বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এক অনুপ্রেরণা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১২:১০ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ। এটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং এর উত্তরে, পশ্চিমে এবং পূর্বে ভারত এবং পূর্বে মায়ানমার রয়েছে। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বাংলাদেশ একটি নিম্নভূমি দেশ, বেশিরভাগই সমতল ভূমি দ্বারা গঠিত। দেশটিতে অনেক নদী রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পদ্মা, মেঘনা এবং যমুনা। বাংলাদেশের জলবায়ু গ্রীষ্মকালে উষ্ণ এবং আর্দ্র এবং শীতকালে হালকা। বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি মানুষ। দেশের সরকার একটি সংসদীয় গণতন্ত্র। বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষি, পোশাক উৎপাদন এবং রেমিট্যান্সের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় দেশ যা সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির আবাসস্থল। দেশটি তার সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষ এবং সুস্বাদু খাবারের জন্যও পরিচিত। 


অর্থনীতি: জিডিপি প্রবৃদ্ধি:

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি দীর্ঘ সময় ধরে ৬% এর উপরে ছিল।

দারিদ্র্য হ্রাস: দারিদ্র্যের হার ১৯৭১ সালে ৮০% থেকে ২০২২ সালে ২০% এ নেমে এসেছে।

মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি: মাথাপিছু আয় ১৯৭১ সালে ১২৯ ডলার থেকে ২০২২ সালে ২৫৯১ ডলারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

পোশাক শিল্পের প্রবৃদ্ধি: পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।

বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি: বিদ্যুৎ উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন: রাস্তাঘাট, সেতু, লঞ্চ টার্মিনাল, বিমানবন্দর, ইত্যাদি অবকাঠামো উন্নত হয়েছে।


সামাজিক সূচক:

শিক্ষার হার বৃদ্ধি: শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

শিশু মৃত্যু হার হ্রাস: শিশু মৃত্যু হার অনেকাংশে কমে এসেছে।

মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস: মাতৃমৃত্যু হারও অনেকাংশে কমে এসেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবা উন্নত: স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত হয়েছে।


চ্যালেঞ্জ:

দুর্নীতি: দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা।

অসমতা: আয় ও সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবেশগত সমস্যা: পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।


ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ: বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ করতে চায়।

উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণ: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণ করতে চায়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন: বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়।


বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এক অনুপ্রেরণা কারণ:

স্বাধীনতা যুদ্ধ: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল একটি অনন্য ও বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধ।

দারিদ্র্য হ্রাস: বাংলাদেশ দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন: বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের অন্যতম দেশ।

শিক্ষার হার বৃদ্ধি: বাংলাদেশের শিক্ষার হার দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিশু মৃত্যু হার হ্রাস: বাংলাদেশ শিশু মৃত্যু হার হ্রাসে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

মাতৃমৃত্যু হার হ্রাস: বাংলাদেশ মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

পরিবেশগত দুর্যোগ মোকাবেলা: বাংলাদেশ পরিবেশগত দুর্যোগ মোকাবেলায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

শান্তিরক্ষা অভিযানে অংশগ্রহণ: বাংলাদেশ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নত হয়েছে।


বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা:

দারিদ্র্য বিমোচনে: বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনের অভিজ্ঞতা অন্য অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

নারীর ক্ষমতায়নে: বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়নের অগ্রগতি অন্য অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।

শিক্ষার প্রসারে: বাংলাদেশের শিক্ষার প্রসারের অভিজ্ঞতা অন্য অনেক দেশের জন্য শিক্ষনীয়।

পরিবেশগত দুর্যোগ মোকাবেলায়: বাংলাদেশের পরিবেশগত দুর্যোগ মোকাবেলার অভিজ্ঞতা অন্য অনেক দেশের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।

শান্তি ও স্থিতিশীলতায়: বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা অন্য অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয়।


চ্যালেঞ্জ:

দুর্নীতি: দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা।

অসমতা: আয় ও সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবেশগত সমস্যা: পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।


বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যঃ

 অর্থনীতি: দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: বাংলাদেশ গত কয়েক দশক ধরে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

দারিদ্র্য হ্রাস: দারিদ্র্যের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

পোশাক শিল্পে সাফল্য: বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ।

রেমিট্যান্স: প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাঠানো রেমিট্যান্স অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


সামাজিক ক্ষেত্র:

শিক্ষার হার বৃদ্ধি: শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রগতি: শিশু মৃত্যুহার ও মাতৃমৃত্যুহার কমেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

গ্রামীণ উন্নয়ন: গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের কাজ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।


পরিবেশ:

বনায়ন: বনভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই: বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হয়েছে।


আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:

আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নত হয়েছে।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।


চ্যালেঞ্জ:

দুর্নীতি: দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় সমস্যা।

অসমতা: আয় ও সম্পদের বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পরিবেশগত সমস্যা: পরিবেশ দূষণ একটি বড় সমস্যা।

জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবস্থিত।


ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ: বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণ করতে চায়।

উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণ: বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণ করতে চায়।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন: বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায়।


অর্থনীতি:

দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: ১৯৯০ সালে ৪.৯% থেকে 2022 সালে ৭.১%।

দারিদ্র্য হ্রাস: ১৯৯১ সালে ৪৮.৯% থেকে ২০২২ সালে ২০.২%।

পোশাক শিল্পে সাফল্য: বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারী দেশ।

রেমিট্যান্স: ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২১.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।


দারিদ্র্য বিমোচনে সাফল্য

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।


সাফল্যের নিদর্শন:

দারিদ্র্যের হার কমে: ১৯৯১ সালে ৪৯.৮% থেকে ২০২২ সালে দারিদ্র্যের হার কমে ১৮.৭% এ নেমে এসেছে।

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে: দারিদ্র্য বিমোচনে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDG) অর্জনে বাংলাদেশ অন্যতম সফল দেশ।

অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয়।


কারণসমূহ:

সরকারের নীতিমালা: দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সরকার বেশ কিছু কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে।

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সহায়তা করেছে।

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি: দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

পোশাক শিল্পের অবদান: পোশাক শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

নারীর ক্ষমতায়ন: নারীর ক্ষমতায়ন দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।


চ্যালেঞ্জ:

অসমতা: আয় ও সম্পদের বৈষম্য এখনও একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

পরিবেশগত ঝুঁকি: জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দারিদ্র্য বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে।

দীর্ঘস্থায়ী কর্মসংস্থান: দীর্ঘস্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।


ভবিষ্যতের পরিকল্পনা:

দারিদ্র্যের হার আরও কমিয়ে আনা: সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৮% এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

সমতা বৃদ্ধি: আয় ও সম্পদের বৈষম্য হ্রাস করার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলা: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।


নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা

বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বে একটি রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের সকল ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণের নীতি প্রণয়ন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকেই নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।


শিক্ষা:

মেয়েদের শিক্ষায় অগ্রাধিকার: প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে মেয়েদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা।

মেয়েদের জন্য छात्रবৃত্তি ও উপবৃত্তি: উচ্চশিক্ষায় মেয়েদের উৎসাহিত করার জন্য।

মেয়েদের জন্য স্কুল ও কলেজ স্থাপন: সকল স্তরে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করার জন্য।


অর্থনীতি:

নারীদের কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করা: পোশাক শিল্পে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান: নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করার জন্য।

নারীদের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি: গ্রামীণ নারীদের দারিদ্র্য দূরীকরণে সহায়তা করার জন্য।


রাজনীতি:

সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন: নারীদের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধি করার জন্য।

স্থানীয় সরকারে নারীদের জন্য সংবাদ: স্থানীয় পর্যায়ে নারীদের নেতৃত্ব বৃদ্ধি করার জন্য।

নারীদের জন্য রাজনৈতিক প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি: নারীদের রাজনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য।


সামাজিক ক্ষেত্র:

নারীদের জন্য আইনি সুরক্ষা: নারী নির্যাতন দমন আইন, পারিবারিক আইন ইত্যাদি।

নারীদের স্বাস্থ্যসেবায় উন্নতি: মাতৃস্বাস্থ্যসেবা, শিশু স্বাস্থ্যসেবা ইত্যাদিতে অগ্রগতি।

নারীদের জন্য সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি: নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার জন্য।


বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, বৈষম্য, এবং কুসংস্কার দূরীকরণের জন্য আরও কাজ করার প্রয়োজন। বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা ও মেধা প্রমাণ করেছেন। তারা রাষ্ট্র পরিচালনা, পর্বত জয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অগ্রগতি, এবং খেলাধুলায় সাফল্য অর্জন।


নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে

নারী শিক্ষা:

স্বাক্ষরতার হার: ১৯৭১ সালে ১৭% থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৭৩%।

প্রাথমিক স্তরে: মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের সমান।

মাধ্যমিক স্তরে: মেয়েদের ভর্তির হার ছেলেদের চেয়ে বেশি।

উচ্চশিক্ষায়: মেয়েদের অংশগ্রহণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


নারী কর্মসংস্থান:

কর্মশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ: ১৯৭১ সালে ৮% থেকে বেড়ে ২০২২ সালে ৩৬%।

পোশাক শিল্পে: নারী শ্রমিকদের সংখ্যা ৮০%। অন্যান্য খাতে: কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্যে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


সমাধান:

নারীদের আইনি সুরক্ষা: নারী নির্যাতন দমন আইন, পারিবারিক আইন ইত্যাদি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: নারীদের অধিকার ও ক্ষমতায়ন সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করা।

নারীদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ: কর্মক্ষেত্রে নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও প্রশিক্ষণ প্রদান: নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করা।

বাংলাদেশ নারী শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, বৈষম্য, এবং কুসংস্কার দূরীকরণের জন্য আরও কাজ করার প্রয়োজন।


নারীর ক্ষমতায়ন সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতির জন্য অপরিহার্য। তাদের সমাজের সকল ক্ষেত্রে সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠন করা সম্ভব। নারীর ক্ষমতায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারে বিভিন্ন পক্ষ:

সরকার:

নারীদের জন্য শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা রোধে আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নারীদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান নারী নেতৃত্বের বিকাশে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা প্রদান


বেসরকারি প্রতিষ্ঠান:

নারীদের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি কর্মসূচি পরিচালনা নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ প্রদান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান


পরিবার:

মেয়েদের শিক্ষার উপর গুরুত্ব প্রদান মেয়েদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে সমতা প্রতিষ্ঠা নারীদের প্রতি সম্মান ও মর্যাদা প্রদর্শন


গণমাধ্যম:

নারীদের ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরে সমাজে তাদের প্রতি ধারণা পরিবর্তনের চেষ্টা করা নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা নারীদের সাফল্যের গল্প প্রচার করা


ব্যক্তি:

নারীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলা

নারীদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা

নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো

নারীর ক্ষমতায়ন কেবল নারীদের জন্যই নয়, পুরো সমাজের জন্যই কল্যাণকর। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা একটি নারী-পুরুষ সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন করতে পারি।


পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ

পরিবেশ রক্ষা আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদের পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে রাখতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী তৈরি করতে আমাদের সকলকে পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।


জল সংরক্ষণ:

ব্রাশ করার সময়, পাত্র মাজার সময়, এবং শেভ করার সময় পানি অপচয় না করা।

ঝরনা ব্যবহারের পরিবর্তে বালতি ব্যবহার করা।

কাপড় ধোয়ার সময় ওয়াশিং মেশিন পুরোপুরি ভরে ব্যবহার করা।

রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং ব্যবস্থা স্থাপন করা।


বিদ্যুৎ সংরক্ষণ:

যখন ঘর থেকে বের হন তখন লাইট, ফ্যান এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি বন্ধ করে রাখা।

CFL বা LED বাল্ব ব্যবহার করা।

সৌর বাল্প ব্যবহারের চেষ্টা করা।


Link copied