বাংলাদেশের নাগরিক আইনে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২৩ জানুয়ারী ২০২৪ ০৪:৪৬ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের সংবিধানে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারগুলো সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। বাংলাদেশের সংবিধানে ব্যক্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। 

এই অধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে:

জীবন ও স্বাধীনতা: আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।

ব্যক্তির নিরাপত্তা: কোন ব্যক্তিকে আইনানুযায়ী ব্যতীত গ্রেপ্তার, আটক বা কারারুদ্ধ করা যাইবে না।

ধর্মের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকিবে।

বাকস্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা, প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিনা বিচারে কারাবাসের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা, চিঠিপত্রের গোপনীয়তার অধিকার থাকিবে।

শিক্ষার স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষালাভের স্বাধীনতা থাকিবে।

পেশার স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা থাকিবে


ব্যক্তির অধিকার

বাংলাদেশের সংবিধানে ব্যক্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে: জীবন ও স্বাধীনতা:

আইনানুযায়ী ব্যতীত জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতা হইতে কোন ব্যক্তিকে বঞ্চিত করা যাইবে না।

ব্যক্তির নিরাপত্তা: কোন ব্যক্তিকে আইনানুযায়ী ব্যতীত গ্রেপ্তার, আটক বা কারারুদ্ধ করা যাইবে না।

ধর্মের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির ধর্ম পালনের স্বাধীনতা থাকিবে।

বাকস্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির বাকস্বাধীনতা, প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিনা বিচারে কারাবাসের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা, চিঠিপত্রের গোপনীয়তার অধিকার থাকিবে।

শিক্ষার স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষালাভের স্বাধীনতা থাকিবে। পেশার স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তির পেশা বা বৃত্তির স্বাধীনতা থাকিবে।


সম্পত্তির অধিকার

বাংলাদেশের সংবিধানে সম্পত্তির অধিকারকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এই অধিকারের মধ্যে রয়েছে:

সম্পত্তি অর্জনের অধিকার: প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তি অর্জনের অধিকার থাকিবে।

সম্পত্তি ভোগদখলের অধিকার: প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তি ভোগদখলের অধিকার থাকিবে।

সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের অধিকার: প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তি বিক্রয় বা হস্তান্তরের অধিকার থাকিবে।

সম্পত্তি রক্ষার অধিকার: প্রত্যেক ব্যক্তির সম্পত্তি রক্ষার অধিকার থাকিবে।

এই অধিকারগুলো সকল নাগরিকের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। অর্থাৎ, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী, লিঙ্গ, জাতি, অঞ্চল, বা অন্য কোন কারণে এই অধিকারগুলো থেকে কোন নাগরিক বঞ্চিত হবে না।


ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকারের চ্যালেঞ্জ

ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকারের উপর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:

দুর্নীতি: দুর্নীতির ফলে অনেক সময় ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

আইনের অপপ্রয়োগ: আইনের অপপ্রয়োগের ফলে অনেক সময় ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

জঙ্গিবাদ: জঙ্গিবাদের ফলে অনেক সময় ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘিত হয়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অনেক সময় ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার লঙ্ঘিত হয়।


ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষায় পদক্ষেপ

ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

দুর্নীতি দমন: দুর্নীতি দমনের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা যেতে পারে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা যেতে পারে।

জঙ্গিবাদ দমন: জঙ্গিবাদ দমনের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা যেতে পারে।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা: প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সম্পত্তির অধিকার সুরক্ষিত করা যেতে পারে।


ধর্মের স্বাধীনতা হল এমন একটি অধিকার যা একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ( ব্যক্তিগত বা জনজীবনে) তাদের ধর্ম, বিশ্বাস বা ধর্মীয় আচার প্রকাশ করার স্বাধীনতা সমর্থন করে ; তা শিক্ষা, অনুশীলন বা উদযাপনের মাধ্যমে হোক না কেন। ধর্মের স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে বিবেচিত হয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের অনেক নথিতে স্বীকৃত। বাংলাদেশের সংবিধানে ধর্মের স্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক নাগরিকের যে কোন ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে; প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় ও উপ-সম্প্রদায়ের নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, রক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার অধিকার রহিয়াছে।"


ধর্মের স্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে রয়েছে: ধর্ম পালনের স্বাধীনতা:

প্রত্যেক ব্যক্তি তার নিজের ধর্ম পালনের স্বাধীনতা রাখে।

ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তি তার ধর্ম প্রচারের স্বাধীনতা রাখে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ধর্মীয় সম্প্রদায় নিজস্ব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান স্থাপনের স্বাধীনতা রাখে।


বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ:

বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে:

ধর্মীয় সহিংসতা: ধর্মীয় সহিংসতা ধর্মের স্বাধীনতার জন্য একটি বড় হুমকি। ধর্মীয় সহিংসতার ফলে অনেক মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে নির্যাতিত হয়।

ধর্মীয় বৈষম্য: ধর্মীয় বৈষম্য ধর্মের স্বাধীনতার জন্য আরেকটি বড় হুমকি। ধর্মীয় বৈষম্যের ফলে অনেক মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে বৈষম্যের শিকার হয়।

ধর্মীয় গোঁড়ামি: ধর্মীয় গোঁড়ামি ধর্মের স্বাধীনতার জন্য একটি হুমকি। ধর্মীয় গোঁড়ামির ফলে অনেক মানুষ তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসের ভিত্তিতে স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না।


বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতা সুরক্ষায় পদক্ষেপ:

বাংলাদেশে ধর্মের স্বাধীনতা সুরক্ষায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

ধর্মীয় সহিংসতা প্রতিরোধ: ধর্মীয় সহিংসতা প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদেরও ভূমিকা পালন করা উচিত।

ধর্মীয় বৈষম্য দূরীকরণ: ধর্মীয় বৈষম্য দূরীকরণে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।

ধর্মীয় গোঁড়ামি দূরীকরণ: ধর্মীয় গোঁড়ামি দূরীকরণে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি সামাজিক শিক্ষার প্রয়োজন।


বাকস্বাধীনতা

বাকস্বাধীনতা হল এমন একটি অধিকার যা একজন ব্যক্তির তার মতামত, বিশ্বাস বা তথ্য প্রকাশ করার স্বাধীনতাকে সমর্থন করে। বাকস্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার হিসাবে বিবেচিত হয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের অনেক নথিতে স্বীকৃত। বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক নাগরিকের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতা রহিয়াছে।"


বাকস্বাধীনতার অধিকারের মধ্যে রয়েছে:

মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তি তার মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রাখে।

বিশ্বাস প্রকাশের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তি তার বিশ্বাস প্রকাশের স্বাধীনতা রাখে।

তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা: প্রত্যেক ব্যক্তি তথ্য প্রকাশের স্বাধীনতা রাখে।


বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব:

ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বাকস্বাধীনতা ব্যক্তির ব্যক্তিগত স্বাধীনতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাকস্বাধীনতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার চিন্তা ও বিশ্বাস প্রকাশ করতে পারে।

সামাজিক সম্প্রীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বাকস্বাধীনতা সামাজিক সম্প্রীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাকস্বাধীনতার মাধ্যমে বিভিন্ন মত ও বিশ্বাসের মানুষ তাদের মত প্রকাশ করতে পারে এবং একে অপরের সাথে মতবিনিময় করতে পারে।

গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গণতন্ত্রে নাগরিকদের তাদের মতামত প্রকাশের মাধ্যমে সরকার গঠনে অংশগ্রহণ করার অধিকার থাকে, এবং বাকস্বাধীনতার মাধ্যমে নাগরিকরা এই অধিকার ভোগ করতে পারে।


বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ:

বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে: আইনগত সীমাবদ্ধতা: বাংলাদেশের আইনে কিছু ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। যেমন, মানহানি, রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ধর্ম অবমাননা ইত্যাদির ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা সীমাবদ্ধ।

সামাজিক চাপ: সামাজিক চাপও বাকস্বাধীনতার জন্য একটি হুমকি। যেমন, ধর্মীয় গোঁড়ামি বা সামাজিক রীতিনীতির কারণে অনেক মানুষ তাদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায়।

সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অভাব: সাংবাদিকতার স্বাধীনতার অভাবও বাকস্বাধীনতার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। যেমন, সরকার বা ক্ষমতাসীন মহলের চাপে অনেক সাংবাদিক তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে না।


বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা সুরক্ষায় পদক্ষেপ:

বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা সুরক্ষায় নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:

আইনগত সীমাবদ্ধতা পুনর্বিবেচনা: বাংলাদেশের আইনে বাকস্বাধীনতার ক্ষেত্রে যেসব সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেগুলো পুনর্বিবেচনা করা যেতে পারে।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি: সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাকস্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে অবগত করা যেতে পারে।

সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা: সাংবাদিকতার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাকস্বাধীনতা সুরক্ষিত করা যেতে পারে।

বাকস্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার যা প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। এই অধিকার সুরক্ষিত না হলে গণতন্ত্র ও সামাজিক সম্প্রীতি হুমকির মুখে পড়তে পারে।



সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হল একটি মৌলিক মানবাধিকার যা জনগণের তথ্য অ্যাক্সেসের অধিকারকে সুরক্ষিত করে। এটি গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য, কারণ এটি জনগণকে তাদের সরকারের উপর তদারকি করতে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে বোঝায় যে সাংবাদিকরা সরকার, ব্যবসায় এবং অন্যান্য শক্তিশালী গোষ্ঠী থেকে হস্তক্ষেপ ছাড়াই তথ্য সংগ্রহ, প্রকাশ এবং বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। এটি সাংবাদিকদের যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষভাবে প্রতিবেদন করার অধিকারও ধারণ করে, এমনকি যদি এটি সরকারের পক্ষে অপ্রীতিকর হয়। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কেবলমাত্র আইনি সুরক্ষার দ্বারাই রক্ষা করা যায় না। এটি সাংবাদিকদের পেশাদার নৈতিকতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার উপরও নির্ভর করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হলে, এটি গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এটি জনগণের তথ্য অ্যাক্সেসকে সীমিত করে এবং সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হ্রাস করে।


সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকির কিছু উদাহরণ হল:

সরকারী হস্তক্ষেপ: সরকার সাংবাদিকদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে, তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে বা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারে।

অর্থনৈতিক চাপ: ব্যবসায়িক স্বার্থ সাংবাদিকদের স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি সংবাদপত্র যা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসার সমালোচনা করে তার সেই ব্যবসার বিজ্ঞাপন হারাতে পারে।

সামাজিক চাপ: সামাজিক নিয়ম বা রীতিনীতি সাংবাদিকদের স্বাধীনতাকে সীমিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সমাজে, সাংবাদিকদের ধর্মীয় বা সাংস্কৃতিক বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবেদন করা নিষিদ্ধ।


সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, আমরা নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারি:

সাংবাদিকদের পেশাদার নৈতিকতা এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সাংবাদিকদের জন্য আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সুরক্ষিত করতে হবে।


সংবাদপত্রের স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার যা গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এটি রক্ষা করার জন্য, আমরা সকলেই আমাদের ভূমিকা পালন করতে পারি।


শিক্ষার স্বাধীনতা

শিক্ষার স্বাধীনতা হল একটি মৌলিক মানবাধিকার যা সকল ব্যক্তির তাদের নিজস্ব বিশ্বাস এবং মূল্যবোধ অনুসারে শিক্ষার অধিকারকে সুরক্ষিত করে। এটি ব্যক্তির বিকাশ, মতামত প্রকাশের অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। শিক্ষার স্বাধীনতা বলতে বোঝায় যে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেছে নেওয়ার, তাদের পছন্দের বিষয়গুলি অধ্যয়ন করার এবং তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করার অধিকার রাখে। এটি শিক্ষকদের তাদের পছন্দের শিক্ষাদান পদ্ধতি এবং পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করার অধিকারও ধারণ করে। শিক্ষার স্বাধীনতা কেবলমাত্র আইনি সুরক্ষার দ্বারাই রক্ষা করা যায় না। এটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বায়ত্তশাসন এবং শিক্ষকদের পেশাগত নৈতিকতা এবং শিক্ষার স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের সচেতনতার উপরও নির্ভর করে। শিক্ষার স্বাধীনতা হুমকির সম্মুখীন হলে, এটি ব্যক্তির বিকাশ, মতামত প্রকাশের অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য একটি গুরুতর হুমকি। এটি শিক্ষার্থীদের তাদের সম্ভাব্যতা অর্জন করতে বাধা দেয় এবং সরকারের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা হ্রাস করে।


শিক্ষার স্বাধীনতার জন্য হুমকির কিছু উদাহরণ হল:

সরকারী হস্তক্ষেপ: সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, শিক্ষকদের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে বা নির্দিষ্ট বিষয়গুলি শেখানোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে।

সামাজিক চাপ: সামাজিক নিয়ম বা রীতিনীতি শিক্ষার স্বাধীনতাকে সীমিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু সমাজে, নারীদের পড়াশোনা করা নিষিদ্ধ।

অর্থনৈতিক চাপ: ব্যবসায়িক স্বার্থ শিক্ষার স্বাধীনতাকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যা একটি নির্দিষ্ট ব্যবসার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত তা সেই ব্যবসার স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পাঠ্যপুস্তক এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারে।


শিক্ষার স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য, আমরা নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নিতে পারি:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে হবে।

শিক্ষকদের পেশাগত নৈতিকতা এবং শিক্ষার স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বাড়াতে হবে।

সরকারী হস্তক্ষেপ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে সুরক্ষিত করতে হবে।

শিক্ষার স্বাধীনতা একটি মৌলিক মানবাধিকার যা ব্যক্তির বিকাশ, মতামত প্রকাশের অধিকার এবং গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। এটি রক্ষা করার জন্য, আমরা সকলেই আমাদের ভূমিকা পালন করতে পারি।


Link copied