প্রবৃদ্ধি অসম, উন্নত দেশগুলিতে ধীর, উন্নয়নশীল দেশগুলিতে দ্রুত

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৬:১৭ মিনিট


পোস্ট ফটো

মহামারীর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়েছে। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ৮.৬% এ পৌঁছেছে, যা চার দশকের সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ায় মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে এবং অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ছে। মূল্যস্ফীতির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাত জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি কর্মশক্তির ঘাটতি মূল্যস্ফীতি কমাতে, সরকারগুলিকে সুদের হার বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ এবং সরবরাহ শৃঙ্খলকে উন্নত করার মতো পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রবৃদ্ধি মহামারীর প্রভাবে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অসমভাবে হচ্ছে। উন্নত দেশগুলিতে প্রবৃদ্ধি ধীর গতিতে হচ্ছে, অপরদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রবৃদ্ধি দ্রুত গতিতে হচ্ছে। এটি বিশ্ব অর্থনীতির অস্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করছে। উন্নত দেশগুলিতে প্রবৃদ্ধি ধীর হওয়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: কর্মশক্তির ঘাটতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অনিশ্চয়তা কর বৃদ্ধি উন্নয়নশীল দেশগুলিতে প্রবৃদ্ধি দ্রুত হওয়ার কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাতের কারণে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস ঝুঁকি মহামারীর প্রভাবে অর্থনীতির ঝুঁকি বেড়েছে।

এই ঝুঁকিগুলির মধ্যে রয়েছে: মূল্যস্ফীতি অনিশ্চয়তা জ্বালানি নিরাপত্তা মূল্যস্ফীতির ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাত জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি কর্মশক্তির ঘাটতি অনিশ্চয়তার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন মহামারীর আশঙ্কা জ্বালানি নিরাপত্তার ঝুঁকির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ জলবায়ু পরিবর্তন ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা মহামারীর প্রভাবে অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা অনিশ্চিত। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে, অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ব্যাহত হতে পারে। মহামারী পুনরায় ছড়িয়ে পড়লেও অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। নতুন প্রযুক্তি অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করতে পারে, যার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক উভয় প্রভাব থাকতে পারে।কোভিড-১৯ মহামারীর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এই প্রভাবগুলির মধ্যে একটি হল মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি ৮.৬% এ পৌঁছেছে, যা চার দশকের সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যাঘাত: মহামারীর কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়েছে, যার ফলে পণ্য ও পরিষেবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি: জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে, যা মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে। কর্মশক্তির ঘাটতি: মহামারীর কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে, যার ফলে কর্মশক্তির ঘাটতি দেখা দিয়েছে।

এই ঘাটতি উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে। মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করছে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে, একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে আগের তুলনায় কম পণ্য ও পরিষেবা কেনা যায়। এটি মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে এবং অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ায়। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সরকারগুলিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: সুদের হার বৃদ্ধি: সুদের হার বৃদ্ধি করে, সরকারগুলি অর্থ সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ: বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করে, সরকারগুলি তাদের মুদ্রার মান বাড়িয়ে আমদানি মূল্য কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করা: সরকারগুলি সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করে পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। মহামারীর প্রভাবে বিশ্ব অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা। সরকারগুলিকে এই সমস্যা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।মহামারীর কারণে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়েছে। এর কারণ হল: লকডাউন: মহামারীর কারণে অনেক দেশে লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এর ফলে কারখানা, বন্দর এবং অন্যান্য সরবরাহ কেন্দ্র বন্ধ ছিল।

কর্মী সংকট: মহামারীর কারণে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বা চাকরি ছেড়েছিল। এর ফলে সরবরাহ শৃঙ্খলে কর্মী সংকট দেখা দিয়েছিল। পরিবহন সমস্যা: মহামারীর কারণে পরিবহন ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছিল। এর ফলে পণ্য ও পরিষেবা সরবরাহে বিলম্ব হয়েছিল। এই ব্যাঘাতের ফলে পণ্য ও পরিষেবার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, সরবরাহ কমে গেলে চাহিদা বাড়লে দাম বাড়ে। জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি জ্বালানি এবং খাদ্যের দাম বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ হল: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধির ফলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়ছে। কর্মশক্তির ঘাটতি মহামারীর কারণে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে। এর ফলে কর্মশক্তির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি বাড়াচ্ছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাব মূল্যস্ফীতির প্রভাব মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে, একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে আগের তুলনায় কম পণ্য ও পরিষেবা কেনা যায়।

এটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করে এবং তাদের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে। মূল্যস্ফীতি অর্থনীতিতে অস্থিরতাও বাড়ায়। মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেলে, মানুষ তাদের অর্থের মান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। এটি বিনিয়োগ এবং ভোগের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় সরকারগুলি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: সুদের হার বৃদ্ধি: সুদের হার বৃদ্ধি করে, সরকারগুলি অর্থ সরবরাহ কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। সুদের হার বাড়লে, মানুষ ঋণ নিতে কম আগ্রহী হয়। এটি অর্থ সরবরাহ কমাতে সাহায্য করে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ: বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করে, সরকারগুলি তাদের মুদ্রার মান বাড়িয়ে আমদানি মূল্য কমিয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। মুদ্রার মান বাড়লে, আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমে যায়। সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করা: সরকারগুলি সরবরাহ শৃঙ্খল উন্নত করে পণ্য ও পরিষেবার সরবরাহ বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমাতে পারে। এটি করতে সরকারগুলি অবকাঠামো বিনিয়োগ, কর্মী প্রশিক্ষণ এবং ব্যবসার জন্য সহজতর পরিবেশ তৈরি করতে পারে। এই পদক্ষেপগুলি মূল্যস্ফীতি কমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে, মূল্যস্ফীতি মোকাবেলায় একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।

ল্যস্ফীতি হল একটি অর্থনীতিতে পণ্য এবং পরিষেবার সাধারণ মূল্যের দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি। এটি সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি হিসাবে পরিচিত। মুদ্রাস্ফীতি বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে: চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য: অর্থনীতিতে চাহিদা সরবরাহের চেয়ে বেশি হলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়ে। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি: জ্বালানি, কাঁচামাল এবং শ্রমের মতো উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি হলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়ে। অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি: কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি করলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারগুলিকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: সুদের হার বৃদ্ধি: সুদের হার বৃদ্ধি করলে অর্থের চাহিদা কমে যায়। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম কমে যেতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ: সরকার বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করে বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে পারে।

এর ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমে যেতে পারে। সরবরাহ শৃঙ্খলকে উন্নত করা: সরকার সরবরাহ শৃঙ্খলকে উন্নত করে পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহ বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম কমে যেতে পারে। সুদের হার বৃদ্ধি সুদের হার বৃদ্ধি হল মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। সুদের হার বৃদ্ধি করলে অর্থের চাহিদা কমে যায়। এর ফলে ব্যবসায়ীরা ঋণ নিতে কম আগ্রহী হয়। এর ফলে ব্যবসায়িক বিনিয়োগ কমে যায় এবং অর্থনীতিতে স্থবিরতা আসে। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম কমে যেতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে হস্তক্ষেপ করে সরকার বিনিময় হার স্থিতিশীল রাখতে পারে। এর ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমে যেতে পারে।

সরবরাহ শৃঙ্খলকে উন্নত করা সরবরাহ শৃঙ্খলকে উন্নত করে সরকার পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহ বৃদ্ধি করতে পারে। এর ফলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম কমে যেতে পারে। এই পদক্ষেপগুলি ছাড়াও, সরকারগুলি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অন্যান্য পদক্ষেপও নিতে পারে। এই পদক্ষেপগুলির মধ্যে রয়েছে: বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনা: সরকার বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা আনার মাধ্যমে যুক্তিহীনভাবে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করতে পারে। রাজস্বনীতির পুনর্মূল্যায়ন করা: সরকার রাজস্বনীতির পুনর্মূল্যায়ন করে আমদানিতে কর হ্রাস করতে পারে। এর ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম কমে যেতে পারে। খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা: সরকার খাদ্যশস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে পারে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ একটি জটিল কাজ। সরকারকে এই পদক্ষেপগুলি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে।


Link copied