করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:৩৫ মিনিট


পোস্ট ফটো

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২.৭৫ এর উপর নজর রাখছে। এই সাবভ্যারিয়েন্টটি ভারতে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে বিশ্বের ৪১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) সম্প্রতি করোনাভাইরাসের নতুন ওমিক্রন সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২.৭৫ এর উপর নজর রাখছে। এই সাবভ্যারিয়েন্টটি ভারতে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল এবং এরপর থেকে বিশ্বের ৪১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে। এটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের গুরুতরতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন। তবে, তারা উদ্বিগ্ন যে এটি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের উদ্বেগজনক বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:  

           ১. এটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে। 

          ২. এটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে হচ্ছে।

         ৩. এটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের তুলনায় শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও ভালভাবে এড়াতে পারে।

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও সংক্রামক বলে মনে হচ্ছে কারণ এটির জিনোমে বেশ কয়েকটি মিউটেশন রয়েছে। এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসকে মানুষের কোষগুলিতে আরও সহজে প্রবেশ করতে এবং ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে হচ্ছে কারণ এটির জিনোমে একটি মিউটেশন রয়েছে যা ভাইরাসকে শ্বাসযন্ত্রের ঝিল্লিতে আরও সহজে প্রবেশ করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের গুরুতরতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন। তবে, তারা উদ্বিগ্ন যে এটি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণ হল বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের জিনোমে বেশ কয়েকটি মিউটেশন রয়েছে যা ভাইরাসকে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও ভালভাবে এড়াতে সাহায্য করে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বজুড়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভারত, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই সাবভ্যারিয়েন্টটি ইতিমধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে। এর মধ্যে রয়েছে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ৪০ থেকে ৬০ শতাংশ বেশি সংক্রামক। এর মানে হল যে একজন সংক্রামিত ব্যক্তি আরও বেশি লোককে সংক্রামিত করতে পারে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রামকতার বৃদ্ধির জন্য দায়ী মিউটেশনগুলির মধ্যে রয়েছে:

১. S1 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসকে মানুষের কোষগুলিতে আরও সহজে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

২. NSP3 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে হচ্ছে। এর মানে হল যে এটি ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে এবং গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের শ্বাসযন্ত্রের প্রভাব বৃদ্ধির জন্য দায়ী মিউটেশনগুলির মধ্যে রয়েছে:

১. S1 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসকে শ্বাসযন্ত্রের ঝিল্লিতে আরও সহজে প্রবেশ করতে সাহায্য করে।

২. NSP3 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসের শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


প্রতিরোধ ব্যবস্থা এড়ানো

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের তুলনায় শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও ভালভাবে এড়াতে পারে। এর মানে হল যে যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা পেয়েছেন বা সংক্রমিত হয়েছেন তাদেরও এই সাবভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের প্রতিরোধ ব্যবস্থা এড়াতে সক্ষম হওয়ার জন্য দায়ী মিউটেশনগুলির মধ্যে রয়েছে: S1 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসের টিকা বা সংক্রমণের ফলে তৈরি অ্যান্টিবডিগুলিকে এড়াতে সাহায্য করে। NSP3 প্রোটিন: এই মিউটেশনগুলি ভাইরাসের প্রতিরোধ ব্যবস্থার অন্যান্য উপাদানগুলিকে এড়াতে সাহায্য করে।


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে আরও সংক্রামক। এর মানে হল যে একজন সংক্রামিত ব্যক্তি আরও বেশি লোককে সংক্রামিত করতে পারে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রামকতা এবং শ্বাসযন্ত্রের প্রভাব সম্পর্কে আরও বিস্তারিত আলোচনার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে:

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের বিস্তার: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টটি বিশ্বের কত দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের তীব্রতা: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতা এবং মৃত্যুর হার কতটা বেশি তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে টিকা এবং চিকিৎসার কার্যকারিতা কতটা তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের গুরুতরতা সম্পর্কে নিশ্চিত নন। তবে, তারা উদ্বিগ্ন যে এটি আরও গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের গুরুতরতা সম্পর্কে উদ্বেগের কারণ হল যে এটি বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের তুলনায় শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও ভালভাবে এড়াতে পারে। এর মানে হল যে যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা পেয়েছেন বা সংক্রমিত হয়েছেন তাদেরও এই সাবভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এখনও বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের গুরুতরতা সম্পর্কে আরও গবেষণা করছেন। তবে, কিছু প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই সাবভ্যারিয়েন্টটি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে।

WHO জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে। এর মধ্যে রয়েছে মাস্ক পরা, নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জনসাধারণকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে উৎসাহিত করছে। এর মধ্যে রয়েছে: মাস্ক পরা:

মাস্ক পরলে ভাইরাসের বিস্তার কমাতে সাহায্য হয়। নিয়মিত হাত ধোয়া: নিয়মিত হাত ধোয়া দিয়ে হাত থেকে ভাইরাস দূর করা যায়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।


মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কতটা কমে?

 সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঝুঁকি ৩০০% বেশি। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঝুঁকি ৭০% কমে। মাস্ক বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে কারণ এটি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে বাধা দেয়। মাস্ক ভাইরাসের ঝিল্লিগুলিকে আটকে রাখতে সাহায্য করে, যা ভাইরাসকে মানুষের কোষগুলিতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। মাস্ক বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর যখন এটি সঠিকভাবে পরে। সঠিকভাবে মাস্ক পরার জন্য, মাস্ক আপনার নাক, মুখ এবং চিবুককে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখতে হবে। মাস্কের দুই পাশ আপনার গালের সাথে টাইটভাবে ফিট হতে হবে। বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে মাস্ক পরার পাশাপাশি অন্যান্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে নিয়মিত হাত ধোয়া এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা।

মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমে কারণ এটি ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়াকে বাধা দেয়। মাস্ক ভাইরাসের ঝিল্লিগুলিকে আটকে রাখতে সাহায্য করে, যা ভাইরাসকে মানুষের কোষগুলিতে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। মাস্ক বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর যখন এটি সঠিকভাবে পরে। সঠিকভাবে মাস্ক পরার জন্য, মাস্ক আপনার নাক, মুখ এবং চিবুককে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখতে হবে। মাস্কের দুই পাশ আপনার গালের সাথে টাইটভাবে ফিট হতে হবে।


মাস্কের কার্যকারিতা

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাস্ক না পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঝুঁকি ৩০০% বেশি। এই গবেষণায়, গবেষকরা ৮০০ জন ব্যক্তির উপর গবেষণা চালান। তারা দেখতে পান যে, মাস্ক না পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৮০০-এর মধ্যে ৬৪০ জনের ছিল। অন্যদিকে, মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৮০০-এর মধ্যে ১৬০ জনের ছিল। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ঝুঁকি ৭০% কমে। এই গবেষণায়, গবেষকরা ৬০০ জন ব্যক্তির উপর গবেষণা চালান। তারা দেখতে পান যে, মাস্ক পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬০০-এর মধ্যে ৪২ জনের ছিল। অন্যদিকে, মাস্ক না পরলে বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৬০০-এর মধ্যে ১০৮ জনের ছিল।


মাস্ক বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে সবচেয়ে কার্যকর যখন এটি সঠিকভাবে পরে। সঠিকভাবে মাস্ক পরার জন্য, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:

মাস্কটি আপনার নাক, মুখ এবং চিবুককে সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখতে হবে।

মাস্কের দুই পাশ আপনার গালের সাথে টাইটভাবে ফিট হতে হবে।

মাস্কের প্রান্তগুলি আপনার মুখের সাথে সংস্পর্শে থাকতে হবে।

মাস্কটি বারবার স্পর্শ করবেন না।

মাস্ক ব্যবহার করার পর তা সঠিকভাবে ফেলে দিন।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ কমাতে মাস্ক পরার পাশাপাশি অন্যান্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থাও অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যবস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে:

নিয়মিত হাত ধোয়া: নিয়মিত হাত ধোয়া দিয়ে হাত থেকে ভাইরাস দূর করা যায়। হাত ধোয়ার জন্য, সাবান এবং জল দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুতে হবে। যদি সাবান এবং জল না থাকে, তাহলে অ্যালকোহল-ভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। সামাজিক দূরত্বের অর্থ হল অন্যদের কাছ থেকে কমপক্ষে ২ মিটারের দূরত্ব বজায় রাখা।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর হার কতটা বেশি?

বিশেষজ্ঞরা এখনও বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর হার সম্পর্কে নিশ্চিত নন। তবে, কিছু প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই সাবভ্যারিয়েন্টটি গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তির হার ৪০% বেশি। অন্যদিকে, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যুর হার ১৫% বেশি। এই গবেষণাগুলি দেখায় যে, বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর হার বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি হতে পারে। তবে, এই বিষয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে মৃত্যুর হার বেশি হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

সংক্রামকতা: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি সংক্রামক। এর মানে হল যে, একজন সংক্রামিত ব্যক্তি আরও বেশি লোককে সংক্রামিত করতে পারে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা এড়ানো: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্ট বিএ.২ সাবভ্যারিয়েন্টের চেয়ে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও ভালভাবে এড়াতে পারে। এর মানে হল যে, যারা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা পেয়েছেন বা সংক্রমিত হয়েছেন তাদেরও এই সাবভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

শ্বাসযন্ত্রের প্রভাব: বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্ট প্রাথমিকভাবে শ্বাসযন্ত্রের উপর বেশি প্রভাব ফেলে বলে মনে হচ্ছে। এর মানে হল যে, এটি ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে এবং গুরুতর অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের মৃত্যুর হার কমাতে করণীয়গুলির মধ্যে রয়েছে:

সঠিকভাবে মাস্ক পরা: মাস্ক পরলে ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া কমাতে সাহায্য হয়।

 নিয়মিত হাত ধোয়া: নিয়মিত হাত ধোয়া দিয়ে হাত থেকে ভাইরাস দূর করা যায়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা: সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। কোভিড-১৯ এর টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া: কোভিড-১৯ এর টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, যা বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।


বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতা থেকে বাঁচার জন্য এখন পর্যন্ত কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়নি। তবে, কিছু চিকিৎসা রয়েছে যা এই সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণগুলির চিকিৎসায় সাহায্য করতে পারে।

এই চিকিৎসাগুলির মধ্যে রয়েছে: অক্সিজেন থেরাপি:

গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে, রোগীদের অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। অক্সিজেন থেরাপি রোগীদের শ্বাস নিতে সহায়তা করে।

ইনট্রaveনাস (আইভি) তরল: গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে, রোগীদের আইভি তরল প্রয়োজন হতে পারে। আইভি তরল রোগীদের হাইড্রেটেড থাকতে সহায়তা করে। স্টেরয়েডস: স্টেরয়েডস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। স্টেরয়েডস গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে রোগীদের ফুসফুসের ক্ষতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ: অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ভাইরাসের বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার কমাতে সাহায্য করতে পারে।

বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতা থেকে বাঁচার জন্য সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা হল কোভিড-১৯ এর টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়া। কোভিড-১৯ এর টিকা এবং বুস্টার ডোজ শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, যা বিএ.২.৭৫ সাবভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

Link copied