বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০২:৩১ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের পরিবর্তন, এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, মান, এবং খরচের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের পরিবর্তন, এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, মান, এবং খরচের ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আরো বিস্তারিত: বাংলাদেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি বছর জনসংখ্যা প্রায় ২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশের অর্থনীতির ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরের ফলে কর্মসংস্থানের পরিবর্তন হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ এবং জীবনযাত্রার মান পরিবর্তিত হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ফলে নতুন নতুন স্বাস্থ্য সমস্যার উদ্ভব হচ্ছে। একই সাথে, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ এখন আগের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যসচেতন। এই কারণে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের আগ্রহও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সকল কারণে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, মান, এবং খরচের ক্ষেত্রে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রাপ্যতার চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির ঘাটতি রয়েছে। বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা কম এবং সেগুলির অবকাঠামোগত অবস্থাও ভালো নয়। এর ফলে, গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হয়। এছাড়াও, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়বহুল। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম।

তবে, এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার মানও তুলনামূলকভাবে কম। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার মান ভালো হলেও খরচ বেশি। মানের চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যসেবার মান বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির গুণমান। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করার জন্য অনেক কাজ করার প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামোগত উন্নয়ন, এবং স্বাস্থ্যসেবা সরবরাহের মান নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। খরচের চ্যালেঞ্জ: স্বাস্থ্যসেবার খরচ বলতে বোঝায় স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির ব্যয়। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার খরচ এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। অনেক মানুষ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির জন্য ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। সম্প সম্ভাবনা: বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার জন্য সরকার, বেসরকারি খাত, এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্যতা, মান, এবং খরচের ক্ষেত্রে উন্নতি সাধন করা হলে বাংলাদেশের জনগণ আরও সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে।

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের পরিবর্তন, এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির ফলে স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। তবে, স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা, মান, এবং খরচের ক্ষেত্রে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সরকার, বেসরকারি খাত, এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করে এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করা সম্ভব।

স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বলতে বোঝায় সকল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির সমান অ্যাক্সেস থাকা। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়বহুল।

স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বলতে বোঝায় সকল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির সমান অ্যাক্সেস থাকা। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা এখনও একটি চ্যালেঞ্জ। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়বহুল। আরো বিস্তারিত: প্রাপ্যতার চ্যালেঞ্জ: বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির ঘাটতি রয়েছে।

বিশেষ করে, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা কম এবং সেগুলির অবকাঠামোগত অবস্থাও ভালো নয়। এর ফলে, গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হয়। উদাহরণ: একটি সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে প্রতি ১০০০ জন মানুষের জন্য মাত্র ৬.৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। এই সংখ্যা শহরাঞ্চলের তুলনায় অনেক কম। এছাড়াও, গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামোগত অবস্থা ভালো নয়। অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের ভবন পুরনো এবং ভেঙে পড়ছে। অনেক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধের অভাব রয়েছে। এই সকল কারণে, গ্রামীণ জনগণ স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি থেকে বঞ্চিত হয়। তারা অসুস্থ হলেও চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হয়। এতে তাদের অনেক খরচ হয় এবং চিকিৎসার সুযোগও কমে যায়। আর্থিক চ্যালেঞ্জ: আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়বহুল। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার খরচ তুলনামূলকভাবে কম। তবে, এই প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার মানও তুলনামূলকভাবে কম। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলিতে চিকিৎসার মান ভালো হলেও খরচ বেশি।

উদাহরণ: একটি সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে একজন ব্যক্তির হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য গড়ে ১০,০০০ টাকা খরচ হয়। এই টাকা অনেক আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য ব্যয়বহুল। এই সকল কারণে, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা অনেক সময় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। তারা অসুস্থ হলেও চিকিৎসার জন্য ঋণ নিতে হয় বা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়। সমাধান: স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বৃদ্ধির জন্য সরকার, বেসরকারি খাত, এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে কাজ করা প্রয়োজন। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির সংখ্যা বৃদ্ধি করা। স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির অবকাঠামোগত অবস্থার উন্নতি করা। প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম এবং ওষুধের সরবরাহ নিশ্চিত করা। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির মান উন্নত করা। স্বাস্থ্যসেবা বীমা এবং অন্যান্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা। এই সকল পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্যতা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

স্বাস্থ্যসেবার সামাজিক প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের উন্নতি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। জনগণ সুস্থ থাকলে তারা আরও উৎপাদনশীল হয় এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পায়। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস হলে শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং তারা দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়।

জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি হলে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমে যায় এবং জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। অর্থনৈতিক প্রভাব: স্বাস্থ্যসেবার অর্থনৈতিক প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। জনগণ সুস্থ থাকলে তারা আরও বেশি সময় কাজ করতে পারে এবং আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে। কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। জনগণ সুস্থ থাকলে তারা আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জিডিপি বৃদ্ধি পায়। জনগণ সুস্থ থাকলে তারা আরও বেশি কাজ করতে পারে এবং আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে। এর ফলে, দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পায়।

স্বাস্থ্যসেবার সামাজিক প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের উন্নতি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনসংখ্যার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। স্বাস্থ্যকর জনসংখ্যা একটি সুখী এবং সমৃদ্ধ জাতির ভিত্তি। স্বাস্থ্যকর জনগণ দীর্ঘায়ু লাভ করে এবং তাদের জীবনের অধিকাংশ সময় কাজ করতে পারে। এটি অর্থনৈতিক উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে এবং দারিদ্র্য হ্রাস করে। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পায়। শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস হলে শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায় এবং তারা দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে। এটি একটি জাতির মঙ্গল এবং সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়।

জনসংখ্যার গড় আয়ু বৃদ্ধি হলে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়। এটি একটি জাতির সম্পদ এবং সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হলে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমে যায় এবং জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এটি একটি জাতির সুস্থতা এবং সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। স্বাস্থ্যসেবার অর্থনৈতিক প্রভাবগুলির মধ্যে রয়েছে: উৎপাদনশীলতার বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর কর্মীরা আরও বেশি সময় কাজ করতে পারে এবং আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে। এটি অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর কর্মীরা আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারে। এটি অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) বৃদ্ধি: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জিডিপি বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর কর্মীরা আরও বেশি কাজ করতে পারে এবং আরও বেশি উৎপাদন করতে পারে। এর ফলে, দেশের জিডিপি বৃদ্ধি পায়। এটি একটি জাতির অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।

স্বাস্থ্যসেবার আর্থ-সামাজিক প্রভাবগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনগণের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে। আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য: স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনগণের শিক্ষার হার বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর শিশুরা বিদ্যালয়ে বেশিদিন পড়তে পারে এবং ভালো ফলাফল করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনগণের সামাজিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায়। স্বাস্থ্যকর মানুষরা সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবনে বেশি সক্রিয় হয়। স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলির উন্নতি হলে জনগণের দারিদ্র্য হ্রাস পায়। স্বাস্থ্যকর মানুষরা কাজ করতে পারে এবং অর্থ উপার্জন করতে পারে।

একটি সমীক্ষা অনুসারে, বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে একজন ব্যক্তির হাসপাতালের চিকিৎসার জন্য গড়ে ১০,০০০ টাকা খরচ হয়। এই টাকা অনেক আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য ব্যয়বহুল। এই সকল কারণে, আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা অনেক সময় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হয়। তারা অসুস্থ হলেও চিকিৎসার জন্য ঋণ নিতে হয় বা চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়।

উদাহরণ হিসাবে, আমরা একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে পারি। ধরুন, একজন ব্যক্তির গড় মাসিক আয় ১০,০০০ টাকা। তিনি যদি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়, তাহলে তার চিকিৎসার জন্য গড়ে ১০,০০০ টাকা খরচ হবে। এই টাকা তার মাসিক আয়ের সমান, তাই তিনি চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান করতে সক্ষম নন। এই ক্ষেত্রে, ব্যক্তিটিকে চিকিৎসার জন্য ঋণ নিতে হবে বা চিকিৎসা বন্ধ করতে হবে। ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে, তিনি আরও বেশি অর্থের বোঝা বহন করতে হবে, যা তার জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করবে। চিকিৎসা বন্ধ করার ক্ষেত্রে, তার স্বাস্থ্যের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে, যা তার উৎপাদনশীলতা এবং আয়ের ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে দেখা যায়।

আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষেরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, যা তাদের স্বাস্থ্য এবং জীবনযাত্রার মানকে প্রভাবিত করে। এখানে আরও কিছু নির্দিষ্ট উদাহরণ দেওয়া হল: একজন গ্রামীণ নারীর সন্তান জন্মের সময় জটিলতা দেখা দেয়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসার খরচ তার পরিবারের জন্য অনেক বেশি হয়ে যায়। তারা ঋণ নিতে বা চিকিৎসা বন্ধ করতে বাধ্য হয়। একজন শ্রমিকের ডায়বেটিস হয়। তাকে নিয়মিত ওষুধ এবং চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। তবে, তার আয় ওষুধ এবং চিকিৎসার খরচ বহন করার জন্য যথেষ্ট নয়। একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির ক্যান্সার হয়। চিকিৎসার খরচ এত বেশি যে তার পরিবারের পক্ষে তা বহন করা সম্ভব নয়। এই ধরনের উদাহরণগুলি দেখায় যে স্বাস্থ্যসেবা খরচ আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য, সরকারকে স্বাস্থ্যসেবা খরচ কমাতে পদক্ষেপ নিতে হবে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: স্বাস্থ্যসেবা বীমা ব্যবস্থার প্রসার সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির মান উন্নত করা ওষুধের দাম কমানো এই পদক্ষেপগুলি গ্রহণের মাধ্যমে, সরকার আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলি আরও সাশ্রয়ী করে তুলতে পারে।

আরো বিস্তারিত >>  স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাপনের গুরুত্ব

আরো বিস্তারিত >> খালি পেটে কুসুম গরম পানি পান করলে কী হয় 

Link copied