বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের এক নতুন জোয়ার

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:০০ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এক নতুন জোয়ারের সাক্ষী হচ্ছেন। তরুণ, উদ্যমী এবং প্রযুক্তি-সচেতন এই উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করছে। 

নতুন উদ্যোক্তাদের কিছু বৈশিষ্ট্য:

প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ: এই উদ্যোক্তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ এবং তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ

বিশ্ববাজারে চোখ: তাদের দৃষ্টি কেবলমাত্র স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তারা বিশ্ববাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছে।

সামাজিক উদ্যোক্তা: অনেক উদ্যোক্তা সামাজিক উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন এবং তাদের ব্যবসার মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখছেন।


কিছু উদাহরণ:

Pathao: রাইড শেয়ারিং কোম্পানি Pathao দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

Sheba.xyz: Sheba.xyz বিভিন্ন ধরণের অন-ডিমান্ড পরিষেবা প্রদান করে।

Chaldal: Chaldal অনলাইনে কাঁচাবাজারের জিনিসপত্র সরবরাহ করে।

ShopUp: ShopUp ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম যা ছোট ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্য অনলাইনে বিক্রি করতে সহায়তা করে।


কারণ:

ইন্টারনেটের প্রসার: ইন্টারনেটের প্রসার উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

সরকারের সহায়তা: সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করছে।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ: বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।


ভবিষ্যৎ:

বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ রয়েছে: তাদের সম্ভাবনা অনেক এবং তারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বাংলাদেশ একটি উদ্যোক্তা-বান্ধব দেশে পরিণত হতে পারে: সঠিক নীতিমালা এবং সহায়তার মাধ্যমে বাংলাদেশ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।


বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উদ্যোক্তাদের অবদান

অর্থনীতিতে:

কর্মসংস্থান সৃষ্টি: উদ্যোক্তারা নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দারিদ্র্য হ্রাস: উদ্যোক্তারা দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করে।

জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন: উদ্যোক্তাদের অবদান জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তা করে।


সমাজে:

নতুন ধারণার প্রবর্তন: উদ্যোক্তারা নতুন ধারণা এবং প্রযুক্তি প্রবর্তন করে।

সামাজিক উন্নয়ন: উদ্যোক্তারা সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখে।

পরিবেশ রক্ষা: উদ্যোক্তারা পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারে।


নতুন উদ্যোক্তাদের উত্থান:

বাংলাদেশে নতুন উদ্যোক্তাদের উত্থান একটি ইতিবাচক বিকাশ যা দেশের অর্থনীতি ও সমাজের জন্য সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে।


কারণ:

ইন্টারনেটের প্রসার: ইন্টারনেটের প্রসার উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করেছে।

সরকারের সহায়তা: সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন ধরণের সহায়তা প্রদান করছে।

বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ: বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে।


নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ:

অর্থায়ন: উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রশিক্ষণ: উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ সীমিত।

অবকাঠামো: দুর্বল অবকাঠামো উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বাধা।

নীতিমালা: জটিল নীতিমালা উদ্যোক্তাদের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে।


তরুণ উদ্যোক্তাদের বৃদ্ধি: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

সম্ভাবনা:

জনসংখ্যা: বাংলাদেশের জনসংখ্যার বেশিরভাগই তরুণ, যাদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রবল আগ্রহ রয়েছে।

প্রযুক্তি: ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির অগ্রগতি তরুণদের জন্য নতুন উদ্যোক্তার সুযোগ তৈরি করেছে। সরকারি সহায়তা: সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা এবং অর্থায়নের ব্যবস্থা করে থাকে।

বাজার: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজার ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে, যা তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করে।


চ্যালেঞ্জ:

অর্থায়ন: তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রায়ই তাদের ব্যবসা শুরু করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থায়ন খুঁজে পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

অভিজ্ঞতা: অনেক তরুণ উদ্যোক্তার ব্যবসা পরিচালনার অভিজ্ঞতার অভাব থাকে।

প্রশিক্ষণ: উদ্যোক্তা হিসেবে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণের সুযোগ সীমিত।

অবকাঠামো: বিদ্যুৎ, জ্বালানি, এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো অবকাঠামোগত সমস্যাগুলি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বাধা সৃষ্টি করে।

নীতিমালা: জটিল নীতিমালা এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু করা কঠিন করে তোলে।


সমাধান:

সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি: সরকার তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন, প্রশিক্ষণ এবং প্রণোদনা আরও সহজলভ্য করে তুলতে পারে।

উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন: তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং সহায়তা প্রদানের জন্য আরও উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যেতে পারে।

ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর এবং অ্যাক্সিলারেটর স্থাপন: তরুণ উদ্যোক্তাদের তাদের ব্যবসা শুরু করতে এবং বৃদ্ধি করতে সহায়তা করার জন্য ব্যবসায়িক ইনকিউবেটর এবং অ্যাক্সিলারেটর স্থাপন করা যেতে পারে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রচারণা চালানো যেতে পারে।

নীতিমালা সরলীকরণ: তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যবসা শুরু করা সহজ করার জন্য নীতিমালা সরলীকরণ করা যেতে পারে।


নারী উদ্যোক্তাদের উত্থান

নারীদের ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ:

কারিগরি দক্ষতা: নারীদের ব্যবসার জন্য প্রয়োজনীয় কারিগরি দক্ষতা প্রদান, যেমন সেলাই, কম্পিউটার, হাতের কাজ, ইত্যাদি।

ব্যবসায়িক দক্ষতা: ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাজারজাতকরণ, অর্থায়ন, এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণ।

নেতৃত্ব দক্ষতা: নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, যোগাযোগ, এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা বৃদ্ধি।


আর্থিক সহায়তা:

ক্ষুদ্র ঋণ: সহজ শর্তে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রদান।

অনুদান: সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে ব্যবসা শুরু করার জন্য আর্থিক অনুদান।

বিনিয়োগ: নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ।


সফল নারী উদ্যোক্তা:

রুপা চৌধুরী: "বসুন্ধরা গ্রুপ"-এর প্রতিষ্ঠাতা।

ফাতেমা বিনতে মোশাররফ: "ফিটনেস ফার্স্ট"-এর প্রতিষ্ঠাতা।

নাসিমা আক্তার নিশা: "ওমেন এন্ড ই-কমার্স"-এর প্রতিষ্ঠাতা।


প্রযুক্তির ব্যবহার

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:

ই-কমার্স: নারীরা অনলাইনে তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং: নারীরা অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া: নারীরা ব্যবসার প্রচার ও বাজারজাত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে।


ডিজিটাল মার্কেটিং:

ওয়েবসাইট: ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রচার ও বাজারজাতকরণ করা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষস্থানে রাখার জন্য SEO কৌশল ব্যবহার করা।

পেইড অ্যাডভার্টাইজিং: ফেসবুক, গুগল, ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন প্রদান করে ব্যবসার প্রচার করা।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম:

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার ও বাজারজাতকরণ করা।

গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা।

অনলাইন কমিউনিটি তৈরি করে ব্যবসার প্রসার ঘটানো।


প্রযুক্তির ব্যবহার নারী উদ্যোক্তাদের:

ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করে।

বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করে। গ্রাহকদের সাথে সহজ যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে।

ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।


ভবিষ্যতের সম্ভাবনা:

কারণ:

সরকারের নীতিমালা: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সরকার বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

প্রযুক্তির ব্যবহার: প্রযুক্তির ব্যবহার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করছে।

সচেতনতা বৃদ্ধি: নারী উদ্যোক্তা হওয়ার প্রতি সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রশিক্ষণ ও সহায়তা: নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।


ভবিষ্যতে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা:

দেশীয় বাজারে আরও বেশি অংশীদারিত্ব করতে পারবে।

বিশ্ববাজারে তাদের পণ্য ও সেবা রপ্তানি করতে পারবে।

অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে পারবে।


নারী উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের জন্য:

সরকারি নীতিমালার কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদানের প্রসার ঘটাতে হবে।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বাধা দূর করতে হবে।

পুরুষদের সহযোগিতা ও সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তাদের সম্ভাবনা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়নের জন্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।


বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাদের সাফল্যের জন্য:

তাদের পণ্য ও সেবার মান উন্নত করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।


সরকারের সহায়তা

ঋণ:

বাংলাদেশ ব্যাংক নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে।

সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলো নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ প্রকল্প পরিচালনা করে।

SME ফাউন্ডেশন নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ প্রদান করে।


প্রশিক্ষণ:

সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে।

এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে ব্যবসায়িক দক্ষতা, প্রযুক্তি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ, ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।


নীতিমালাঃ

সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।

এই নীতিমালায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের কথা বলা হয়েছে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কোটা সংরক্ষণ, কর ছাড়, ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া হয়।


সরকারের সহায়তার কিছু উদাহরণ:

জয়িতা: এটি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প যা তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নে কাজ করে।

নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রকল্প: এটি বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোগ (SME) ফাউন্ডেশনের একটি প্রকল্প যা নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ ও ঋণ প্রদান করে।

স্বনির্ভর নারী উদ্যোক্তা ঋণ তহবিল: এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি তহবিল যা নারী উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে।


প্রযুক্তির ব্যবহার:

অনলাইন প্ল্যাটফর্ম:

ই-কমার্স: নারীরা অনলাইনে তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারে।

ফ্রিল্যান্সিং: নারীরা অনলাইনে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কাজের মাধ্যমে আয় করতে পারে।

সোশ্যাল মিডিয়া: নারীরা ব্যবসার প্রচার ও বাজারজাত করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারে।


ডিজিটাল মার্কেটিং:

ওয়েবসাইট: ব্যবসার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রচার ও বাজারজাতকরণ করা।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (SEO): ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে শীর্ষস্থানে রাখার জন্য SEO কৌশল ব্যবহার করা।

পেইড অ্যাডভার্টাইজিং: ফেসবুক, গুগল, ইত্যাদিতে বিজ্ঞাপন প্রদান করে ব্যবসার প্রচার করা।


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম:

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে ব্যবসার প্রচার ও বাজারজাতকরণ করা।

গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও তাদের প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করা।

অনলাইন কমিউনিটি তৈরি করে ব্যবসার প্রসার ঘটানো।


প্রযুক্তির ব্যবহার নারী উদ্যোক্তাদের:

ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা সহজ করে।

বাজার সম্প্রসারণে সহায়তা করে।

গ্রাহকদের সাথে সহজ যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করে।

ব্যবসায়িক ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

নারী উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান করা জরুরি।


বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশ্ববাজারে

তাদের সাফল্যের কিছু কারণ:

পোশাক শিল্পে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান: বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারী দেশ।

সরকারের নীতিমালা: সরকার উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে।

প্রযুক্তির ব্যবহার: উদ্যোক্তারা ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে।

দক্ষ জনবল: বাংলাদেশে প্রচুর দক্ষ ও তুলনামূলকভাবে কম খরচে শ্রমিক পাওয়া যায়।


বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা বিশ্ববাজারে:

পোশাক ছাড়াও অন্যান্য শিল্পেও সাফল্য অর্জন করছে।

নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ করছে। আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের সাথে কাজ করছে।


বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের সাফল্যের জন্য:

তাদের পণ্য ও সেবার মান উন্নত করতে হবে।

আন্তর্জাতিক বাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।

বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা তৈরি পোশাক, হস্তশিল্প, কৃষিজাত পণ্য, ইত্যাদিতে বিশ্ববাজারে অনেক সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে উদ্যোক্তারা বিশ্ববাজারে তাদের পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে। সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের জন্য বিশ্ববাজার সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করছে।




Link copied