বিশ্ব অর্থনীতিতে টানা মন্দার আশঙ্কা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:১৪ মিনিট


পোস্ট ফটো

বিশ্ব অর্থনীতিতে টানা মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, যুদ্ধ, লকডাউনের মতো নানা কারণে এই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই সতর্কতা জারি করেছে। আরো বিস্তারিত: বিশ্ব অর্থনীতিতে টানা মন্দার আশঙ্কা তৈরি হওয়ার পেছনে তিনটি প্রধান কারণ রয়েছে: মুদ্রাস্ফীতি: বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে উঠেছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮৬ সালের পর সর্বোচ্চ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে বিনিয়োগ ও ভোগ কমিয়ে দেয়, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে। যুদ্ধ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঝুঁকি। এই যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে যেতে পারে। লকডাউন: চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের কারণে চীনের অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছে। চীনের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই চীনের অর্থনীতির মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে। এই তিনটি কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে টানা মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যেই এই আশঙ্কার কথা জানিয়ে দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশ হবে, যা ২০২২ সালের ৬.১ শতাংশ থেকে কম। জাতিসংঘ তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ৩.৬ শতাংশ হবে, যা ২০২২ সালের ৩.৬ শতাংশ থেকে কম। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা হলে এর প্রভাব বিশ্বের সব দেশকেই পড়বে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই প্রভাব আরও বেশি পড়বে। কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা হয়ে উঠেছে। মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। কারণ একই পরিমাণ টাকা দিয়ে আগের মতো পণ্য ও সেবা কেনা যায় না। মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষের ভোগ কমে যায়, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: চাহিদা বেশি: যখন চাহিদা পণ্য ও সেবার সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তখন দাম বাড়ে। সরবরাহ কম: যখন পণ্য ও সেবার সরবরাহ কমে যায়, তখন দাম বাড়ে। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি: যখন উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়ায়। সুদের হার বাড়লে ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগ ও ভোগ কমিয়ে দেয়। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়। যুদ্ধ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঝুঁকি। এই যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও, যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হচ্ছে। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায়। ফলে মানুষের ভোগ কমে যায়, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে।

সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ার ফলে পণ্য ও সেবার সরবরাহ কমে যায়। ফলে দাম বৃদ্ধি পায়। লকডাউন: চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের কারণে চীনের অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছে। চীনের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই চীনের অর্থনীতির মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে। চীনে লকডাউনের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে পণ্যের সরবরাহ কমে যাচ্ছে। দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। মন্দার প্রভাব: বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা হলে এর প্রভাব বিশ্বের সব দেশকেই পড়বে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই প্রভাব আরও বেশি পড়বে। কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। মন্দার প্রভাবের মধ্যে রয়েছে: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। বেকারত্ব বাড়বে। আয় কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। মন্দা রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়াতে পারে। এছাড়াও, সরকার বিভিন্ন অর্থনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি হল পণ্য ও সেবার দাম বৃদ্ধির হার। যখন মুদ্রাস্ফীতি হয়, তখন একই পরিমাণ টাকা দিয়ে আগের মতো পণ্য ও সেবা কেনা যায় না। মুদ্রাস্ফীতির ফলে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নে মুদ্রাস্ফীতির হার ৮.৬ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮৬ সালের পর সর্বোচ্চ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির হার ৯.১ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ১৯৮১ সালের পর সর্বোচ্চ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি পায়।

ফলে মানুষের ভোগ কমে যায়, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে। এতে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়ছে। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়ছে। কারণ জ্বালানি ও খাদ্যপণ্য হল ভোগ্যপণ্য। ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ে। আরো বিস্তারিত: মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতিতে যেসব নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সেগুলি হল: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে। বেকারত্ব বাড়বে। আয় কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি বাড়বে। সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়ায়। সুদের হার বাড়লে ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগ ও ভোগ কমিয়ে দেয়। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়। তবে সুদের হার বাড়ানোর ফলে অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন, বেকারত্ব বাড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি রোধে সরকারেরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন, সরকার খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও, সরকার ভর্তুকি প্রদান করে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ এই যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।

দ্রাস্ফীতির কারণে অর্থনীতিতে যেসব নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে: অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাবে: মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে মানুষ কম পণ্য ও সেবা কেনে। এতে অর্থনীতির চাহিদা কমে যায়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে। বেকারত্ব বাড়বে: মুদ্রাস্ফীতির ফলে ব্যবসায়ের খরচ বেড়ে যায়। ফলে ব্যবসায়গুলি কম লোক নিয়োগ করতে পারে। এতে বেকারত্ব বাড়তে পারে। আয় কমে যাবে: মুদ্রাস্ফীতির ফলে একই পরিমাণ টাকা দিয়ে আগের মতো পণ্য ও সেবা কেনা যায় না। ফলে মানুষের আয়ের মূল্য কমে যায়। মূল্যস্ফীতি বাড়বে: মুদ্রাস্ফীতির ফলে ব্যবসায়গুলির উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। ফলে তারা তাদের পণ্যের দাম বাড়াতে পারে। এতে মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। সরকারের রাজস্ব আয় কমে যাবে: মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষের আয় কমে যায়। ফলে সরকারের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস কর আদায় কমে যায়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়ায়। সুদের হার বাড়লে ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগ ও ভোগ কমিয়ে দেয়। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়। তবে সুদের হার বাড়ানোর ফলে অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন, বেকারত্ব বাড়তে পারে। মুদ্রাস্ফীতি রোধে সরকারেরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন, সরকার খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও, সরকার ভর্তুকি প্রদান করে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।

কারণ এই যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। আরও কিছু বিস্তারিত তথ্য: **মুদ্রাস্ফীতির হার সাধারণত পরিমাপ করা হয় ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) দিয়ে। CPI হল একটি সূচক যা নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট পণ্য ও সেবার দামের পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। **মুদ্রাস্ফীতির হার দুই ধরনের হতে পারে: ** ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি: এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয়ের পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। উৎপাদন ব্যয় সূচক (PPI)-ভিত্তিক মুদ্রাস্ফীতি: এই ধরনের মুদ্রাস্ফীতি ব্যবসায়ের উৎপাদন খরচের পরিবর্তনকে পরিমাপ করে। মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে: জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম: জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম মুদ্রাস্ফীতির হারকে প্রভাবিত করে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা: বৈশ্বিক অর্থনীতির অবস্থা মুদ্রাস্ফীতির হারকে প্রভাবিত করে। রাজস্ব ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা: রাজস্ব ও ব্যয়ের মধ্যে সমতা না থাকলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। মুদ্রা সরবরাহ: মুদ্রা সরবরাহ বেশি হলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা। এটি অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব সাধারণত তিনটি স্তরে দেখা যায়। প্রথম স্তরে, মুদ্রাস্ফীতির ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পায়। ফলে মানুষ কম পণ্য ও সেবা কিনতে পারে। এতে অর্থনীতির চাহিদা কমে যায়, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে হ্রাস করতে পারে। দ্বিতীয় স্তরে, মুদ্রাস্ফীতির ফলে ব্যবসায়ের খরচ বেড়ে যায়। ফলে ব্যবসায়গুলি কম লোক নিয়োগ করতে পারে। এতে বেকারত্ব বাড়তে পারে। তৃতীয় স্তরে, মুদ্রাস্ফীতির ফলে আয়ের মূল্য কমে যায়। ফলে মানুষের আয়ের মান কমে যায়। এতে মানুষের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পায়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি সুদের হার বাড়ায়। সুদের হার বাড়লে ঋণ নেওয়ার খরচ বেড়ে যায়, যা বিনিয়োগ ও ভোগ কমিয়ে দেয়। ফলে মুদ্রাস্ফীতি কমে যায়। তবে সুদের হার বাড়ানোর ফলে অন্য সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন, বেকারত্ব বাড়তে পারে।

মুদ্রাস্ফীতি রোধে সরকারেরও কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন, সরকার খাদ্যপণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়াও, সরকার ভর্তুকি প্রদান করে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদক্ষেপ: মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা: কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা: সরকার জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা: ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগ প্রয়োজন।

লকডাউন চীনে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের কারণে লকডাউন চলছে। এই লকডাউনের কারণে চীনের অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছে। চীনের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই চীনের অর্থনীতির মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করবে। বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা হলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এর প্রভাব পড়বে। রপ্তানি কমে যাবে, আমদানি ব্যয় বাড়বে, মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে।

চীনের লকডাউনের কারণে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেসব প্রভাব পড়তে পারে: রপ্তানি কমে যাবে: চীন বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। চীনের অর্থনীতি মন্দা হলে তাদের আমদানির পরিমাণ কমে যাবে। ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর রপ্তানি কমে যাবে। আমদানি ব্যয় বাড়বে: চীন বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ। চীনের অর্থনীতি মন্দা হলে তাদের রপ্তানি কমে যাবে। ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর আমদানি ব্যয় বাড়বে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে: আমদানি ব্যয় বাড়ার ফলে বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মুদ্রাস্ফীতি বাড়বে। বেকারত্ব বাড়বে: অর্থনীতি মন্দা হলে চাহিদা কমে যায়। ফলে উৎপাদন কমে যায় এবং বেকারত্ব বাড়ে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশেষ প্রভাব: বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি বড় অংশ রপ্তানি নির্ভর। চীনের লকডাউনের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানি কমে গেলে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা লাগবে।

এছাড়াও, চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বাড়ার ফলে দেশে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ: চীনের লকডাউনের কারণে যেসব প্রভাব পড়তে পারে সেগুলো মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। যেমন: রপ্তানি উদ্যোক্তাদের জন্য প্রণোদনা প্রদান করা। আমদানি ব্যয় কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া। বেকারত্ব কমাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া। বাংলাদেশ সরকারের এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে চীনের লকডাউনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা যায়।


Link copied