বাংলাদেশে শিক্ষার অধিকার ও সুযোগ

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:০৪ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। দেশের সকল নাগরিকের জন্য শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে, সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।

বাংলাদেশের সংবিধানে শিক্ষাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, ৬ বছর বয়স থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত সকল শিশুর জন্য শিক্ষা বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি করেছে। ২০০৯ সালে, শিক্ষার জন্য সরকারি ব্যয় ছিল মোট জাতীয় বাজেটের ৬.৪%। ২০২২ সালে, এই ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩%। এই বৃদ্ধি শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই ব্যয় বৃদ্ধির ফলে, নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা

বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করছে। ২০০৯ সালে, বাংলাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১০৫,০০০। ২০২২ সালে, এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০,০০০। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠার ফলে, শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করছে। শিক্ষকদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের ফলে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করছে। ডিজিটাল ক্লাসরুম, অনলাইন শিক্ষা, ভার্চুয়াল লার্নিং ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষাকে আরও সহজলভ্য ও কার্যকর করা হচ্ছে। শিক্ষা খাতে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে, শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেয়েছে এবং শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও করণীয় বাংলাদেশ সরকার শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও অনেক কাজ বাকি রয়েছে।

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে আরও করণীয় নিম্নরূপ:

শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।

শিক্ষার জন্য সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।

শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

  • শিক্ষাক্রমের আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষাক্রমকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং বর্তমান বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী সাজানো প্রয়োজন। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
  • শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আরও শিশুবান্ধব করে তোলা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম ও উৎসাহী পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন।
  • শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে বৈষম্য দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গ্রামীণ এলাকায় নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। গ্রামীণ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন। গ্রামীণ পরিবারের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। গ্রামীণ পরিবারের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নারীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। নারীদের জন্য শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। নারীদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষার জন্য সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। শিক্ষার জন্য সকল নাগরিকের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি, আবাসিক সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। অসচ্ছল ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ শিক্ষাবৃত্তি, আবাসিক সুবিধা ইত্যাদি প্রদান করা প্রয়োজন। সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করা সম্ভব।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার মধ্যে বৈষম্য একটি গুরুতর সমস্যা। গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ ও মান শহুরে এলাকার তুলনায় অনেক কম। গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম, শিক্ষকদের দক্ষতা কম, এবং শিক্ষার পরিবেশ অনুন্নত। এর ফলে গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা শহুরে শিক্ষার্থীদের তুলনায় শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় এবং তাদের ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা হ্রাস পায়।

গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ এলাকায় নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ পরিবারের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

গ্রামীণ পরিবারের জন্য শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য একটি গুরুতর সমস্যা। নারীদের শিক্ষার হার পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। এর প্রধান কারণগুলো হল: সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি। অনেক পরিবারে মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্বকে কম মনে করা হয়। অর্থনৈতিক অবস্থা। অনেক পরিবার মেয়েদের শিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করতে আগ্রহী নয়। নিরাপত্তা সমস্যা। অনেক এলাকায় মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নারীদের জন্য বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। নারী শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা প্রয়োজন। নারীদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন। নারীদের শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন।

শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: শিক্ষাক্রমের আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষাক্রমকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং বর্তমান বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী সাজানো প্রয়োজন। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আরও শিশুবান্ধব করে তোলা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম ও উৎসাহী পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের সকল অংশের সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

গ্রামীণ ও শহুরে শিক্ষার মধ্যে বৈষম্যের কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ হল: গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা শহুরে এলাকার তুলনায় অনেক কম। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৭৫,০০০। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৩২,০০০টি এবং গ্রামাঞ্চলে ৪৩,০০০টি। গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংখ্যা শহুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুলনায় অনেক কম। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যা ৩০০,০০০। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ১৫০,০০০ জন এবং গ্রামাঞ্চলে ১৫০,০০০ জন। গ্রামীণ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো শহুরে বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর তুলনায় অনেক অনুন্নত। অনেক গ্রামীণ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ছোট, ছাদের অবস্থা ভালো নয়, ল্যাবরেটরি নেই, খেলার মাঠ নেই ইত্যাদি। এই বৈষম্যগুলোর কারণে গ্রামীণ শিক্ষার্থীরা শহুরে শিক্ষার্থীদের তুলনায় শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে তাদের ভবিষ্যতের সুযোগ-সুবিধা হ্রাস পায়। নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্য বাংলাদেশে নারীদের শিক্ষার হার পুরুষদের তুলনায় অনেক কম। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের সংখ্যা ৩৫,০০০,০০০। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ১৮,০০০,০০০ জন এবং গ্রামাঞ্চলে ১৭,০০০,০০০ জন।

নারী শিক্ষার ক্ষেত্রে বৈষম্যের প্রধান কারণগুলো হল:

সামাজিক কুসংস্কার ও ধর্মীয় গোঁড়ামি। অনেক পরিবারে মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্বকে কম মনে করা হয়। অনেক পরিবার মনে করে যে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া উচিত নয়। অর্থনৈতিক অবস্থা।

অনেক পরিবার মেয়েদের শিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করতে আগ্রহী নয়। তারা মনে করে যে মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার চেয়ে তাদের ঘরে থাকা উচিত। নিরাপত্তা সমস্যা। অনেক এলাকায় মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাহীনতার শিকার হয়। এই সমস্যাগুলোর কারণে নারীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত হয়। শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে: শিক্ষাক্রমের আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষাক্রমকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং বর্তমান বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী সাজানো প্রয়োজন। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আরও শিশুবান্ধব করে তোলা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম ও উৎসাহী পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। এই পদক্ষেপগুলো গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি করা সম্ভব।

শিক্ষা অধিকার ও সুযোগের উপর

সরকারি উদ্যোগ সবার জন্য শিক্ষা (EFA) লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকারের অঙ্গীকার: বাংলাদেশ ২০২৩ সালে EFA লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সরকার এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি: সরকার শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ করা হয়েছিল ১,৩০,০০০ কোটি টাকা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন:

সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে: নতুন নতুন স্কুল ও কলেজ নির্মাণ স্কুল ও কলেজগুলোতে শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ ইত্যাদির উন্নয়ন শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি: সরকার শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি: সরকার শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষার প্রসার: সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার প্রসার ঘটানোর জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে: গ্রামীণ এলাকায় স্কুল নির্মাণ কিন্ডারগার্টেন ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রসার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়ন: সরকার কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য কাজ করছে। এর মধ্যে রয়েছে: নতুন নতুন কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার পাঠ্যক্রম আধুনিকায়ন শিক্ষার মান বৃদ্ধির জন্য করণীয় শিক্ষাক্রমের আধুনিকায়ন: শিক্ষাক্রমকে শিক্ষার্থীদের চাহিদা এবং বর্তমান বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী সাজানো প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষাক্রমে প্রযুক্তির ব্যবহার: শিক্ষাক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষাক্রমে বাস্তবভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি: শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া: শিক্ষকদের জন্য আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি, প্রযুক্তি ব্যবহার ইত্যাদির উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন। শিক্ষকদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা: শিক্ষকদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে: শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ, ল্যাবরেটরি, খেলার মাঠ ইত্যাদি থাকা প্রয়োজন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশকে আরও শিশুবান্ধব করে তোলা প্রয়োজন। শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে বৈষম্য বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্রামীণ ও শহুরে বৈষম্য রয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষার সুযোগ ও মান শহুরে এলাকার তুলনায় অনেক কম। এর কারণগুলো হল: অর্থনৈতিক অবস্থা: গ্রামীণ এলাকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা শহুরে এলাকার মানুষের তুলনায় অনেক দুর্বল। এর ফলে তারা শিক্ষার জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারে

Link copied