বর্তমানে আবেদন করলেই যেতে পারবেন ইউরোপের যেসব দেশে

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৩ জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:৪৭ মিনিট


পোস্ট ফটো

দেশের অধিকাংশ মানুষ বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইউরোপের দেশগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। কারণ, ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশের ভিসা পেলে ২৭টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যাবে। এছাড়া ইউরোপের প্রায় সব দেশেই জীবনযাত্রার মান বেশ উন্নত। আবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইউরোপের দেশগুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা প্রাপ্তি যেমন সহজ, তেমনি খরচও অনেক কম।

বর্তমানে ইউরোপের মোট অনেকগুলো দেশের ভিসা সহজে পাওয়া যায়। দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে— ফ্রান্স, পর্তুগাল, মাল্টা, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, লিথুনিয়া, লাটভিয়া ইত্যাদি।


ফ্রান্স

ফ্রান্স অর্থনৈতিকভাবে বেশ শক্তিশালী একটি দেশ। ফ্রান্সে টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায় সহজেই। তবে সেক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে। ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসাও সহজে পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য ভিসা পাওয়া কিছুটা কঠিন। তবে নিয়ম মেনে চেষ্টা করলে খুব সহজেই কাজের জন্য ভিসা পেয়ে যাবেন। ফ্রান্সের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি শক্তিশালী শক্তি ছিল। ফ্রান্সের বিপ্লব, যা ১৭৮৯ সালে শুরু হয়েছিল, ইউরোপীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল। বিপ্লব একটি নতুন সরকারের প্রতিষ্ঠার দিকে পরিচালিত করেছিল যা মানবাধিকারের ধারণাকে সমর্থন করেছিল। ফ্রান্স তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। ফরাসি ভাষা বিশ্বের সবচেয়ে কথ্য ভাষাগুলির মধ্যে একটি। ফরাসি সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ফ্রান্স তার স্যুপ, পাস্তা এবং পেস্ট্রির জন্যও বিখ্যাত। 

ফ্রান্সে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

প্যারিস: ফ্রান্সের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর, প্যারিস তার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।

লুভর মিউজিয়াম: বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্প জাদুঘরগুলির মধ্যে একটি, লুভর মিউজিয়ামে মোনালিসা, ভেনুসের জন্ম এবং অন্যান্য অনেক বিখ্যাত শিল্পকর্ম রয়েছে।

প্যারিসের ক্যাথেড্রাল নটর-ডাম: একটি সুন্দর গোথিক ক্যাথেড্রাল যা ১২ শতকে নির্মিত হয়েছিল।

ভার্সাই প্রাসাদ: ফরাসি বিপ্লবের আগে ফ্রান্সের রাজাদের বাসস্থান ছিল।

মন্তে কার্লো: ফ্রান্সের দক্ষিণে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল ক্যাসিনো শহর।

কনস্টানস হ্রদ: ইউরোপের বৃহত্তম হ্রদগুলির মধ্যে একটি।


ফ্রান্স ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

ফরাসি ভাষা শিখুন বা এর কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

ফ্রান্সে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

ফ্রান্সে মুদ্রা ইউরো।

ফ্রান্সে খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে।

ফ্রান্সে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।

ফ্রান্স একটি সুন্দর এবং বৈচিত্র্যময় দেশ যা পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু অফার করে। আপনি যদি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেন তবে ফ্রান্স অবশ্যই আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত গন্তব্য।


ফ্রান্সের কিছু বিশেষত্ব

ফ্রান্সকে "প্রেমের দেশ" বলা হয়। ফ্রান্সের প্রেমের সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী পরিচিত।

ফ্রান্সকে "বিপ্লবের দেশ" বলা হয়। ফরাসি বিপ্লব ইউরোপীয় ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল।

ফ্রান্সকে "শিল্পের দেশ" বলা হয়। ফরাসি শিল্প, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী পরিচিত।



পর্তুগাল

অভিবাসীদের স্বর্গ বলা হয় পর্তুগালকে। কারণ, পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া সবচেয়ে সহজ। পর্তুগালে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া বেশ সহজ। এছাড়া ভ্রমণ ও পড়াশোনার জন্য সহজেই ভিসা পাওয়া যায়। তবে স্টুডেন্ট ভিসা পেতে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.০০ থাকতে হবে। পর্তুগাল দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ। এটি আইবেরীয় উপদ্বীপের পশ্চিম অংশে, স্পেনের দক্ষিণে ও পশ্চিমে অবস্থিত। আটলান্টিক মহাসাগরে দেশটির দীর্ঘ উপকূল রয়েছে। এছাড়াও দুইটি স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ পর্তুগালের নিয়ন্ত্রণাধীন; এগুলি হল আসোরেস দ্বীপপুঞ্জ এবং মাদেইরা দ্বীপপুঞ্জ, যারা উভয়েই আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত। পর্তুগালের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি শক্তিশালী শক্তি ছিল। পর্তুগাল ভৌগোলিক আবিষ্কারের যুগে বিশ্বের একটি প্রধান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। পর্তুগিজ নাবিকরা আফ্রিকা, এশিয়া এবং আমেরিকার নতুন ভূখণ্ডগুলি অন্বেষণ করেছিলেন।


পর্তুগাল তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। পর্তুগিজ ভাষা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রোমান্স ভাষা। পর্তুগিজ সাহিত্য, শিল্প, সঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র বিশ্বব্যাপী পরিচিত। পর্তুগাল তার ঐতিহ্যবাহী খাবার, বিশেষ করে পোর্ট ওয়াইন এবং ফিশ ফ্রাইয়ের জন্যও বিখ্যাত। পর্তুগাল তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে আটলান্টিক মহাসাগরের দীর্ঘ উপকূলরেখা, সবুজ পাহাড়, ঐতিহাসিক শহর এবং গ্রাম রয়েছে। পর্তুগালে অনেকগুলি সুন্দর দ্বীপপুঞ্জও রয়েছে। 


পর্তুগালে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

লিসবন: পর্তুগালের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর, লিসবন তার ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত।

পোর্টো: পর্তুগালের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং পোর্ট ওয়াইনের জন্মস্থান, পোর্টো একটি ঐতিহাসিক শহর যা ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

সিনেস: পর্তুগালের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত একটি ছোট্ট শহর, সিনেস তার সুন্দর সমুদ্র সৈকত এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।

ফারো: পর্তুগালের আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ, ফারো তার সুন্দর সৈকত, সমুদ্র সৈকত এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্যের জন্য বিখ্যাত।


পর্তুগাল ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

পর্তুগিজ ভাষা শিখুন বা এর কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

পর্তুগালে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

পর্তুগালে মুদ্রা ইউরো।

পর্তুগালে খাবার ব্যয়বহুল হতে পারে।

পর্তুগালে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।


মাল্টা

মাল্টা ইউরোপের শেনজেনভুক্ত একটি দেশ। বর্তমানে প্রতিবছরই বিভিন্ন দেশ থেকে মাল্টায় কাজের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। ইউরোপের এই দেশে কাজের জন্য ভিসা পাওয়া অনেকটাই সহজ। বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে কাজ নিয়ে মাল্টায় যাচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া টুরিস্ট ও স্টুডেন্ট ভিসাপ্রাপ্তিও বেশ সহজ। ইউরোপের অন্যদেশগুলোর তুলনায় মাল্টায় যেতে খরচও বেশ কম। মাল্টা ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। এটি তিনটি প্রধান দ্বীপ নিয়ে গঠিত: মাল্টা, গোজো এবং কমুইনো। মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য এবং এর রাজধানী ভ্যালেটা। মাল্টার ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে ওঠে। মাল্টা ১৫৩০ সালে স্পেনের অধীনে আসে এবং পরে ১৭৯৮ সালে ফ্রান্সের অধীনে আসে। ১৮১৫ সালে মাল্টা ব্রিটিশদের অধীনে আসে এবং ১৯৬৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। মাল্টা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে সুন্দর উপকূলরেখা, সৈকত, পর্বত এবং গুহা রয়েছে। মাল্টা তার স্নরকেলিং, ডাইভিং এবং সার্ফিংয়ের জন্যও বিখ্যাত। 


মাল্টায় অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

ভ্যালেটা: মাল্টার রাজধানী, ভ্যালেটা তার ঐতিহাসিক কেন্দ্র এবং বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের জন্য বিখ্যাত।

মারসাস্ক্লো: মাল্টার একটি সুন্দর শহর যা তার সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলীয় দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত।

গোজো: মাল্টার একটি দ্বীপ যা তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক স্থানগুলির জন্য বিখ্যাত।

হাল-সাফলিনি: মাল্টার একটি দ্বীপ যা তার প্রাচীন মন্দিরগুলির জন্য বিখ্যাত।


মাল্টা ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

ইংরেজি, ইতালিয়ান বা মালেটি ভাষার কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

মাল্টায় ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

মাল্টায় মুদ্রা ইউরো।

মাল্টায় খাবার তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল হতে পারে।

মাল্টায় অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।

মাল্টা একটি সুন্দর এবং বহুমুখী দেশ যা পর্যটকদের জন্য অনেক কিছু অফার করে। আপনি যদি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য এবং সমৃদ্ধ ইতিহাস উপভোগ করেন তবে মাল্টা অবশ্যই আপনার জন্য একটি দুর্দান্ত গন্তব্য।


মাল্টার কিছু বিশেষত্ব

মাল্টা একটি দ্বীপরাষ্ট্র। মাল্টা ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত তিনটি দ্বীপের একটি দ্বীপপুঞ্জ।

মাল্টা একটি ইংরেজি-ভাষী দেশ।

মাল্টায় ইংরেজি, ইতালিয়ান এবং মালেটি ভাষা প্রচলিত।

মাল্টা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য।

মাল্টা ২০০৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হয়।


সুইজারল্যান্ড

পর্যটনের অন্যতম দেশ সুইজারল্যান্ড। সবসময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে যান পর্যটকরা। বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসা ও টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যাওয়া যায়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে যান। কারণ, সহজেই সুইজারল্যান্ডের টুরিস্ট ভিসা পাওয়া যায়। কিন্তু কাজের জন্য সুইজারল্যান্ডের ভিসা পাওয়া বেশ কঠিন। আবার পড়াশোনা জন্য ভিসাপ্রাপ্তি সহজ। সেক্ষেত্রে ভালো আইইএলটিএস স্কোর ও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। সুইজারল্যান্ড মধ্য ইউরোপে অবস্থিত একটি দেশ। এটি চারটি দেশের সাথে সীমান্তবর্তী: ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি এবং অস্ট্রিয়া। সুইজারল্যান্ড একটি ফেডারেল প্রজাতন্ত্র এবং এর রাজধানী বার্ন। সুইজারল্যান্ডের ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হয়ে ওঠে। সুইজারল্যান্ড ১২৯১ সালে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সুইজারল্যান্ড তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে আল্পস পর্বতমালা, সুন্দর হ্রদ, সবুজ উপত্যকা এবং ঝর্ণা রয়েছে। সুইজারল্যান্ড তার স্কিইং, হাইকিং এবং অন্যান্য আউটডোর কার্যকলাপের জন্যও বিখ্যাত।


সুইজারল্যান্ডে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

জুরিখ: সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর, জুরিখ তার আধুনিক স্থাপত্য, শপিং এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

জেনেভা: সুইজারল্যান্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর, জেনেভা তার আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি, শান্তি এবং মানবাধিকারের জন্য বিখ্যাত।

বার্ন: সুইজারল্যান্ডের রাজধানী, বার্ন তার মধ্যযুগীয় স্থাপত্য এবং সুন্দর নদীর জন্য বিখ্যাত।

আল্পস পর্বতমালা: সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটন আকর্ষণ, আল্পস পর্বতমালা তার সুন্দর দৃশ্য, স্কিইং এবং অন্যান্য আউটডোর কার্যকলাপের জন্য বিখ্যাত।


সুইজারল্যান্ড ভ্রমণের জন্য এখানে কিছু টিপস রয়েছে:

জার্মান, ফরাসি, ইতালি বা রোমাঞ্চ ভাষার কিছু মৌলিক বাক্যাংশ শিখুন।

সুইজারল্যান্ডে ভ্রমণের জন্য একটি ভিসা প্রয়োজন হতে পারে।

সুইজারল্যান্ডে মুদ্রা সুইস ফ্রাঙ্ক। সুইজারল্যান্ড একটি ব্যয়বহুল দেশ হতে পারে।

সুইজারল্যান্ডে অনেকগুলি পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে, তাই আপনার ভ্রমণের পরিকল্পনা আগে থেকেই করুন।


সুইজারল্যান্ডের কিছু বিশেষত্ব

সুইজারল্যান্ড একটি নিরপেক্ষ দেশ।

সুইজারল্যান্ড ১৮১৫ সালের পর থেকে কোনও যুদ্ধে জড়িত হয়নি।

সুইজারল্যান্ড একটি ধনী দেশ।

সুইজারল্যান্ডের মাথাপিছু আয় বিশ্বের অন্যতম উচ্চ।

সুইজারল্যান্ড একটি সুন্দর দেশ।

সুইজারল্যান্ডের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত।


হাঙ্গেরি

বাংলাদেশ থেকে হাঙ্গেরিতে পড়াশোনার জন্য ভিসাপ্রাপ্তি অনেক সহজ। এক্ষেত্রে অবশ্যই সকল শর্ত পূরণ করতে হবে। সেই শর্তগুলোও বেশ সহজ। এছাড়া হাঙ্গেরিতে কাজের জন্য ভিসা চালু করা হচ্ছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, ২০২১ সালে আবেদনকারীদের মধ্যে ৯৫ শতাংশ হাঙ্গেরির ভিসা পেয়েছে। বাকী ৫ শতাংশ ভিসা কাগজপত্রের গরমিলের জন্য বাতিল করা হয়। হাঙ্গেরি মধ্য ইউরোপে অবস্থিত একটি দেশ। এটি পূর্বে অস্ট্রিয়া, উত্তরে স্লোভাকিয়া, পশ্চিমে অস্ট্রিয়া, পূর্বে রোমানিয়া, দক্ষিণে সার্বি এবং ক্রোয়েশিয়া এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে স্লোভেনিয়া দ্বারা বেষ্টিত। হাঙ্গেরি একটি প্রজাতন্ত্র এবং এর রাজধানী বুদাপেস্ট। হাঙ্গেরির ইতিহাস হাজার হাজার বছরের পুরানো। এটি রোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল এবং পরে মধ্যযুগীয় ইউরোপের একটি শক্তিশালী শক্তি ছিল। হাঙ্গেরি ১৫২৬ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে এবং ১৬৮৬ সালে অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনে আসে। হাঙ্গেরি ১৯১৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। হাঙ্গেরি তার সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত। দেশটিতে হাঙ্গেরীয় ভাষা প্রচলিত। হাঙ্গেরি তার শিল্প, সঙ্গীত, থিয়েটার এবং সাহিত্যের জন্যও বিখ্যাত। হাঙ্গেরি তার ঐতিহ্যবাহী খাবার, বিশেষ করে গুলáš এবং lángos-এর জন্যও বিখ্যাত। হাঙ্গেরি তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যও বিখ্যাত। দেশটিতে দানিউব নদী, আপেল পর্বতমালা, ব্ল্যাক ওয়াটার হ্রদ এবং অনেকগুলি প্রাকৃতিক উদ্যান রয়েছে। হাঙ্গেরি তার স্কিইং, হাইকিং এবং অন্যান্য আউটডোর কার্যকলাপের জন্যও বিখ্যাত।


হাঙ্গেরিতে অনেকগুলি জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে:

বুদাপেস্ট: হাঙ্গেরির রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর, বুদাপেস্ট তার ঐতিহাসিক কেন্দ্র, দানিউব নদী এবং স্পা রিসর্টগুলির জন্য বিখ্যাত।

হেসগেল: হাঙ্গেরির একটি ঐতিহাসিক শহর যা তার মধ্যযুগীয় স্থাপত্য এবং তাস খেলার জন্য বিখ্যাত।

পেচ: হাঙ্গেরির একটি ঐতিহাসিক শহর যা তার বাইজেন্টাইন স্থাপত্য এবং লুথেরান ক্যাথেড্রালের জন্য বিখ্যাত।

হেভিজ: হাঙ্গেরির একটি স্পা শহর যা তার খনিজ পানি এবং থেরাপিউটিক সুবিধাগুলির জন্য বিখ্যাত।


হাঙ্গেরির কিছু বিশেষত্ব

হাঙ্গেরি একটি দানিউব নদীর দেশ। দানিউব নদী হাঙ্গেরির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হাঙ্গেরি একটি স্পা দেশ। হাঙ্গেরিতে অনেকগুলি প্রাকৃতিক স্পা রয়েছে যা হাজার হাজার বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

হাঙ্গেরি একটি খাদ্যশৈলীর দেশ। হাঙ্গেরিয়ান খাবার তার স্বাদ এবং সুগন্ধের জন্য বিখ্যাত।


নেদারল্যান্ডস

বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের স্টুডেন্ট ভিসাও অনেক সহজ। বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যেসব শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ডসে স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করেছে, তাদের সকলেই ভিসা পেয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে আইইএলটিএস স্কোর কমপক্ষে ৬.৫০ থাকতে হবে।




Link copied