বাংলাদেশের সেরা ১০ জন নায়িকা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১২ জানুয়ারী ২০২৪ ০৩:৩৯ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে অনেক জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা রয়েছেন। তাদের মধ্যে থেকে ১০ জন নায়িকার নাম উল্লেখ করা যায়:


১. শাবানা

শাবানা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অন্যতম আইকনিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৭০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ৪০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।


জন্ম ও শিক্ষা

শাবানা ১৯৫৩ সালের ১৫ জুন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম রত্না। তিনি চট্টগ্রামের স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।


অভিনয় জীবন

শাবানা ১৯৬২ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৬৭ সালে চকোরী চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক নাদিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে পরিচালক এহতেশামই তার 'রত্না' নাম বদলে শাবানা রাখেন। শাবানা ১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য তিনি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।


শাবানা অভিনয় করেছেন বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, ঐতিহাসিক, সামাজিক, ও ধর্মীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

চকোরী (১৯৬৭)

ওরা ১১ জন (১৯৭২)

অলৌকিক (১৯৭২)

চাঁদনী (১৯৭৩)

নীল আকাশের নিচে (১৯৭৪)

স্বীকৃতি (১৯৭৫)

জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭৬)

বউ আমার বউ (১৯৭৮)

দোস্ত দুশমন (১৯৮১)

অগ্নিযুগ (১৯৮৪)

সোনার সংসার (১৯৮৬)

বাহানা (১৯৮৭)

মহানগর (১৯৯৩)

আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)

মায়ের হাতে বেড়ে ওঠা (১৯৯৫)

শ্যামল ছায়া (১৯৯৭)

লুটতরাজ (১৯৯৯)


পুরস্কার

শাবানা তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৭ বার) 

বাচসাস পুরস্কার (১২ বার)

নাট্যদল পুরস্কার (৪ বার)

 ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (২ বার)

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২ বার)

ক্রিটিক্স অ্যাওয়ার্ড (১ বার)


শাবানার অবদান

শাবানা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একজন অবিস্মরণীয় নাম।


সুচরিতা

সুচরিতা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ১৯৮০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ৩০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।


জন্ম ও শিক্ষা

সুচরিতা ১৯৫৮ সালের ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম বেবী হেলেন। তিনি ঢাকার রিপন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।


অভিনয় জীবন

সুচরিতা ১৯৬৯ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে বাবুল ছবিতে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৭২ সালে স্বীকৃতি ছবিতে চিত্রনায়ক ফারুক ও জসিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। সুচরিতা ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন প্রধান নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য তিনি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।


সুচরিতা অভিনয় করেছেন বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, ঐতিহাসিক, সামাজিক, ও ধর্মীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

স্বীকৃতি (১৯৭২)

অন্তরে অন্তরে (১৯৭৩)

যাদুর বাঁশী (১৯৭৭)

হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৭৭)

সারল্য (১৯৭৮)

সুন্দরী (১৯৭৯)

প্রেম প্যারোডি (১৯৮০)

তুই যে আমার (১৯৮১)

দোস্ত দুশমন (১৯৮১)

অগ্নিযুগ (১৯৮৪)

সোনার সংসার (১৯৮৬)

বাহানা (১৯৮৭)

মহানগর (১৯৯৩)

আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)

মায়ের হাতে বেড়ে ওঠা (১৯৯৫)

শ্যামল ছায়া (১৯৯৭)


পুরস্কার

সুচরিতা তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)

বাচসাস পুরস্কার (৪ বার)

নাট্যদল পুরস্কার (২ বার)

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (২ বার)

মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার (২ বার)


অন্যান্য কর্ম

সুচরিতা অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি সুচরিতা ফিল্মস নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন সমাজসেবীও। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন।


সুচরিতার অবদান

সুচরিতা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একজন অবিস্মরণীয় নাম।


সুচরিতার অভিনয়ের বিশেষত

 সুচরিতার অভিনয়ের বিশেষত্ব হল তার অভিব্যক্তি। তিনি যেকোনো চরিত্রে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে ঢেলে দেন। তিনি যেকোনো ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করতে পারেন। তিনি একজন প্রকৃত অভিনেত্রী


৩. কবরী

কবরী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ১৯৬০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ৩০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

এই বছর আবির্ভাব (১৯৬৮) চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে রাজ্জাকের সাথে তার জুটি গড়ে ওঠে। সেই সময়ে উর্দু ভাষার চলচ্চিত্রে শবনম-রহমান ও শাবানা-নাদিম জুটির মতন জনপ্রিয় জুটির সাথে পাল্লা দিয়ে তারা বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এই জুটির জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি বলেন, "আমরা এমন আবেগ ঢেলে অভিনয় করতাম, ছবির প্রণয়দৃশ্যগুলো হয়তো খুবই স্বাভাবিক এবং জীবন্ত হয়ে উঠত।" এই বছর তার অভিনীত অন্যান্য চলচ্চিত্রগুলো হলো বাঁশরী, অরুণ বরুণ কিরণমালা, শীত বসন্ত ও চোরাবালি। ১৯৬৯ সালে তাঁর মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র পারুলের সংসার।


কবরীর অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

আবির্ভাব (১৯৬৮)

সাত ভাই চম্পা (১৯৬৮)

পারুলের সংসার (১৯৬৯)

ফাগুনের হাওয়া (১৯৬৯)

ময়নামতি (১৯৬৯)

মধুমালা (১৯৭০)

স্বামী (১৯৭০)

অন্তরঙ্গ (১৯৭১)

জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭১)


কবরীর অভিনয় দক্ষতা

কবরী ছিলেন একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন। তিনি সাবলীলভাবে রোমান্টিক, নাটকীয়, এবং হাস্যরসাত্মক চরিত্রে অভিনয় করতে পারতেন। তার অভিনয় ছিল প্রাণবন্ত এবং আবেগপ্রবণ।


কবরী তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭১ ও ১৯৮৫)

ছয়টি বাচসাস পুরস্কার

মেরিল-প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা পুরস্কার


কবরীর মৃত্যু

কবরী ২০২১ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া নেমে আসে।


৪. রুনা লায়লা

রুনা লায়লা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ১৯৭০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।


জন্ম ও শিক্ষা

রুনা লায়লা ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার আসল নাম ছিল রুনা আমেনা। তিনি সিলেট সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সিলেট সরকারি মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।


অভিনয় জীবন

রুনা লায়লা ১৯৬৮ সালে শিশুশিল্পী হিসেবে নতুন সুর চলচ্চিত্রে তার চলচ্চিত্রে আবির্ভাব ঘটে। পরে ১৯৭১ সালে নীল আকাশের নিচে চলচ্চিত্রে চিত্রনায়ক জসিমের বিপরীতে প্রধান নারী চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করে। রুনা লায়লা ১৯৭০-এর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন প্রধান নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন। তিনি একের পর এক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য তিনি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।


রুনা লায়লা অভিনয় করেছেন বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রে। তিনি রোমান্টিক, অ্যাকশন, কমেডি, ঐতিহাসিক, সামাজিক, ও ধর্মীয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

নীল আকাশের নিচে (১৯৭১)

স্বীকৃতি (১৯৭২)

অন্তরঙ্গ (১৯৭১)

সত্যের মৃত্যু নেই (১৯৭২)

অলৌকিক (১৯৭২)

চাঁদনী (১৯৭৩)

জীবন থেকে নেওয়া (১৯৭৬)

বউ আমার বউ (১৯৭৮)

দোস্ত দুশমন (১৯৮১)

অগ্নিযুগ (১৯৮৪)

সোনার সংসার (১৯৮৬)

বাহানা (১৯৮৭)

মহানগর (১৯৯৩)

আগুনের পরশমণি (১৯৯৪)

মায়ের হাতে বেড়ে ওঠা (১৯৯৫)

শ্যামল ছায়া (১৯৯৭)


রুনা লায়লা তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:

চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৭১, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৮৬) 

বারটি বাচসাস পুরস্কার

তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

দুইটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার


অন্যান্য কর্ম

রুনা লায়লা অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি রুনা লায়লা ফিল্মস নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি একজন সমাজসেবীও। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন।


রুনা লায়লার অবদান

রুনা লায়লা বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে একজন অসামান্য ব্যক্তিত্ব। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে বিশ্বের কাছে পরিচিতি লাভ করতে সাহায্য করেছেন। তিনি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একজন অবিস্মরণীয় নাম।


৫. মৌসুমী

মৌসুমী বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ১৯৯০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।


৬। নূতন

নূতন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ১৯৮০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ২৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

জন্ম: ১৯৬৩ সালের ১২ই আগস্ট, মেহেরপুর জেলা, বাংলাদেশ

পেশা: চলচ্চিত্র অভিনেত্রী

উপলব্ধ পুরস্কার: জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী) - স্ত্রীর পাওনা (১৯৯১)

বাচসাস পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী) - নতুন প্রভাত (১৯৬৯), পাগলা রাজা (১৯৭৪), মায়ার সংসার (১৯৯২), ওরা ১১ জন (১৯৯৯)

আনন্দলোক পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী) - পাগলা রাজা (১৯৭৪), মায়ার সংসার (১৯৯২), ওরা ১১ জন (১৯৯৯)


নূতন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন কিংবদন্তি অভিনেত্রী। তিনি ১৯৮০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। নূতন ১৯৬৩ সালের ১২ই আগস্ট মেহেরপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। নূতন শৈশব থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি ঢাকায় এসে নাট্যমঞ্চে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৬৯ সালে মুস্তফা মেহমুদ পরিচালিত "নতুন প্রভাত" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নূতন চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ে এবং তিনি তৎক্ষণাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। নূতন ১৯৮০-এর দশকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে অভিনয় করেন। এই সময়ে তিনি অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে "পাগলা রাজা", "মায়ার সংসার", "ওরা ১১ জন", "কসাই", "জনি মাস্তান", "আমার জন্ম তোমার জন্য", "সুন্দরী", "মাতাল", "আমি শুধু ভালোবাসি", "রাঙ্গা মাস্তান", "সত্যের মৃত্যু নেই" ইত্যাদি। নূতন তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে "স্ত্রীর পাওনা" চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী) লাভ করেন। তিনি বাচসাস পুরস্কার এবং আনন্দলোক পুরস্কারও পেয়েছেন। নূতন একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন।


নূতনের অভিনয়ের কিছু উল্লেখযোগ্য দিক:

নূতন তার অভিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে সক্ষম। তিনি একজন সুন্দরী অভিনেত্রী হলেও তিনি বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন অসহায় মেয়ে, একনিষ্ঠ স্ত্রী, অভিমানী প্রেমিকা, কঠিন মা, হিংস্র রানী ইত্যাদি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। নূতন তার অভিনয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আবেগ প্রকাশ করতে সক্ষম। তিনি ভালোবাসা, দুঃখ, রাগ, ঈর্ষা, ঘৃণা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের আবেগকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেছেন। নূতন তার অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের গল্পকে প্রাণবন্ত করে তুলতে সক্ষম। তিনি তার অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রের দর্শকদের আবেগকে নাড়া দেন।


৭। অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ২০০০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত। তিনি প্রায় ১০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং তার অভিনয়ের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।


৮। পূর্ণিমা

পূর্ণিমা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের আরেকজন জনপ্রিয় এবং প্রতিভাবান নায়িকা। তিনি ২০০০-এর দশকে তার অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে আবির্ভূত হন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তিনি তার অভিনয় দক্ষতা এবং সুন্দর চেহারার জন্য পরিচিত।

Link copied