বিশ্বের সেরা ১০ সুদর্শন অভিনেতা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১৩ জানুয়ারী ২০২৪ ০৯:৪৪ মিনিট


পোস্ট ফটো

সুন্দরী নারীদের তালিকা তৈরি করা সহজ, কিন্তু সুদর্শন পুরুষদের তালিকা তৈরি করা কঠিন। কারণ সুন্দরী বলতে কী বোঝায় তা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে, বিশ্বের সেরা ১০ সুদর্শন অভিনেতাদের তালিকা তৈরি করার জন্য, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে, যেমন অনলাইন অনুসন্ধান, সামাজিক মিডিয়া, পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন অনুষ্ঠানের পর্যালোচনা।


সুদর্শন পুরুষদের তালিকা:

হৃতিক রোশন (ভারত)

রবার্ট প্যাটিনসন (যুক্তরাজ্য)

গডফ্রে গাও (তাইওয়ান)

ক্রিস ইভান্স (যুক্তরাষ্ট্র)

সালমান খান (ভারত)

ডেভিড বোরানাজ (যুক্তরাষ্ট্র)

নোয়া মিলস্ (যুক্তরাষ্ট্র)

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও (যুক্তরাষ্ট্র)

ব্র্যাডলি কুপার (যুক্তরাষ্ট্র)


শারীরিক বৈশিষ্ট্য:

এই অভিনেতাদের শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলি বেশ আকর্ষণীয়। তাদের উচ্চতা, ওজন, চুলের রঙ, চোখের রঙ, ত্বকের রঙ ইত্যাদি তাদেরকে সবার কাছে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।


অভিনয় দক্ষতা:

এই অভিনেতারা শুধুমাত্র সুদর্শন নয়, তারা অভিনয় দক্ষতায়ও বেশ পারদর্শী। তারা বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন।


এই তালিকার শীর্ষস্থানীদের তুলনা করা কঠিন। কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব অনন্য শারীরিক বৈশিষ্ট্য, অভিনয় দক্ষতা এবং জনপ্রিয়তা রয়েছে। তবে, হৃতিক রোশনকে বিশ্বের সেরা সুদর্শন অভিনেতা হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। কারণ তিনি সুদর্শন, অভিনয় দক্ষ এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।


১.হৃতিক রোশন


হৃতিক রোশন হলেন একজন ভারতীয় অভিনেতা। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক রাকেশ রোশনের পুত্র হৃতিক বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবং এক দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক-প্রাপ্ত অভিনেতাদের অন্যতম। হৃতিক রোশনের জন্ম ১০ জানুয়ারি, ১৯৭৪ সালে ভারতের মুম্বইয়ে। তার পিতামহ ছিলেন সঙ্গীত পরিচালক রোশনলাল নাগরথ এবং মাতামহ ছিলেন পরিচালক জে. ওম প্রকাশ। হৃতিক বোম্বে স্কটিশ স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। তিনি তার পিতামহীর দিক থেকে বাঙালি বংশোদ্ভূত। হৃতিক ১৯৮০-এর দশকে বেশ কয়েকটি ছবিতে "শিশুশিল্পী" হিসেবে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে রাকেশ রোশন পরিচালিত চারটি ছবিতে সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। ২০০০ সালে "কাহো না...প্যায়ার হ্যায়" ছবিতে তিনি প্রথম বার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং হৃতিককে বলিউডে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।


হৃতিক রোশনের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

কাহো না...প্যায়ার হ্যায় (২০০০)

ফিজা (২০০০)

কভি খুশি কভি গম (২০০১)

জোধা আকবর (২০০৮)

গুজারিশ (২০০৯)

জিন্দগি না মিলেগি দোবারা (২০১১)

অগ্নিপথ (২০১২)

ব্যাং ব্যাং (২০১৩)

সুপার থার্টি (২০১৮)

হৃতিক রোশন ছয়টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ বহু পুরস্কার জয় করেছেন। তিনি ২০১২ সালে ভারত সরকারের কাছ থেকে "পদ্মশ্রী" সম্মাননায় ভূষিত হন। হৃতিক রোশন ২০০০ সালে সুসান খানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে রয়েছে। ২০১৪ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। হৃতিক রোশনের আসন্ন চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে "ফাইটার" এবং "War 2"। হৃতিক রোশন একজন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি তার দক্ষ অভিনয় এবং নৃত্যশৈলীর জন্য দর্শকদের কাছে সমাদৃত।


২. রবার্ট প্যাটিনসন (যুক্তরাজ্য)

রবার্ট প্যাটিনসন একজন ইংরেজ অভিনেতা, প্রযোজক, মডেল ও সঙ্গীতশিল্পী। তিনি ২০০৫ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার চলচ্চিত্রে সেডরিক ডিগরি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তিনি টোয়াইলাইট চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে ভ্যাম্পায়ার এডওয়ার্ড কুলেনের চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। প্যাটিনসন ১৩ মে, ১৯৮৬ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রিচার্ড প্যাটিনসন একজন গাড়ি বিক্রয়কারী এবং তার মা ক্লারে প্যাটিনসন একজন গৃহিণী। প্যাটিনসন ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। তিনি লন্ডনের "ওয়াটারলু স্কুল অফ ড্রামা" থেকে অভিনয়ের প্রশিক্ষণ লাভ করেন। প্যাটিনসন ২০০৫ সালে হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য গবলেট অব ফায়ার চলচ্চিত্রে সেডরিক ডিগরি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। এই চলচ্চিত্রটি বক্স অফিসে সাফল্য অর্জন করে এবং প্যাটিনসনকে একজন প্রতিভাবান অভিনেতা হিসেবে পরিচিত করে তোলে। এরপর ২০০৮ সালে তিনি টোয়াইলাইট চলচ্চিত্র ধারাবাহিকে এডওয়ার্ড কুলেনের চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এই চলচ্চিত্র ধারাবাহিকটি বক্স অফিসে অত্যন্ত সফল হয় এবং প্যাটিনসনকে বিশ্বব্যাপী একজন জনপ্রিয় তারকা হিসেবে পরিণত করে।


টোয়াইলাইট চলচ্চিত্র ধারাবাহিক ছাড়াও প্যাটিনসন বেশ কয়েকটি সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে:

রিমেম্বার মি (২০১০)

ওয়াটার ফর এলিফ্যান্টস (২০১১)

কসমোপোলিস (২০১২)

ম্যাপস টু দ্য স্টার্‌স (২০১৪)

দ্য রোভার (২০১৪)

ম্যাঙ্ক (২০১৫)

লাইটহাউস (২০১৯)


প্যাটিনসন তার অভিনয় দক্ষতার জন্য বেশ কয়েকটি পুরস্কার জয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে:

ব্রিটিশ একাডেমি চলচ্চিত্র পুরস্কার (BAFTA) মনোনয়ন (২০১২)

গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার মনোনয়ন (২০১২)

ইন্টারন্যাশনাল ক্রিটিকস অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার (২০১২)

লস অ্যাঞ্জেলেস ফিল্ম ক্রাইটিক্স অ্যাসোসিয়েশন পুরস্কার মনোনয়ন (২০১২)


৩. সালমান খান (ভারত)

সালমান খান একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব এবং দাতব্য কর্মী। তিনি প্রধানত বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি তিন দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী কর্মজীবনে, তিনি প্রযোজক হিসেবে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অভিনেতা হিসেবে দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। সালমান খানের জন্ম ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৬৫ সালে ভারতের ইন্দোরে। তার পিতা সেলিম খান একজন চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার মা সুশিলা চরক একজন গৃহিণী। সালমান খানের তিন ভাই রয়েছে, আরবাজ খান, সোহেল খান এবং অর্পিতা খান। সালমান খান ১৯৮৮ সালের পারিবারিক নাটকীয় চলচ্চিত্র "বিবি হো তো এসি"তে সহ-তারকা হিসেবে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯০ সালে সুরাজ ভরজাত্যার রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র "ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া"তে অভিনয়ের মাধ্যমে চিত্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং সালমান খানকে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।


সালমান খানের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া (১৯৯০)

কুরবান (১৯৯১)

হাম দিল দে চুকে সানাম (১৯৯৯)

বাজিগর (২০০১)

তেরে নাম (২০০৩)

টাইগার জিন্দা হ্যায় (২০১৭)

দাবাং ৩ (২০১৯)

ভাইজান (২০২১)

সালমান খান একজন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি তার দক্ষ অভিনয় এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের জন্য দর্শকদের কাছে সমাদৃত। সালমান খান একজন দাতব্য কর্মীও। তিনি সালমান খান ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, যা ভারতে বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। সালমান খান একজন প্রতিভাবান এবং সফল অভিনেতা, প্রযোজক এবং দাতব্য কর্মী। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।


৪. শাহরুখ খান

শাহরুখ খান একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবসেবী। তিনি প্রধানত বলিউড চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি তিন দশকেরও বেশি সময়ব্যাপী কর্মজীবনে, তিনি প্রযোজক হিসেবে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও অভিনেতা হিসেবে ১৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। শাহরুখ খানের জন্ম ২ নভেম্বর, ১৯৬৫ সালে ভারতের নতুন দিল্লিতে। তার পিতা মিয়ার তাজ মোহাম্মদ খান একজন ব্যবসায়ী এবং তার মা লতিফ ফাতিমা একজন গৃহিণী। শাহরুখ খানের দুই ভাই রয়েছে, অমর খান এবং শাহরুখ খান জুনিয়র। শাহরুখ খান ১৯৮৮ সালের টেলিভিশন ধারাবাহিক "ফৌজি"তে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৯২ সালের রোমান্টিক চলচ্চিত্র "দিল তো পাগল হ্যায়"তে অভিনয়ের মাধ্যমে চিত্রনায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এই ছবিটি ব্যবসায়িকভাবে সফল হয় এবং শাহরুখ খানকে একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।


শাহরুখ খানের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

দিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯২)

দেবদাস (২০০২)

কাভি খুশি কাভি গম (২০০১)

কাল হো না হো (২০০৩)

কেয়ামত সে কেয়ামত তক (২০০৫)

চাঁদনী রাতে (২০০৭)

রাব নে বানিয়াঁ দোস্তান (২০০৮)

মাই নেম ইজ খান (২০১০)

প্যাডম্যান (২০১৮)

শাহরুখ খান একজন জনপ্রিয় এবং সফল অভিনেতা। তিনি তার দক্ষ অভিনয়, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষমতার জন্য দর্শকদের কাছে সমাদৃত। শাহরুখ খান একজন দাতব্য কর্মীও। তিনি এমআইটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, যা ভারতে বিভিন্ন সামাজিক এবং মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। শাহরুখ খান একজন প্রতিভাবান এবং সফল অভিনেতা, প্রযোজক এবং দাতব্য কর্মী। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তার অবদানের জন্য একজন জীবন্ত কিংবদন্তি।


শাহরুখ খানের কিছু উল্লেখযোগ্য অর্জন হল:

১৪টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, যা একজন অভিনেতার জন্য সর্বোচ্চ

দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

দুটি আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

পাঁচটি এশিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার

দুটি টেলিভিশন একাডেমি পুরস্কার

দুটি স্টারডাস্ট পুরস্কার

একটি জি সিনে পুরস্কার


৫. অক্ষয় কুমার

অক্ষয় কুমার একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, প্রযোজক ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। তার প্রকৃত নাম রাজিব হরি ওম ভাটিয়া। তিনি ১৯৬৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের অমৃতসর শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা হরি ওম ভাটিয়া একজন ব্যবসায়ী এবং মা সুনীতা ভাটিয়া একজন গৃহিণী। অক্ষয় কুমারের তিন ভাই রয়েছে। অক্ষয় কুমারের চলচ্চিত্র কর্মজীবন ১৯৯১ সালে মহেশ ভাটের আজ চলচ্চিত্র দিয়ে শুরু হয়। তবে তার অভিনীত প্রথম সফল চলচ্চিত্র ছিল আব্বাস-মুস্তানের খিলাড়ি (১৯৯২)। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি বলিউডে একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি একের পর এক সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

অজনবী (২০০১)

গরম মসলা (২০০৫)

বাস্তব (২০০০)

কেয়ামত সে কেয়ামত তক (২০০৩)

ফাটাকেত (২০০৬)

রুস্তম (২০১৬)

গোবিন্দ রাম (২০১৭)

সিংহম (২০১১)

সিংহম ৩ (২০১৮)

অক্ষয় কুমার তার অ্যাকশন দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তিনি নিজেই তার চলচ্চিত্রে বেশিরভাগ অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেন। তিনি একজন দক্ষ কৌতুক অভিনেতাও। তার অভিনীত চলচ্চিত্রে প্রায়ই হাস্যরস থাকে। অক্ষয় কুমার ২০০১ সালে বলিউড অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নাকে বিয়ে করেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে যার নাম আরভ কুমার। অক্ষয় কুমার ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। তিনি একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:

তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার

দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

আটটি জি সিনে পুরস্কার

চারটি আইফা পুরস্কার


৬. টাইগার শ্রফ

টাইগার শ্রফ একজন ভারতীয় অভিনেতা এবং মার্শাল আর্টিস্ট। তার পুরো নাম জয় হেমন্ত শ্রফ। তিনি ১৯৯০ সালের ২ মার্চ ভারতের মুম্বাই শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জ্যাকি শ্রফ একজন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা এবং তার মা আয়েশা দত্ত একজন গৃহিণী। টাইগার শ্রফের চলচ্চিত্র কর্মজীবন ২০১৪ সালে সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা পরিচালিত রোমাঞ্চধর্মী অ্যাকশন চলচ্চিত্র হিরোপান্তিতে অভিনয়ের মাধ্যমে শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি একজন জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর তিনি একের পর এক সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে:

হিরোপান্তি (২০১৪)

বাগী (২০১৬) 

বাগী ২ (২০১৮)

ওয়ার (২০১৯)

ছোটা খোকা চান্সা (২০২২)

টাইগার শ্রফ তার অ্যাকশন দক্ষতার জন্য বিখ্যাত। তিনি নিজেই তার চলচ্চিত্রে বেশিরভাগ অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেন। তিনি একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পীও। তার অভিনীত চলচ্চিত্রে প্রায়ই নাচের দৃশ্য থাকে। টাইগার শ্রফ ২০২৩ সালের হিসাবে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতা। তিনি একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:

ফিল্মফেয়ার পুরস্কার - সেরা নবাগত অভিনেতা (হিরোপান্তি)

আইফা পুরস্কার - সেরা নবাগত অভিনেতা (হিরোপান্তি)

টাইগার শ্রফের ব্যক্তিগত জীবন বেশ আলোচিত। তিনি ২০১৯ সালে বলিউড অভিনেত্রী দিশা পাটানির সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাদের সম্পর্ক বেশ কয়েকবার ভেঙে যাওয়ার গুঞ্জন শোনা যায়। তবে তারা এখনও একসাথে আছেন বলে জানা যায়। টাইগার শ্রফ একজন প্রতিভাবান এবং সফল অভিনেতা। তিনি তার অ্যাকশন দক্ষতা এবং নৃত্য দক্ষতার জন্য দর্শকদের কাছে সমাদৃত। তিনি বলিউডের ভবিষ্যতের একজন বড় তারকা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন।


Link copied