যাদি।

সামাজিক আইন: শ্রম আইন, নারী ও শিশু আইন, পরিবেশ আইন, ইত্যাদি।


বাংলাদেশের সংবিধান হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত এবং ১৯৭২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হয়।


সংবিধানের প্রস্তাবনা:

সংবিধানের প্রস্তাবনায় বাংলাদেশের মূলনীতি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ এবং স্বাধীনতা ও সুবিচারের মূলনীতি।

গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শোষণমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।

সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা।


সংবিধানের গঠন:

সংবিধানে মোট ১৫টি অংশ, ১৫৩টি অনুচ্ছেদ এবং ৬টি তফসিল রয়েছে।

সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ দিক: মৌলিক অধিকার: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, যেমন, বাক স্বাধীনতা, সমাবেশের স্বাধীনতা, ধর্মের স্বাধীনতা, ইত্যাদি নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় কাঠামো: সংবিধানে রাষ্ট্রের কাঠামো, যেমন, নির্বাহী, বিচার বিভাগ এবং আইন বিভাগের ক্ষমতা ও কর্তব্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

আইনের শাসন: সংবিধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাধীনতা ও সুবিচার: সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করা হয়েছে।


ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের ক্ষেত্রে ধর্ম এবং আইনের ভূমিকা:

ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়ে ধর্ম এবং আইন উভয়েরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।


ধর্মের ভূমিকা:

মুসলিম আইন: মুসলিম আইন অনুসারে, একজন মুসলিম পুরুষের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি নির্দিষ্ট অনুপাতে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বন্টন করা হয়। ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে দ্বিগুণ অংশ পায়।

হিন্দু আইন: হিন্দু আইন অনুসারে, একজন হিন্দু পুরুষের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি তার পুত্রদের মধ্যে সমানভাবে বন্টন করা হয়। কন্যারা সম্পত্তিতে সমান অধিকারী না হলেও, কিছু ক্ষেত্রে তারা সম্পত্তির অংশ পেতে পারে।

অন্যান্য ধর্ম: অন্যান্য ধর্মের ক্ষেত্রেও সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের নিজস্ব নিয়ম-কানুন রয়েছে।


আইনের ভূমিকা:

বাংলাদেশের আইন: বাংলাদেশের আইন অনুসারে, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি তার উইল অনুসারে বন্টন করা হয়। যদি কোন উইল না থাকে, তাহলে আইন অনুসারে সম্পত্তি বন্টন করা হবে।

উত্তরাধিকার আইন: বাংলাদেশ উত্তরাধিকার আইন, ১৯৮০ অনুসারে, মুসলিম, হিন্দু এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের জন্য সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের নিয়ম-কানুন নির্ধারণ করা হয়েছে।


কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: লিঙ্গ বৈষম্য:

কিছু ক্ষেত্রে, ধর্মীয় নিয়ম-কানুনের ফলে ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনে লিঙ্গ বৈষম্য দেখা যায়।

জটিলতা: ধর্মীয় নিয়ম-কানুন এবং আইন বেশ জটিল হতে পারে, যার ফলে ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনে বিরোধ দেখা দিতে পারে।


সমাধান:

আইনি সহায়তা: ভাই-বোনের মধ্যে সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের ক্ষেত্রে বিরোধ দেখা দিলে আইনি সহায়তা নেওয়া উচিত।

সমঝোতা: ভাই-বোনের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর চেষ্টা করা উচিত।

সচেতনতা বৃদ্ধি: ধর্মীয় নিয়ম-কানুন এবং আইন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা উচিত।


সামাজিক প্রত্যাশা হলো সমাজের পক্ষ থেকে ব্যক্তির প্রতি আশা-আকাঙ্ক্ষা। এই প্রত্যাশাগুলি বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যেমন:

ব্যক্তিগত জীবন: বিয়ে, সন্তান ধারণ, কর্মজীবন, ইত্যাদি।

সামাজিক আচরণ: রীতিনীতি, নিয়মকানুন, মূল্যবোধ, ইত্যাদি।

পেশাগত জীবন: কর্মক্ষমতা, দায়িত্ব, আচরণ, ইত্যাদি।


সামাজিক প্রত্যাশার প্রভাব:

মানসিক চাপ: সামাজিক প্রত্যাশা পূরণের চাপ মানসিক চাপের কারণ হতে পারে।

সিদ্ধান্ত গ্রহণ: সামাজিক প্রত্যাশা ব্যক্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণকে প্রভাবিত করতে পারে।

স্বাধীনতা: সামাজিক প্রত্যাশা ব্যক্তির স্বাধীনতা হ্রাস করতে পারে।

আত্মসম্মান: সামাজিক প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলে আত্মসম্মান কমে যেতে পারে।


সামাজিক প্রত্যাশার সাথে মোকাবিলা:

সচেতনতা: সামাজিক প্রত্যাশা সম্পর্কে সচেতন থাকা গুরুত্বপূর্ণ।

স্ব-মূল্যায়ন: নিজের ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন থাকা।

সীমা নির্ধারণ: অন্যের প্রত্যাশা পূরণের জন্য নিজের সীমা নির্ধারণ করা।

যোগাযোগ: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা।

পেশাদার সাহায্য: প্রয়োজনে মনোবিজ্ঞানীর সাহায্য নেওয়া।


স্থাবর সম্পত্তি: জমি:

কৃষি জমি, আবাসিক জমি, বাণিজ্যিক জমি, ইত্যাদি।

বাড়ি: আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, শিল্প ভবন, ইত্যাদি।

অন্যান্য স্থাবর সম্পত্তি: দোকান, পুকুর, খাল, ইত্যাদি।


অস্থাবর সম্পত্তি: 

ব্যাংক হিসাব: সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ডিপিএস, ইত্যাদি।

শেয়ার ও সিকিউরিটি: কোম্পানির শেয়ার, সরকারি বন্ড, ডিবেঞ্চার, ইত্যাদি।

গহনা: সোনার গহনা, রূপার গহনা, হীরার গহনা, ইত্যাদি।

যানবাহন: গাড়ি, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, ইত্যাদি।

অন্যান্য অস্থাবর সম্পত্তি: আসবাবপত্র, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, ইত্যাদি।


বৌদ্ধিক সম্পত্তি:

পেটেন্ট: নতুন আবিষ্কারের উপর অধিকার।

কপিরাইট: সাহিত্যকর্ম, সঙ্গীত, শিল্পকর্ম, ইত্যাদির উপর অধিকার।

ট্রেডমার্ক: পণ্য বা পরিষেবার ব্র্যান্ডের উপর অধিকার।


সম্পত্তির মালিকানা:

একক মালিকানা: একজন ব্যক্তির মালিকানাধীন সম্পত্তি।

সহ-মালিকানা: একাধিক ব্যক্তির যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তি।


সম্পত্তি সংক্রান্ত আইন:

বাংলাদেশের স্থাবর সম্পত্তি আইন,

১৯৫০ বাংলাদেশের অস্থাবর সম্পত্তি আইন,

১৯৫৮ বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইন, ১৯৮০


ফৌজদারি আইন হলো আইনের সেই শাখা যা অপরাধের সংজ্ঞা, তদন্ত, বিচার এবং শাস্তির সাথে সম্পর্কিত।

ফৌজদারি আইনের উদ্দেশ্য:

সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষা করা: অপরাধীদের শাস্তি দিয়ে সমাজে শৃঙ্খলা রক্ষা করা।

নিরপরাধ ব্যক্তিদের রক্ষা করা: অপরাধীদের হাত থেকে নিরপরাধ ব্যক্তিদের রক্ষা করা।

ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা: অপরাধীদের ন্যায়বিচারের আওতায় আনা।


ফৌজদারি আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:

অপরাধ: অপরাধ হলো আইনের লঙ্ঘন যার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।

দণ্ড: অপরাধের শাস্তির জন্য আইন দ্বারা নির্ধারিত শাস্তি।

আত্মরক্ষা: আইন অনুসারে নিজেকে বা অন্যকে রক্ষা করার অধিকার।

প্রমাণ: অপরাধ প্রমাণ করার জন্য আইনি প্রমাণের প্রয়োজন।

বিচার: অপরাধের বিচারের জন্য আদালতের প্রক্রিয়া।


বাংলাদেশের ফৌজদারি আইন: দণ্ডবিধি, ১৮৬০:

বাংলাদেশের প্রধান ফৌজদারি আইন। ফৌজদারি কার্যবিধি,

১৮৯৮: অপরাধের তদন্ত, বিচার এবং আপিলের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করে।

অন্যান্য আইন: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র আইন, দুর্নীতি দমন আইন, ইত্যাদি।


উত্তরাধিকার আইন হলো আইনের সেই শাখা যা একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের নিয়ম নির্ধারণ করে।

উত্তরাধিকার আইনের উদ্দেশ্য:

মৃত ব্যক্তির ইচ্ছা পূরণ করা: মৃত ব্যক্তির উইল অনুসারে তার সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টন করা।

ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ ভাগ্যবণ্টন: মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারীদের মধ্যে ন্যায্য ও সমতাপূর্ণভাবে সম্পত্তি বন্টন করা।

পারিবারিক বিরোধ এড়ানো: সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টন নিয়ে পারিবারিক বিরোধ এড়ানো।


উত্তরাধিকার আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা:

উত্তরাধিকারী: মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ভাগ পাওয়ার অধিকারী ব্যক্তি।

উইল: মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ভাগ্যবণ্টনের জন্য লিখিত ইচ্ছা।

উত্তরাধিকার সনদ: আদালত কর্তৃক প্রদত্ত নথি যা উত্তরাধিকারীদের সম্পত্তির ভাগ নির্ধারণ করে।

উত্তরাধিকারের হার: উত্তরাধিকারীদের কত শতাংশ সম্পত্তি পাবে তা নির্ধারণ করে।


বাংলাদেশের উত্তরাধিকার আইন:

মুসলিম উত্তরাধিকার আইন, ১৯৮০: মুসলিম উত্তরাধিকারীদের জন্য আইন।

বাংলাদেশ হিন্দু উত্তরাধিকার আইন, ১৯৬৩: হিন্দু উত্তরাধিকারীদের জন্য আইন।

খ্রিস্টান উত্তরাধিকার আইন, ১৮৬৫: খ্রিস্টান উত্তরাধিকারীদের জন্য আইন।


ন্যায্য ও সমতাপূর্ণ ভাগ্যবণ্টন একটি জটিল বিষয়, বিশেষ করে যখন সম্পত্তি, উত্তরাধিকার, অর্থ বা অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্রের কথা আসে। এটি এমন একটি বিষয় যেখানে আইন, নৈতিকতা, ব্যক্তিগত মূল্যবোধ এবং পারিবারিক গতিশীলতা সবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


ন্যায্যতার বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি:

সমতা: প্রত্যেককে সমান পরিমাণে ভাগ দেওয়া।

যোগ্যতা: প্রত্যেকের অবদানের উপর ভিত্তি করে ভাগ দেওয়া।

প্রয়োজন: প্রত্যেকের প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে ভাগ দেওয়া।

ইচ্ছা: মালিকের ইচ্ছা (যেমন, উইল) অনুসারে ভাগ দেওয়া।



Link copied