বাংলাদেশের সেরা দশ বাংলা সিনেমা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১১:৫৯ মিনিট


পোস্ট ফটো

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অসংখ্য স্মরণীয় ও জনপ্রিয় সিনেমা রয়েছে। সেখান থেকে সেরা দশটি সিনেমা বাছাই করা অত্যন্ত কঠিন। তবে, বিভিন্ন সমালোচকদের মতামত এবং জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে একটি সম্ভাব্য তালিকা তৈরি করা যেতে পারে।


বাংলাদেশের সেরা দশ বাংলা সিনেমা


১. জীবন থেকে নেয়া (১৯৭২)

জহির রায়হানের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর নির্মিত একটি অমর সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয়, সংগীত এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত। জীবন থেকে নেয়া সিনেমার গল্পটি একটি সাধারণ বাঙালি পরিবারকে কেন্দ্র করে। এই পরিবারে দুই ভাই আনিস ও ফারুক, বড়বোন রওশন জামিল এবং বোনের স্বামী খান আতাউর রহমান। বড়বোন রওশন জামিল বিবাহিত। তিনি থাকেন বাবার বাসাতেই। তার স্বামী অত্যন্ত নিরীহ প্রকৃতির। সংসারের সব ক্ষমতা রওশন জামিলেরই হস্তগত। এই ক্ষমতার অপব্যবহার করেই তিনি তার স্বামীসহ নিজের দুই ভাইদের উপর একরকম স্বৈরশাসন চালিয়ে থাকেন। আঁচলে চাবির গোছা নিয়ে ঘোরেন তিনি। পেছনে পেছনে পানের বাটা নিয়ে ঘোরে বাড়ির গৃহ পরিচারিকা। তার দোর্দণ্ড প্রতাপে অস্থির সবাই। তৎকালীন পাকিস্তানি স্বৈরশাসকদেরই মূলত রূপক আকারে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এ চরিত্রটিতে।


একদিন আনিস ও ফারুক দুজনেই ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তারা পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। রওশন জামিল তাদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেন না। তিনি তাদেরকে নিষেধ করেন। কিন্তু আনিস ও ফারুক তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন। তারা ছাত্র আন্দোলনে আরো সক্রিয় হয়ে ওঠেন। একদিন পাকিস্তানি সেনারা ছাত্র আন্দোলনের উপর নির্মম হামলা চালায়। এতে আনিস ও ফারুক দুজনেই আহত হন। আনিসের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রওশন জামিল আনিসের জন্য চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি তার ভাইকে বাঁচাতে হাসপাতালে ছুটে আসেন। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার আগেই আনিস মারা যান। আনিসের মৃত্যুতে রওশন জামিল ভেঙে পড়েন। আনিসের মৃত্যুর পর ফারুক আরো সক্রিয় হয়ে ওঠেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।

তিনি পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। এতে তিনিও আহত হন। কিন্তু তিনি আহত অবস্থাতেও লড়াই চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনারা পরাজিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে। ফারুক যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে দেখেন তার বোন রওশন জামিল বদলে গেছেন। তিনি এখন আর আগের রওশন জামিল নন। তিনি স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। তিনি এখন একজন স্বাধীনচেতা নারী। জীবন থেকে নেয়া সিনেমাটি তার গল্পের জন্য প্রশংসিত। সিনেমাটির গল্পটি অত্যন্ত বাস্তবধর্মী। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হলেও এটি আজও প্রাসঙ্গিক। সিনেমাটির গল্পটি আমাদেরকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে ভাবায়। সিনেমাটির চিত্রনাট্যও অত্যন্ত সুন্দর। চিত্রনাট্যটি গল্পকে অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমাটির অভিনয়ও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। রাজ্জাক, সুচন্দা, খান আতাউর রহমান, রওশন জামিলসহ অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা তাদের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির সংগীতও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর।

বিশেষ করে, আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি" গানটি আজও আমাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলীও অত্যন্ত সুন্দর। সিনেমাটিতে বিভিন্ন দৃশ্য অত্যন্ত সুনিপুণভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলী আজও আমাদের মুগ্ধ করে। জীবন থেকে নেয়া সিনেমাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপর নির্মিত একটি অমর সৃষ্টি। সিনেমাটি আজও আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার গুরুত্ব সম্পর্কে ভাব


২. পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৭৭)

গৌতম ঘোষের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত। পদ্মা নদীর মাঝি সিনেমার গল্পটি একটি সাধারণ বাঙালি পরিবারকে কেন্দ্র করে। এই পরিবারে মালেক নামে একজন মাঝি থাকেন। তার স্ত্রী রাঙা, ছেলে বুলু এবং মেয়ে বুড়ি। মালেক পদ্মা নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।


মালেক একজন অত্যন্ত নিষ্ঠাবান এবং পরিশ্রমী মানুষ। তিনি তার পরিবারের জন্য সবকিছু করেন। তিনি তার পরিবারকে ভালোবাসতেন। কিন্তু তার স্ত্রী রাঙা ছিল একজন হিংসুটে এবং কৃপণ মহিলা। সে মালেককে সবসময় সন্দেহ করত। সে মালেককে তার মেয়ে বুড়ির সাথে ঘনিষ্ঠ হতে দেয়নি। একদিন মালেক নৌকা চালিয়ে বনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে তার নৌকাটি একটি ঝড়ের কবলে পড়ে। মালেক তার পরিবারকে বাঁচাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। তার স্ত্রী রাঙা এবং মেয়ে বুড়ি ঝড়ে মারা যায়। মালেক তার ছেলে বুলুকে নিয়ে একা হয়ে যায়। সে তার ছেলের জন্য নতুনভাবে জীবন শুরু করে। সে তার ছেলেকে ভালোবাসতে থাকে এবং তার জন্য সবকিছু করে। পদ্মা নদীর মাঝি সিনেমাটি তার গল্পের জন্য প্রশংসিত। সিনেমাটির গল্পটি অত্যন্ত বাস্তবধর্মী।

এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমাটির গল্পটি আমাদেরকে ভালোবাসা, ত্যাগ এবং সংগ্রামের শিক্ষা দেয়। সিনেমাটির চিত্রনাট্যও অত্যন্ত সুন্দর। চিত্রনাট্যটি গল্পকে অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমাটির অভিনয়ও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আসাদুজ্জামান নূর, সুমিতা দেবী, বুলবুল আহমেদসহ অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা তাদের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির সংগীতও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে, আব্দুল গাফফার চৌধুরীর লেখা "পদ্মা নদীর মাঝি, কতই না কষ্টে পাড়ি দিলাম" গানটি আজও আমাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলীও অত্যন্ত সুন্দর। সিনেমাটিতে বিভিন্ন দৃশ্য অত্যন্ত সুনিপুণভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলী আজও আমাদের মুগ্ধ করে। পদ্মা নদীর মাঝি সিনেমাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত একটি অমর সৃষ্টি। সিনেমাটি আজও আমাদের ভালোবাসা, ত্যাগ এবং সংগ্রামের শিক্ষা দেয়।


৩. তিতাস একটি নদীর নাম (১৯৭৩)

হুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত। তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার একটি গ্রামীণ জনপদের উপর ভিত্তি করে নির্মিত। সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র হল কিশোর (প্রবীর মিত্র), যিনি একজন হতাশ যুবক। তিনি তার জীবনের কোন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য খুঁজে পাচ্ছেন না। তিনি তার গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে চান, কিন্তু তার কোন পথ নেই। একদিন, কিশোর একটি নববধূকে (কবরী) নদী থেকে উদ্ধার করে।

নববধূর কোন স্মৃতি নেই। সে তার নাম বা পরিবারের কথা বলতে পারে না। কিশোর তাকে তার বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তার যত্ন নেয়। নববধূ কিশোরের জীবনে নতুন আশার আলো নিয়ে আসে। তিনি তাকে তার জীবনের অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করেন। কিশোর নববধূকে ভালোবাসতে শুরু করে। কিন্তু তাদের প্রেম সুখের হয় না। নববধূর পরিবার তাকে ফিরে পেতে চায়। তারা কিশোরকে হত্যার চেষ্টা করে। কিশোরকে বাঁচাতে নববধূ নিজেই মৃত্যুবরণ করে। কিশোর নববধূর মৃত্যুতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। তিনি তার জীবনের সবকিছু হারিয়ে ফেলেন। তিনি তার গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন।


চিত্রনাট্য

তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমার চিত্রনাট্যটি অদ্বৈত মল্লবর্মণের একই নামের উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে তৈরি। চিত্রনাট্যটি খুবই সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে। এটি গল্পটিকে খুবই সহজ এবং বোধগম্যভাবে উপস্থাপন করে।

সিনেমাটিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে:

      ১.গ্রামীণ জীবনের সুখ-দুঃখ

      ২.প্রেম ও বিরহ

      ৩.মানব জীবনের অনিশ্চয়তা

অভিনয়

তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রবীর মিত্র, কবরী, গোলাম মুস্তাফা এবং শামীমা আক্তার রোজী প্রশংসিত হয়েছেন। প্রবীর মিত্র কিশোর চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। তিনি একজন হতাশ ও বিভ্রান্ত যুবকের চরিত্রটি খুবই বাস্তবধর্মীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। কবরী নববধূ চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। তিনি একজন নিষ্পাপ ও রহস্যময় নারীর চরিত্রটি খুবই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। গোলাম মুস্তাফা নববধূর বাবা চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন কঠোর ও অমানবিক মানুষের চরিত্রটি খুবই দক্ষতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। শামীমা আক্তার রোজী বাসন্তী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি একজন বিধবা নারীর চরিত্রটি খুবই হৃদয়গ্রাহীভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।


নির্মাণশৈলী

তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমাটি ঋত্বিক ঘটকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। তিনি এই সিনেমাটিতে তার নিজস্ব নির্মাণশৈলীর পরিচয় দিয়েছেন। সিনেমাটিতে প্রচুর প্রাকৃতিক দৃশ্য রয়েছে। এগুলো খুবই সুন্দরভাবে চিত্রায়িত হয়েছে। সিনেমার সঙ্গীতও খুবই মনোমুগ্ধকর।


মূল্যায়ন

তিতাস একটি নদীর নাম সিনেমাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি একটি অসাধারণ সৃষ্টি যা আজও দর্শকদের মন জয় করে। সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত। এটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি বাস্তবচিত্র তুলে ধরেছে। সিনেমাটি ১৯৭৩ সালের ৬ষ্ঠ জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা পরিচালক, সেরা অভিনেতা (প্রবীর মিত্র), সেরা অভিনেত্রী (কবরী) এবং সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার


৪. আগুনের পরশমনি (১৯৯৫)

হুমায়ুন আহমেদের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।  আগুনের পরশমনি সিনেমার গল্পটি একটি গ্রামীণ পরিবারকে কেন্দ্র করে। এই পরিবারে সাদেক নামে একজন যুবক থাকে। তার বাবা-মা মারা গেছেন। তার একমাত্র বোন আছে। সাদেক একজন মেধাবী ছাত্র। সে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করে। একদিন সাদেকের বোন বিয়ে হয়ে যায়। সাদেক একা হয়ে যায়। সে তার বোনকে খুব মিস করে। সে তার বোনের সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু তার বোন তাকে দেখা করতে দেয় না। সাদেক তার বোনের সাথে দেখা করতে না পেরে খুব কষ্ট পায়। সে তার বোনকে ফিরে পেতে চায়। সে তার বোনের জন্য গান লেখে। সে তার বোনের জন্য কবিতা লেখে। সে তার বোনের জন্য নাটক লিখে। সাদেকের বোন সাদেকের লেখা গান, কবিতা এবং নাটক দেখে মুগ্ধ হয়। সে সাদেকের সাথে দেখা করতে চায়। সে সাদেকের সাথে দেখা করে। সাদেক এবং তার বোন আবার একসাথে হয়ে যায়। আগুনের পরশমনি সিনেমাটি তার গল্পের জন্য প্রশংসিত। সিনেমাটির গল্পটি অত্যন্ত সুন্দর এবং হৃদয়গ্রাহী।

এটি ভালোবাসা, ত্যাগ এবং সংগ্রামের গল্প। সিনেমাটির চিত্রনাট্যও অত্যন্ত সুন্দর। চিত্রনাট্যটি গল্পকে অত্যন্ত সুচারুরূপে ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমাটির অভিনয়ও অত্যন্ত প্রশংসনীয়। ফেরদৌস, শাবনূর, আহমেদ জামান চৌধুরী, তরুণ আহমেদসহ অন্যান্য অভিনয়শিল্পীরা তাদের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির সংগীতও অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর। বিশেষ করে, "আগুনের পরশমনি" গানটি আজও আমাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলীও অত্যন্ত সুন্দর। সিনেমাটিতে বিভিন্ন দৃশ্য অত্যন্ত সুনিপুণভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। সিনেমাটির নির্মাণশৈলী আজও আমাদের মুগ্ধ করে। আগুনের পরশমনি সিনেমাটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। এটি হুমায়ুন আহমেদের লেখা একটি বিখ্যাত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। সিনেমাটি আজও আমাদের ভালোবাসা, ত্যাগ এবং সংগ্রামের শিক্ষা দেয়।

সিনেমাটির গল্পটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের একটি চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে, গ্রামীণ সমাজে ভালোবাসা, ত্যাগ এবং সংগ্রামের গুরুত্ব। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছে যে, ভালোবাসা সবকিছু জয় করতে পারে। সিনেমাটির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর সংগীত। সিনেমাটির সংগীত অত্যন্ত সুন্দর এবং হৃদয়গ্রাহী। বিশেষ করে, "আগুনের পরশমনি" গানটি আজও আমাদের হৃদয়ে বেজে ওঠে। সিনেমাটি নির্মাণের ক্ষেত্রে পরিচালক হুমায়ুন আহমেদ অত্যন্ত সফল হয়েছেন। তিনি সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে একটি অসাধারণ সৃষ্টি উপহার দিয়েছেন।


সিনেমাটির কিছু উল্লেখযোগ্য দৃশ্য

     ১.সাদেক তার বোনের জন্য লেখা গান গাওয়ার দৃশ্য।

    ২. সাদেক তার বোনের সাথে দেখা করতে যাওয়ার দৃশ্য।

    ৩.সাদেকের বোন সাদেকের লেখা গান, কবিতা এবং নাটক দেখার দৃশ্য।

    ৪.সাদেক এবং তার বোন আবার একসাথে হয়ে যাওয়ার দৃশ্য।


সিনেমাটির কিছু উল্লেখযোগ্য চরিত্র

     ১.সাদেক: একজন মেধাবী ছাত্র।

    ২.সাদেকের বোন: সাদেকের একমাত্র বোন।

    ৩.সাদেকের বাবা-মা: সাদেকের বাবা-মা মারা গেছেন।

    ৪.সাদেকের বোনের স্বামী: সাদেকের বোনের স্বামী।


৫. সীমানা পেরিয়ে (১৯৭৭)

গাজী মোহাম্মদ হান্নানের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।


৬. ছুটির ঘন্টা (১৯৬৯)

আহমেদ মুসা পরিচালিত এই সিনেমাটি একটি সত্য ঘটনার উপর নির্মিত। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।


৭. সারেং বউ (১৯৭৮)

আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।


৮. রংবাজ (১৯৭৩)

জহিরুল হকের পরিচালনায় নির্মিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।


৯. চিত্রা নদীর পাড়ে (১৯৯৯) তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত। ১০. নবাব সিরাজউদ্দৌলা (১৯৬৭) খান আতাউর রহমান পরিচালিত এই সিনেমাটি বাংলাদেশের ইতিহাসের উপর নির্মিত একটি অসাধারণ সৃষ্টি। এই সিনেমাটি তার গল্প, চিত্রনাট্য, অভিনয় এবং নির্মাণশৈলীর জন্য প্রশংসিত।

Link copied