বাংলাদেশের সংবিধানে দেশের সর্বোচ্চ আইন
২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:০১ মিনিট
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি লিখিত দলিল। ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিখে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহীত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়। বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি চারটি: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এই মূলনীতিগুলির ভিত্তিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠিত। বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য, রাষ্ট্রের অর্থনীতি, রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলির বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান সর্বমোট ১৬ টি ভাগে বিভক্ত। এই ১৬ টি ভাগের মধ্যে রয়েছে:
প্রস্তাবনা
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
রাষ্ট্রের ধারণা ও কাঠামো
নির্বাহী বিভাগ
আইন বিভাগ
বিচার বিভাগ
স্থানীয় সরকার
অর্থনীতি
শিক্ষা
সংস্কৃতি
স্বাস্থ্য
শ্রম
পরিবার
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
বাংলাদেশের সংবিধানে ১৭ বার সংশোধন করা হয়েছে। সর্বশেষ সংশোধনটি ২০১৮ সালে করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধান একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান। এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও, এই সংবিধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কাঠামো প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
সংবিধান হল একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি একটি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ভিত্তি। সংবিধানের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
রাষ্ট্রের ভিত্তি: সংবিধান হল একটি দেশের রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি। এটি রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য, রাষ্ট্রের অর্থনীতি, রাষ্ট্রের বিচারব্যবস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়গুলির বিধান করে।
নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা: সংবিধান নাগরিকদের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করে। সংবিধানে নাগরিকদের জীবন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার, সমাজের সুবিধা ভোগের অধিকার ইত্যাদি অধিকারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা: সংবিধান রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নাগরিকদের মধ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: সংবিধান আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সংবিধানের গুরুত্ব অপরিসীম। একটি দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য সংবিধানের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত দলিল যা বাংলাদেশের রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন। এটি ১৯৭২ সালের ৪ঠা নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ই ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। সংবিধানে বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখা, রাষ্ট্রের রূপ, সরকারের গঠন, জনগণের অধিকার ও কর্তব্য, আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ইত্যাদি বিষয়ের বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্ব নিম্নরূপ:
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন: সংবিধানই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন। এর বিধানাবলীর উপর সকল আইন, বিধি, প্রবিধান, অধ্যাদেশ, আদেশ, ইত্যাদির প্রাধান্য থাকবে।
রাষ্ট্রের রূপ: সংবিধানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রের রূপ প্রজাতন্ত্রী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে।
সরকারের গঠন: সংবিধানে বাংলাদেশের সরকারের গঠন ব্যবস্থা নির্ধারিত হয়েছে। এতে নির্বাহী, আইনসভা ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও ক্ষমতা বণ্টন বিধান রয়েছে।
জনগণের অধিকার ও কর্তব্য: সংবিধানে বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্যের বিধান রয়েছে। এতে সকল নাগরিকের আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার, কর্মসংস্থানের অধিকার, ইত্যাদি অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। আইনের শাসন: সংবিধানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিধান রয়েছে। এতে সকল নাগরিকের আইনের অধীনতা ও আইনের সমতা রয়েছে।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষেত্রে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবিধান একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রচিত। এটি বাংলাদেশের জনগণের অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। সংবিধানের বিধানাবলীর যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশের সংবিধানের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি: বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে ঘোষণা করা হয়েছে।
মৌলিক অধিকারের বিস্তৃত বিধান: বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য ব্যাপক মৌলিক অধিকারের বিধান রয়েছে। এসব অধিকারের মধ্যে রয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সমান অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মবিশ্বাসের স্বাধীনতা, শিক্ষার অধিকার, কর্মসংস্থানের অধিকার, ইত্যাদি।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা: বাংলাদেশের সংবিধানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বিচারকদের অপসারণের ক্ষেত্রে কঠোর বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা: বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সংসদের নিকট দায়বদ্ধ।
সংবিধানের ভূমিকায় বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস এবং সংবিধান প্রণয়নের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে। ভূমিকায় বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশের জনগণ ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসন থেকে স্বাধীনতা অর্জন করে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তারা যে মূলনীতিগুলোর ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের জন্য সংগ্রাম করেছিল, সেই মূলনীতিগুলোই সংবিধানের মূল ভিত্তি।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে। এই নীতিগুলো হল: জাতীয়তাবাদ:
বাংলাদেশ একটি জাতীয়তাবাদী রাষ্ট্র।
সমাজতন্ত্র: বাংলাদেশ একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
গণতন্ত্র: বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
ধর্মনিরপেক্ষতা: বাংলাদেশ একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র।
রাষ্ট্রের গঠন
সংবিধানের তৃতীয় ভাগে রাষ্ট্রের গঠন বর্ণিত হয়েছে। এই ভাগে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা, আইনসভা, নির্বাহী বিভাগ এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কার্যাবলী বর্ণিত হয়েছে।
মৌলিক অধিকার
সংবিধানের চতুর্থ ভাগে মৌলিক অধিকার বর্ণিত হয়েছে। এই ভাগে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, যেমন- জীবন ও স্বাধীনতা, ব্যক্তির নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শিক্ষার স্বাধীনতা, পেশার স্বাধীনতা ইত্যাদির কথা বলা হয়েছে।
সংবিধান সংশোধন
সংবিধানের পঞ্চম ভাগে সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে। এই ভাগে বলা হয়েছে যে, সংবিধান সংশোধন করতে হলে সংসদে গৃহীত সংশোধনী বিল দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করতে হবে।
সংবিধানের গুরুত্ব
বাংলাদেশের সংবিধান একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই দলিলটি রাষ্ট্রের গঠন, শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এছাড়াও, সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
বাংলাদেশের সংবিধানের গুরুত্ব নিম্নরূপ: রাষ্ট্রের মূল কাঠামো নির্ধারণ করে:
সংবিধান রাষ্ট্রের গঠন, শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। এতে রাষ্ট্রের মূল কাঠামো নির্ধারণ করা হয়।
নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে: সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে। এতে জীবন ও স্বাধীনতা, ব্যক্তির নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শিক্ষার স্বাধীনতা, পেশার স্বাধীনতা ইত্যাদি অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করে: সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এতে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়।
রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে: সংবিধান রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। এতে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন সুষ্ঠুভাবে হলে রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি রাষ্ট্রের গঠন, শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এছাড়াও, সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের মূল কাঠামো নিম্নরূপ নির্ধারণ করা হয়:
রাষ্ট্রের রূপ: সংবিধানে রাষ্ট্রের রূপ নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রের রূপ প্রজাতন্ত্রী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। সরকারের গঠন: সংবিধানে সরকারের গঠন নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের ক্ষমতা বণ্টন: সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বণ্টন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে নির্বাহী, আইনসভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়েছে।
নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারণ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে
সংবিধান একটি দেশের সর্বোচ্চ আইন। এটি রাষ্ট্রের গঠন, শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও কর্তব্য ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এছাড়াও, সংবিধান নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
সংবিধান নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে নিম্নলিখিতভাবে:
মৌলিক অধিকারের বিধান: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের বিধান রয়েছে। এই অধিকারগুলো সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা, ব্যক্তির নিরাপত্তা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শিক্ষার স্বাধীনতা, পেশার স্বাধীনতা ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে।
অধিকার রক্ষার ব্যবস্থা: সংবিধানে নাগরিকদের অধিকার রক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে যে, নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন হলে তারা আদালতে মামলা করতে পারবেন। অধিকারের প্রচার ও প্রশিক্ষণ: সংবিধানের মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের সংবিধানে বলা হয়েছে যে, রাষ্ট্রের শিক্ষাব্যবস্থায় নাগরিকদের অধিকারের শিক্ষাদান করা হবে।
সংবিধানের মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা হলে রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে। এছাড়াও, রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হলে তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করতে পারে।
বাংলাদেশের সংবিধানে নিম্নলিখিত মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে:
জীবন ও স্বাধীনতা: সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
ব্যক্তির নিরাপত্তা: সকল নাগরিকের ব্যক্তির নিরাপত্তা অধিকার রয়েছে।
ধর্মের স্বাধীনতা: সকল নাগরিকের ধর্মের স্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
বাকস্বাধীনতা: সকল নাগরিকের বাকস্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা: সকল নাগরিকের সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
শিক্ষার স্বাধীনতা: সকল নাগরিকের শিক্ষার স্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
পেশার স্বাধীনতা: সকল নাগরিকের পেশার স্বাধীনতা অধিকার রয়েছে।
সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন নিম্নরূপ করা হয়:
নির্বাহী বিভাগ: নির্বাহী বিভাগ রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করে। এটি রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহী, অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
আইনসভা: আইনসভা রাষ্ট্রের আইন প্রণয়ন করে। এটি সংসদ বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
বিচার বিভাগ: বিচার বিভাগ রাষ্ট্রের আইনের ব্যাখ্যা করে এবং আইনের অধীনে সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষা করে। এটি সুপ্রিম কোর্টের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।
নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতা: নির্বাহী বিভাগের ক্ষমতাগুলির মধ্যে রয়েছে:
রাষ্ট্রের শাসনকার্য পরিচালনা করা
আইনের প্রয়োগ করা
রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা রক্ষা করা
আইনসভার ক্ষমতা: আইনসভার ক্ষমতাগুলির মধ্যে রয়েছে:
আইন প্রণয়ন করা
বাজেট প্রণয়ন করা
রাষ্ট্রের প্রধান নির্বাহীর নির্বাচন করা
বিচার বিভাগের ক্ষমতা: বিচার বিভাগের ক্ষমতাগুলির মধ্যে রয়েছে:
আইনের ব্যাখ্যা করা
আইনের অধীনে সকল নাগরিকের অধিকার রক্ষা করা
রাষ্ট্রের সংবিধানের রক্ষণাবেক্ষণ করা
সংবিধান রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে। সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার একটি সুষ্ঠু ও ন্যায়সঙ্গত কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি নাগরিকদের মধ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়:
রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন: সংবিধানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতা বণ্টন করা হয়। এটি রাষ্ট্রে একক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ করে এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে।
নাগরিকদের অধিকার রক্ষা: সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের বিধান রয়েছে। এই অধিকারগুলো সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। সংবিধানের মাধ্যমে নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করা হলে তারা রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার সাথে সন্তুষ্ট থাকে এবং রাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়। আইনের অধীনে সকল নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। সংবিধানের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হলে রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা রোধ হয় এবং রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।