অর্থনীতিতে পরিবেশের ভূমিকা

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:১১ মিনিট


পোস্ট ফটো

পরিবেশ থেকে প্রাকৃতিক সম্পদ, যেমন খনিজ, তেল, গ্যাস, জল, বন, মাটি ইত্যাদি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অপরিহার্য। এই সম্পদগুলি শিল্প, কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। খনিজ: খনিজ, যেমন কয়লা, তেল, গ্যাস, লোহা, তামা, সোনা, ইত্যাদি শিল্পের জন্য অপরিহার্য। এই খনিজগুলি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন, যন্ত্রপাতি তৈরি, নির্মাণ কাজ, ইত্যাদি করা হয়। তেল ও গ্যাস: তেল ও গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, তেল দিয়ে প্লাস্টিক, পেট্রোলিয়াম রসায়ন পদার্থ, ইত্যাদি তৈরি করা হয়। জল: জল কৃষি, শিল্প, গৃহস্থালি, পরিবহন, ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। জল ছাড়া কৃষি, শিল্প, এবং জনজীবন অসম্ভব। বন: বন পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বন থেকে আমরা কাঠ, ফল, ফুল, ঔষধি গাছপালা, ইত্যাদি পাই। বন বায়ুকে পরিশোধন করে, মাটির ক্ষয়রোধ করে, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। মাটি: মাটি কৃষি এবং নির্মাণের জন্য অপরিহার্য। মাটি ছাড়া কৃষি অসম্ভব। পরিবেশ থেকে পরিষেবা: পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রাপ্ত হয়, যেমন জল সরবরাহ, বায়ু পরিশোধন, আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি।

এই পরিষেবাগুলি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জল সরবরাহ: জল সরবরাহ কৃষি, শিল্প, গৃহস্থালি, ইত্যাদি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। জল ছাড়া জীবজগতের অস্তিত্ব অসম্ভব। বায়ু পরিশোধন: বন, সমুদ্র, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ বায়ুকে পরিশোধন করে। বায়ু পরিশোধন না হলে মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি হবে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ: বন, সমুদ্র, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণ না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়বে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ: বন, সমুদ্র, এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে। জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ না হলে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য: পরিবেশের ভারসাম্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, খাদ্য সংকট ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কিছু কারণ হল: প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার: বন উজাড়, খনিজ সম্পদের অপরিকল্পিত উত্তোলন, ইত্যাদি কারণে প্রাকৃতিক সম্পদের অপরিকল্পিত ব্যবহার পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। জলবায়ু পরিবর্তন: জলবায়ু পরিবর্তনও পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে, যা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করছে। দূষণ: দূষণ পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে। বায়ু দূষণ, জল দূষণ, মাটি দূষণ, ইত্যাদি কারণে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। 

পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে অর্থনীতিতে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাওয়া যায়: প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার: পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়। এর ফলে প্রাকৃতিক সম্পদের অপচয় রোধ হয় এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করা যায়। দূষণের মাত্রা হ্রাস: পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে দূষণের মাত্রা হ্রাস করা যায়। এর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা পায় এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা যায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস: পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করা যায়। এর ফলে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায়।

কর্মসংস্থান সৃষ্টি: পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে। এর ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পায়। পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণের জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসাথে কাজ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ আইন প্রণয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা করা যেতে পারে। জনগণের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা করা যেতে পারে। পরিবেশের সুরক্ষা এবং সংরক্ষণ অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাই সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসাথে কাজ করে পরিবেশ সুরক্ষা এবং সংরক্ষণে সচেষ্ট হতে হবে।

পরিবেশের ভারসাম্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, খাদ্য সংকট ইত্যাদির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার ফলে অর্থনীতিতে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তন, ইত্যাদি কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। রোগবালাই বৃদ্ধি: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে রোগবালাই বৃদ্ধি পায়।

বায়ু দূষণ, জল দূষণ, ইত্যাদি কারণে রোগবালাইের প্রকোপ বাড়ছে। রোগবালাইের ফলে জনস্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়, এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। খাদ্য সংকট: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। খাদ্য সংকটের ফলে জনগণের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পায়, এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। উৎপাদনশীলতা হ্রাস: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। পরিবেশ দূষণের ফলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। উৎপাদনশীলতা হ্রাসের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। কর্মসংস্থান হ্রাস: পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়।

প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, ইত্যাদি কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। কর্মসংস্থান হ্রাসের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসাথে কাজ করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে পরিবেশ আইন প্রণয়ন, পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার, দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা করা যেতে পারে। জনগণের পক্ষ থেকে পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন, দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বন উজাড়, জলবায়ু পরিবর্তন, ইত্যাদি কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বন উজাড়ের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে খরা, বন্যা, ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়ার ধরন পরিবর্তিত হচ্ছে, যার ফলে ঝড়, বন্যা, খরা, ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়, জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। রোগবালাই বৃদ্ধি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে রোগবালাই বৃদ্ধি পায়। বায়ু দূষণ, জল দূষণ, ইত্যাদি কারণে রোগবালাইের প্রকোপ বাড়ছে। বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। জল দূষণের ফলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, চর্মরোগ, ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

রোগবালাইের ফলে জনস্বাস্থ্য বিপর্যস্ত হয়, এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। খাদ্য সংকট পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। কৃষি উৎপাদন হ্রাস পাওয়ার ফলে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। বন উজাড়ের ফলে মাটির ক্ষয়রোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, যার ফলে মাটি উর্বরতা হ্রাস পায়। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায়। খাদ্য সংকটের ফলে জনগণের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পায়, এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। উৎপাদনশীলতা হ্রাস পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। পরিবেশ দূষণের ফলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে, যার ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। বায়ু দূষণের ফলে শ্রমিকদের শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ইত্যাদি রোগ হতে পারে, যার ফলে তাদের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। জল দূষণের ফলে শ্রমিকদের ডায়রিয়া, টাইফয়েড, ইত্যাদি রোগ হতে পারে, যার ফলে তাদের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। উৎপাদনশীলতা হ্রাসের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। কর্মসংস্থান হ্রাস পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই, ইত্যাদি কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানার ক্ষতি হয়, যার ফলে সেগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। রোগবালাইের কারণে শ্রমিকদের অসুস্থ হয়ে পড়ার ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কর্মসংস্থান হ্রাসের ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসাথে কাজ করতে হবে।

বন উজাড়ের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে খরা, বন্যা, ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। বন হলো বৃষ্টিপাতের একটি প্রধান উৎস। বন উজাড়ের ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যায়, যার ফলে খরা, বন্যা, ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, বন উজাড়ের ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে খরার ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। রোগবালাই বৃদ্ধি বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ক্যান্সার, ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। বায়ু দূষণের ফলে বায়ুমণ্ডলে ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষতিকর পদার্থগুলি শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বায়ু দূষণের ফলে ঢাকায় শ্বাসকষ্টের রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। খাদ্য সংকট বন উজাড়ের ফলে মাটির ক্ষয়রোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, যার ফলে মাটি উর্বরতা হ্রাস পায়। বন মাটির ক্ষয়রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বন উজাড়ের ফলে মাটির ক্ষয়রোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়, যার ফলে মাটি উর্বরতা হ্রাস পায়। উদাহরণস্বরূপ, বন উজাড়ের ফলে বাংলাদেশে খাদ্য উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে।

উৎপাদনশীলতা হ্রাস বায়ু দূষণের ফলে শ্রমিকদের শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ইত্যাদি রোগ হতে পারে, যার ফলে তাদের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। বায়ু দূষণের ফলে শ্রমিকদের শ্বাসতন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে, যার ফলে তাদের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়। উদাহরণস্বরূপ, বায়ু দূষণের ফলে ভারতের কলকাতায় শিল্প-কারখানার উৎপাদনশীলতা হ্রাস পেয়েছে। কর্মসংস্থান হ্রাস প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যেতে পারে, যার ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং শিল্প-কারখানার ক্ষতি হয়, যার ফলে সেগুলি বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে কর্মসংস্থান হ্রাস পায়। উদাহরণস্বরূপ, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, যার ফলে সেখানকার অনেক শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পেয়েছিল। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য সরকার, ব্যবসায়ী এবং জনগণের একসাথে কাজ করতে হবে। সরকারের পদক্ষেপ পরিবেশ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন জনসচেতনতা বৃদ্ধি ব্যবসায়ীদের পদক্ষেপ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা জনগণের পদক্ষেপ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা

পরিবেশ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন সরকারের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল পরিবেশ আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন। পরিবেশ আইনের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ এবং অপব্যবহার রোধ করা সম্ভব। পরিবেশ আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করা উচিত: আইনটি অবশ্যই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য যথেষ্ট কঠোর হওয়া উচিত। আইনটি অবশ্যই বাস্তবায়নযোগ্য হওয়া উচিত। আইনটি অবশ্যই সকলের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়ন সরকার পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে। এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে: বনায়ন প্রকল্প জল সংরক্ষণ প্রকল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পরিবেশ শিক্ষা প্রকল্প জনসচেতনতা বৃদ্ধি পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য জনসচেতনতা

বৃদ্ধি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জনগণকে পরিবেশের গুরুত্ব এবং পরিবেশ রক্ষার উপায়গুলি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা ব্যবসায়ীদের পদক্ষেপ পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব। পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে: সৌরশক্তি ব্যবহার বায়ুশক্তি ব্যবহার জলবিদ্যুৎ ব্যবহার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রমে দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। দূষণ রোধের জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: কারখানা থেকে নির্গত দূষিত বর্জ্য পরিশোধন করা জল দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বায়ু দূষণ রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা ব্যবসায়ীরা পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে পারেন। সরকারের পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগগুলি বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের সহায়তা করা উচিত। জনগণের পদক্ষেপ পরিবেশবান্ধব জীবনযাপন জনগণ তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে পরিবেশবান্ধব উপায়গুলি অনুসরণ করতে পারেন। পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের মাধ্যমে দূষণ কমানো সম্ভব। পরিবেশবান্ধব জীবনযাপনের মধ্যে রয়েছে: বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা জল সাশ্রয় করা যানবাহন ব্যবহার কমানো রিসাইকেলিং করা পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি করা দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি জনগণকে পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা যেতে পারে: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচারণা চালানো পরিবেশ দূষণ রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা পরিবেশ দূষণ রোধে জনগণের মধ্যে প্রতিবাদী মনোভাব গড়ে তোলা পরিবেশ সংরক্ষণে সহযোগিতা জনগণ পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে পারেন। সরকারের পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগগুলি বাস্তবায়

Link copied