রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা যেভাবে বদলে দিচ্ছে?

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৪ জানুয়ারী ২০২৪ ০৫:৫৬ মিনিট


পোস্ট ফটো

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা কাঠামোকে গভীরভাবে পরিবর্তন করছে। যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে এবং তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন জোট এবং অংশীদারিত্বও তৈরি হচ্ছে। শিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রভাবগুলির একটি সংক্ষিপ্তসার প্রদান করে। এটি তিনটি প্রধান প্রভাবকে চিহ্নিত করে:

          ১. নিরাপত্তা উদ্বেগ বৃদ্ধি: যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে।

          ২. প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি: ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে। 

          ৩. নতুন জোট এবং অংশীদারিত্বের উদ্ভব: যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হচ্ছে, যেমন নর্ডিক-বাল্টিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা (NB8) এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (OSCE)।


যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। যুদ্ধের শুরুর দিকে, অনেক ইউরোপীয় নেতা বিশ্বাস করেছিলেন যে রাশিয়া ইউক্রেনকে দ্রুত পরাজিত করবে এবং যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। কিন্তু যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায়, ইউরোপীয় দেশগুলি বুঝতে পেরেছে যে রাশিয়ার আগ্রাসন একটি বাস্তব হুমকি। এই উদ্বেগের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, ন্যাটো দেশগুলি ২০২৪ সালে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২%-এ উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের সামরিক শক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে হবে।


ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব তৈরি হচ্ছে

যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হচ্ছে, যেমন নর্ডিক-বাল্টিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা (NB8) এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (OSCE)। এই জোট এবং অংশীদারিত্ব ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা সামরিক সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রম এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে সহযোগিতা করছে।


যুদ্ধের সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে পুনর্বিবেচনা করতে পারে এবং নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে। যুদ্ধের ফলে ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জটিল এবং অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে। রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে এবং নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে।


পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ

ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্গঠন একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হবে। ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাদেরকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণও করতে হবে।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গভীরভাবে পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তনগুলির সাথে মানিয়ে নিতে, ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্গঠন করতে হবে। ইউরোপীয় দেশগুলিকে নিম্নলিখিত চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে হবে:

প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি: যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এই উদ্বেগের ফলে তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, ন্যাটো দেশগুলি ২০২৪ সালে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২%-এ উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের সামরিক শক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে হবে।

নতুন জোট এবং অংশীদারিত্বের বিকাশ: যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হচ্ছে, যেমন নর্ডিক-বাল্টিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা (NB8) এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (OSCE)। এই জোট এবং অংশীদারিত্ব ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে, এই জোট এবং অংশীদারিত্বগুলির মধ্যে সমন্বয় এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হবে।

রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ: যুদ্ধের ফলে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করা একটি চ্যালেঞ্জ হবে। এটি করার জন্য, ইউরোপীয় দেশগুলিকে রাশিয়ার উদ্বেগগুলি বুঝতে হবে এবং রাশিয়ার সাথে আলোচনায় যেতে হবে।


এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করতে, ইউরোপীয় দেশগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাদেরকে একটি সাধারণ নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে গভীরভাবে পরিবর্তন করেছে। এই পরিবর্তনগুলির সাথে মানিয়ে নিতে, ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্গঠন করতে হবে। এই পুনর্গঠন একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হবে, কিন্তু এটি ইউরোপের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয়।


পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ:

ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্গঠন একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হবে। ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে হবে। তাদেরকে রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণও করতে হবে।


প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এই উদ্বেগের ফলে তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে, ন্যাটো দেশগুলি ২০২৪ সালে তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় জিডিপির ২%-এ উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই প্রতিশ্রুতির ফলে ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের সামরিক শক্তিকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করতে হবে। প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি একটি জটিল এবং চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া হবে। এটি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এটি তাদেরকে তাদের অন্যান্য সরকারি ব্যয়গুলিকে কমাতে বা কর বৃদ্ধি করতে বাধ্য করতে পারে। প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সামরিক ভারসাম্যকেও পরিবর্তন করতে পারে। এটি ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে পারে।


নতুন জোট এবং অংশীদারিত্বের বিকাশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হচ্ছে, যেমন নর্ডিক-বাল্টিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা (NB8) এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (OSCE)। এই জোট এবং অংশীদারিত্ব ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্বের বিকাশ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, এই জোট এবং অংশীদারিত্বগুলির মধ্যে সমন্বয় এবং সহযোগিতা নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হবে। এটি করার জন্য, ইউরোপীয় দেশগুলিকে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক এবং সামরিক সংস্কৃতিগত পার্থক্যগুলিকে অতিক্রম করতে হবে।


রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রাশিয়া এবং পশ্চিমা দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ করা একটি চ্যালেঞ্জ হবে। এটি করার জন্য, ইউরোপীয় দেশগুলিকে রাশিয়ার উদ্বেগগুলি বুঝতে হবে এবং রাশিয়ার সাথে আলোচনায় যেতে হবে। রাশিয়ার সাথে সম্পর্ক পুনর্নির্মাণ একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য। তবে, এটি একটি কঠিন কাজ হবে। রাশিয়াকে তার আগ্রাসনের জন্য জবাবদিহি করতে হবে এবং ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে হুমকি দেওয়া বন্ধ করতে হবে।


ইউরোপীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার পুনর্গঠনকে আরও কঠিন করে তোলার জন্য কিছু অতিরিক্ত কারণ রয়েছে: অর্থনৈতিক অস্থিরতা:

যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এটি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে অর্থায়ন সংগ্রহ করাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

রাজনৈতিক বিভাজন: ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। এটি তাদেরকে একসাথে কাজ করতে এবং একটি সাধারণ নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে বাধা দিতে পারে।

জনমত: ইউরোপীয় জনমত যুদ্ধের কারণে উদ্বিগ্ন, কিন্তু তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে ইচ্ছুক কিনা তা স্পষ্ট নয়।


অতিরিক্ত চ্যালেঞ্জ

অর্থনৈতিক অস্থিরতা: যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এটি ইউরোপীয় দেশগুলির জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে অর্থায়ন সংগ্রহ করাকে আরও কঠিন করে তুলতে পারে।

রাজনৈতিক বিভাজন: ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে রাজনৈতিক বিভাজন রয়েছে। এটি তাদেরকে একসাথে কাজ করতে এবং একটি সাধারণ নিরাপত্তা দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে বাধা দিতে পারে।

জনমত: ইউরোপীয় জনমত যুদ্ধের কারণে উদ্বিগ্ন, কিন্তু তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে এবং তাদের সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে ইচ্ছুক কিনা তা স্পষ্ট নয়।


রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জটিল এবং অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। যুদ্ধের ফলে নিম্নলিখিত সম্ভাবনাগুলি দেখা দেয়:

ইউরোপের মধ্যে সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তন হতে পারে। যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। এটি ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সামরিক ভারসাম্যকে পরিবর্তন করতে পারে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হতে পারে। যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। এই সহযোগিতা নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে। যুদ্ধের ফলে রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে।


ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল এবং নিরাপদ করার জন্য, ইউরোপীয় দেশগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাদেরকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে হবে:

তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে। এটি তাদের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠন করতে হবে। এটি তাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। রাশিয়ার সাথে আলোচনা করতে হবে। এটি রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণগুলি বুঝতে এবং একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।


ইউরোপের মধ্যে সামরিক ভারসাম্য পরিবর্তন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। এই ব্যয় বৃদ্ধি ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সামরিক ভারসাম্যকে পরিবর্তন করতে পারে। বর্তমানে, রাশিয়া ইউরোপের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তি। রাশিয়ার কাছে প্রচুর পরিমাণে আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম রয়েছে এবং এর একটি বড় এবং অভিজ্ঞ সৈন্যবাহিনী রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে, ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার আগ্রাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে। এই উদ্বেগের ফলে তারা তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে। যদি ইউরোপীয় দেশগুলি তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়, তাহলে এটি ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সামরিক ভারসাম্যকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরিবর্তন করতে পারে।


নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলি এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা বাড়ছে। এই সহযোগিতা নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে, ন্যাটো ইউরোপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক জোট। ন্যাটোতে ৩০ টি দেশ রয়েছে, যার মধ্যে ১২ টি দেশ পূর্ব ইউরোপে অবস্থিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে, পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলি ন্যাটোতে যোগদানের জন্য আরও আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এই আগ্রহের ফলে ন্যাটোতে নতুন সদস্য দেশ যোগ হতে পারে। এছাড়াও, নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠিত হতে পারে যা ন্যাটো ছাড়াও ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে পারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রাশিয়া এবং ইউরোপীয় দেশগুলির মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং নতুন সংঘাতের সম্ভাবনা বাড়াতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যাওয়ায়, ইউরোপীয় দেশগুলি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। এই নিষেধাজ্ঞাগুলি রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং রাশিয়াকে আরও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে। এছাড়াও, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে পরাজিত হলে, এটি রাশিয়াকে আরও আক্রমণাত্মক করে তুলতে পারে। রাশিয়া ইউরোপীয় দেশগুলিকে হুমকি দিতে পারে এবং নতুন সংঘাতের সূচনা করতে পারে।


ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও স্থিতিশীল এবং নিরাপদ করার জন্য, ইউরোপীয় দেশগুলিকে একসাথে কাজ করতে হবে। তাদেরকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে হবে:

তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াতে হবে। এটি তাদের রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। নতুন জোট এবং অংশীদারিত্ব গঠন করতে হবে। এটি তাদের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে এবং ইউরোপের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। রাশিয়ার সাথে আলোচনা করতে হবে। এটি রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণগুলি বুঝতে এবং একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।



Link copied