চলচ্চিত্রের ষাট বছরে বাংলার সেরা দশ নায়ক...

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৮ জানুয়ারী ২০২৪ ০৬:১৮ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের সিনেমার ইতিহাসে অনেক তুখোড় অভিনেতা এসেছেন যারা তাদের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে বাংলাদেশের সেরা দশ জন সিনেমার নায়ক হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।


১. রাজ্জাক


বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা রাজ্জাক। তিনি ১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "ওরা ১১ জন" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি" হিসেবে পরিচিত।

আব্দুর রাজ্জাক, যিনি নায়করাজ রাজ্জাক নামে সুপরিচিত, ছিলেন একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা। তিনি ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি, তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল হামিদ একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং মা জোবেদা খাতুন একজন গৃহিণী ছিলেন। রাজ্জাক ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তার আগ্রহের কারণে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন। ১৯৭২ সালে, তিনি "ওরা ১১ জন" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে তৎক্ষণাৎ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে "দোস্ত দুশমন", "বড় ভালো লোক ছিল", "অগ্নি", "আয়না", "চোখের জল", "আবার তোরা মানুষ হ" ইত্যাদি। রাজ্জাক তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি" হিসেবে পরিচিত। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। রাজ্জাক ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট, ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।


রাজ্জাকের অভিনয় দক্ষতা

রাজ্জাক ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, সামাজিক, ইত্যাদি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তার অভিনয়ের মধ্যে ছিল এক অসাধারণ মাধুর্য। তিনি যেকোনো চরিত্রে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারতেন। তার অভিনয় দর্শকদের আবেগকে নাড়া দিয়ে যেত।


রাজ্জাকের ব্যক্তিত্ব

রাজ্জাক ছিলেন একজন দয়ালু, সহজ-সরল এবং ভদ্রলোক। তিনি তার সহকর্মীদের সাথে খুবই ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের শিল্পী।


রাজ্জাকের জনপ্রিয়তা

রাজ্জাক ছিলেন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা। তার জনপ্রিয়তা ছিল বিপুল। তিনি যেকোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেই সেই চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়ে যেত। তার জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং দর্শকদের সাথে তার যোগাযোগ। তিনি দর্শকদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশতে পারতেন।


রাজ্জাকের অবদান 

রাজ্জাক বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। তিনি একজন সত্যিকারের চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন। তার অবদান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।


২. আলমগীর

আলমগীর বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "অগ্নি" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তম অভিনেতা" হিসেবে পরিচিত। 

আলমগীর ১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আবদুল আলীম একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং মা সাবেরা বেগম একজন গৃহিণী ছিলেন। আলমগীরের শিক্ষাজীবনঃ আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। আলমগীরের অভিনয় জীবন আলমগীর ১৯৭৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "অগ্নি" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে তৎক্ষণাৎ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে "মা ও ছেলে", "অপেক্ষা", "ক্ষতিপূরণ", "মরণের পরে", "পিতা মাতা সন্তান", "অন্ধ বিশ্বাস", "দেশপ্রেমিক", "সতী বেহানী", "আগুন", "চোখের জল", "আবার তোরা মানুষ হ" ইত্যাদি।

আলমগীর তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন।


আলমগীরের অভিনয় দক্ষতা

আলমগীর ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, সামাজিক, ইত্যাদি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তার অভিনয়ের মধ্যে ছিল এক অসাধারণ মাধুর্য। তিনি যেকোনো চরিত্রে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারতেন। তার অভিনয় দর্শকদের আবেগকে নাড়া দিয়ে যেত।


আলমগীরের ব্যক্তিত্ব

আলমগীর বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। তিনি একজন সত্যিকারের চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন। তার অবদান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।


আলমগীরের উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৯

বার বাচসাস পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৬

বার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৩ 

বার আনন্দলোক পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ২

বার মীরপুর একাডেমি পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ১ বার


আলমগীরের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

মা ও ছেলে (১৯৮৫)

অপেক্ষা (১৯৮৭)

ক্ষতিপূরণ (১৯৮৯)

মরণের পরে (১৯৯০)

পিতা মাতা সন্তান (১৯৯১)

অন্ধ বিশ্বাস (১৯৯২)

দেশপ্রেমিক (১৯৯৪)

সতী বেহানী (১৯৯৫)

আগুন (১৯৯৬)


৩. ফেরদৌস 

ফেরদৌস বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "মহানগর" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা" হিসেবে পরিচিত।


ফেরদৌস ১৯৭৩ সালের ১০ অক্টোবর, ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল ওয়াদুদ একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং মা সাজেদা বেগম একজন গৃহিণী ছিলেন। ফেরদৌসের শিক্ষাজীবনঃ ফেরদৌস রাজধানী ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জন করেন। ফেরদৌসের অভিনয় জীবন ফেরদৌস ১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "মহানগর" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে তৎক্ষণাৎ জনপ্রিয়তা এনে দেয়। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ "মহানগর", "জনতা এক্সপ্রেস", "স্বপ্নের শহর", "এক জোড়া পাখি", "আমার বন্ধু রাশেদ", "আনন্দ অশ্রু", "স্বপ্নজাল", "প্রেমের সমাপ্তি কোথায়", "আঁধারের রাত", "দুই পৃথিবী", "নদীর নাম মধুমতি", "এক আকাশের নিচে", "আয়না" ইত্যাদি। ফেরদৌস তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন। 


ফেরদৌসের অভিনয় দক্ষতা

ফেরদৌস একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, সামাজিক, ইত্যাদি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তার অভিনয়ের মধ্যে ছিল এক অসাধারণ মাধুর্য। তিনি যেকোনো চরিত্রে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারতেন। তার অভিনয় দর্শকদের আবেগকে নাড়া দিয়ে যেত।


ফেরদৌসের ব্যক্তিত্ব

ফেরদৌস একজন দয়ালু, সহজ-সরল এবং ভদ্রলোক। তিনি তার সহকর্মীদের সাথে খুবই ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের শিল্পী।


ফেরদৌসের জনপ্রিয়তা

ফেরদৌস ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। তার জনপ্রিয়তা ছিল বিপুল। তিনি যেকোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেই সেই চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়ে যেত। তার জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং দর্শকদের সাথে তার যোগাযোগ। তিনি দর্শকদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশতে পারতেন।


ফেরদৌসের উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৪ বার

বাচসাস পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৬ বার

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৪ বার

আনন্দলোক পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ২ বার

মীরপুর একাডেমি পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ১ বার


ফেরদৌসের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র

মহানগর (১৯৯৩)

জনতা এক্সপ্রেস (১৯৯৪)

স্বপ্নের শহর (১৯৯৫)

এক জোড়া পাখি (১৯৯৬)

আমার বন্ধু রাশেদ (১৯৯৭) 


৪. ইলিয়াস কাঞ্চন

ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৭৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "বড় ভালো লোক ছিল" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন হিরো" হিসেবে পরিচিত।

ইদ্রিস আলী, যিনি ইলিয়াস কাঞ্চন নামে সুপরিচিত, ১৯৫৬ সালের ২৪ ডিসেম্বর, কিশোরগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হাজি আব্দুল আলি একজন সরকারি কর্মচারী ছিলেন এবং মা শোরুফা খাতুন একজন গৃহিণী ছিলেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের শিক্ষাজীবনঃ ইলিয়াস কাঞ্চন কিশোরগঞ্জের সদর উপজেলার কেন্দুয়া থানার বাহাদুরপুর গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জন করেন। ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিনয় জীবন ইলিয়াস কাঞ্চন ১৯৭৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "বসুন্ধরা" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে তৎক্ষণাৎ জনপ্রিয়তা এনে দেয়।

 এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে "বেদের মেয়ে জোছনা", "শঙ্খ মালা", "অচেনা", "রাধা কৃষ্ণ", "ত্যাগ", "সিপাহী", "বেনাম বাদশা", "আদরের সন্তান", "ভেজাচোখ", "রক্তের অধিকার", "চরম আঘাত", "স্বজন", "ভাংচুর", "এক আকাশের নিচে", "আয়না", "মায়ের হাতে বেহেশতের চাবি", "ভালোবাসার মূল্য", "অন্তরঙ্গ", "মনের মিলন", "প্রেম পিয়াসী", "আমার সাথী চাঁদ", "মনের মানুষ", "অগ্নি", "চোখের জল", "আবার তোরা মানুষ হ" ইত্যাদি। ইলিয়াস কাঞ্চন তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কার এবং আরও অনেক পুরস্কার অর্জন করেছেন।


ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিনয় দক্ষতা

ইলিয়াস কাঞ্চন ছিলেন একজন অত্যন্ত প্রতিভাবান অভিনেতা। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারতেন। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, সামাজিক, ইত্যাদি সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তার অভিনয়ের মধ্যে ছিল এক অসাধারণ মাধুর্য। তিনি যেকোনো চরিত্রে যেন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারতেন। তার অভিনয় দর্শকদের আবেগকে নাড়া দিয়ে যেত।


ইলিয়াস কাঞ্চনের ব্যক্তিত্ব

ইলিয়াস কাঞ্চন ছিলেন একজন দয়ালু, সহজ-সরল এবং ভদ্রলোক। তিনি তার সহকর্মীদের সাথে খুবই ভালো ব্যবহার করতেন। তিনি ছিলেন একজন সত্যিকারের শিল্পী।


ইলিয়াস কাঞ্চনের জনপ্রিয়তা

ইলিয়াস কাঞ্চন ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা। তার জনপ্রিয়তা ছিল বিপুল। তিনি যেকোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেই সেই চলচ্চিত্র সুপারহিট হয়ে যেত। তার জনপ্রিয়তার কারণ ছিল তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং দর্শকদের সাথে তার যোগাযোগ। তিনি দর্শকদের সাথে খুব ভালোভাবে মিশতে পারতেন।


ইলিয়াস কাঞ্চনের অবদান

ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন। তিনি একজন সত্যিকারের চলচ্চিত্র শিল্পী ছিলেন। তার অবদান বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে চিরকাল অমর হয়ে থাকবে।


ইলিয়াস কাঞ্চনের উল্লেখযোগ্য পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৫ বার

বাচসাস পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেতা) - ৬ বার

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভি



৫. সোহেল রানা

সোহেল রানা বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "অধিকার" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের রোমান্টিক হিরো" হিসেবে পরিচিত।


৬। মান্না

মান্না বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "মনের মাঝে তুমি" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের অ্যাকশন হিরো" হিসেবে পরিচিত।


৭। রুবেল

রুবেল বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "প্রেমের প্রতিজ্ঞা" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের রোমান্টিক হিরো" হিসেবে পরিচিত।


৮। শাকিব খান

শাকিব খান বাংলাদেশের আরেক জন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত "অন্তরে অন্তরে" চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং জনপ্রিয়তার জন্য "বাংলা চলচ্চিত্রের বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা" হিসেবে পরিচিত


Link copied