মুদ্রাস্ফীতি কেন এটি ঘটছে এবং কীভাবে এটি আপনার জীবনকে প্রভাবিত করছে?

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৩:৩২ মিনিট


পোস্ট ফটো

মুদ্রাস্ফীতি একটি অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যেখানে পণ্য এবং পরিষেবার দাম সাধারণভাবে সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়। মুদ্রাস্ফীতির হার সাধারণত শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয়, উদাহরণস্বরূপ, "মুদ্রাস্ফীতি 5%।" এর মানে হল যে এক বছরের মধ্যে পণ্য এবং পরিষেবার দাম গড়ে 5% বৃদ্ধি পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির একটি উদাহরণ হল যদি আপনি গত বছর একটি লিটার দুধের জন্য 100 টাকা দিতেন, তবে আজ আপনাকে একই পরিমাণ দুধের জন্য 105 টাকা দিতে হবে।

অর্থাৎ, মুদ্রাস্ফীতির কারণে আপনার ক্রয় ক্ষমতা 5% হ্রাস পেয়েছে। মুদ্রাস্ফীতির একটি উদ্বেগজনক বিষয় কারণ এটি মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে, একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কম পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যায়। এটি বিশেষ করে গড় আয়ের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। মুদ্রাস্ফীতির কারণগুলির মধ্যে রয়েছে: চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য: যখন চাহিদা পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তখন দাম বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি নতুন পণ্য বা পরিষেবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তাহলে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং দামও বৃদ্ধি পাবে। খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য: যখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা পণ্য এবং পরিষেবার দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। অর্থ সরবরাহ: যখন সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়ায়, তখন মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। এর কারণ হল, যখন অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, তখন সেই অর্থের মান হ্রাস পায়।

এটি কারণ একই পরিমাণ অর্থের জন্য আরও পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি বিভিন্ন উপায়ে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে: ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কম পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যায়। এটি বিশেষ করে গড় আয়ের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। আয়ের সমান হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, বেতন এবং অন্যান্য আয়ের উৎসগুলির মান হ্রাস পায়। এর কারণ হল, একই পরিমাণ আয় দিয়ে কম পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। বিনিয়োগের মূল্যের হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, সম্পত্তি এবং অন্যান্য বিনিয়োগের মূল্য হ্রাস পায়। এর কারণ হল, মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মান হ্রাস পায়।

মুদ্রাস্ফীতি একটি গুরুতর সমস্যা যা মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। সরকার এবং ব্যবসাগুলি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সরকার সুদের হার বাড়াতে পারে, যা বিনিয়োগকে কম আকর্ষণীয় করে তোলে এবং অর্থ সরবরাহকে হ্রাস করতে পারে। ব্যবসাগুলিও তাদের উৎপাদন ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ নিতে পারে, যা দাম বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির ভবিষ্যৎ পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। কিছু অর্থনীতিবিদ মনে করেন যে মুদ্রাস্ফীতি একটি ক্ষণস্থায়ী সমস্যা। অন্যরা মনে করেন যে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হতে পারে।

মুদ্রাস্ফীতির প্রধান তিনটি কারণ হল: চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য: যখন চাহিদা পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তখন দাম বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি নতুন পণ্য বা পরিষেবা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, তাহলে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে এবং দামও বৃদ্ধি পাবে। খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য: যখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পায়, তাহলে পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাবে, যা পণ্য এবং পরিষেবার দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে।

অর্থ সরবরাহ: যখন সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়ায়, তখন মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। এর কারণ হল, যখন অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়, তখন সেই অর্থের মান হ্রাস পায়। এটি কারণ একই পরিমাণ অর্থের জন্য আরও পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব মুদ্রাস্ফীতি বিভিন্ন উপায়ে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে: ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, একই পরিমাণ অর্থ দিয়ে কম পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যায়। এটি বিশেষ করে গড় আয়ের মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, কারণ তারা প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত। আয়ের সমান হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, বেতন এবং অন্যান্য আয়ের উৎসগুলির মান হ্রাস পায়।

এর কারণ হল, একই পরিমাণ আয় দিয়ে কম পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। বিনিয়োগের মূল্যের হ্রাস: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, সম্পত্তি এবং অন্যান্য বিনিয়োগের মূল্য হ্রাস পায়। এর কারণ হল, মুদ্রাস্ফীতির কারণে অর্থের মান হ্রাস পায়। ঋণের বোঝা বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতির কারণে, ঋণের মূল্য বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, ঋণের পরিমাণ একই থাকে, কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে সেই অর্থের মান হ্রাস পায়। অর্থনৈতিক অস্থিরতা বৃদ্ধি: মুদ্রাস্ফীতি অর্থনীতিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এর কারণ হল, মানুষ তাদের আয় এবং সম্পদের মান হ্রাসের বিষয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার এবং ব্যবসাগুলি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে পারে। সরকার: সরকার সুদের হার বাড়াতে পারে, যা বিনিয়োগকে কম আকর্ষণীয় করে তোলে এবং অর্থ সরবরাহকে হ্রাস করতে পারে।

সরকার মুদ্রা সরবরাহকেও সীমিত করতে পারে। ব্যবসাগুলি: ব্যবসাগুলি তাদের উৎপাদন ব্যয় কমাতে পদক্ষেপ নিতে পারে, যা দাম বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করতে পারে। ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম কমাতেও পারে, তবে এটি তাদের মুনাফা হ্রাস করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি একটি জটিল সমস্যা এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সরকার এবং ব্যবসাগুলির সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যখন চাহিদা পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তখন দাম বৃদ্ধি পায়। চাহিদা বৃদ্ধি হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন: জনসংখ্যা বৃদ্ধি: যখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। আয় বৃদ্ধি: যখন মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়, তখন তারা আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। ঋণের সহজলভ্যতা: যখন ঋণ সহজলভ্য হয়, তখন মানুষ আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। সরবরাহ হ্রাসও চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধ সরবরাহ হ্রাস করতে পারে, যা চাহিদা বৃদ্ধির সাথে মিলিত হলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য মুদ্রাস্ফীতির আরেকটি কারণ। যখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন: শ্রম খরচ বৃদ্ধি: যখন মজুরি বৃদ্ধি পায়, তখন শ্রম ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করে।

কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি: যখন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি: যখন পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। অর্থ সরবরাহ অর্থ সরবরাহ মুদ্রাস্ফীতির একটি কারণ হতে পারে। যখন সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়ায়, তখন সেই অর্থের মান হ্রাস পায়। এর কারণ হল, একই পরিমাণ অর্থের জন্য আরও পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। অর্থ সরবরাহ বাড়ানোর কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেমন: অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করা: অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার জন্য সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে। ঋণ কমানো: সরকারের ঋণ কমাতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে। অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করা: অন্যান্য দেশের মুদ্রা মূল্যবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে।

আরও বিস্তারিত চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য, খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য এবং অর্থ সরবরাহের পাশাপাশি, মুদ্রাস্ফীতির অন্যান্য কারণও রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে: অর্থনৈতিক দুর্বলতা: অর্থনৈতিক দুর্বলতা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে কারণ এটি ব্যবসাগুলিকে তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য করতে পারে। রাজনৈতিক অস্থিরতা: রাজনৈতিক অস্থিরতা মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে কারণ এটি ব্যবসাগুলিকে তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য করতে পারে। কৃত্রিম নিয়ন্ত্রণ: সরকার দ্বারা কৃত্রিমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা দাম মুদ্রাস্ফীতি বাড়াতে পারে কারণ এটি চাহিদা এবং সরবরাহের স্বাভাবিক ভারসাম্যকে ব্যাহত করতে পারে। মুদ্রাস্ফীতি একটি জটিল সমস্যা এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। সরকার এবং ব্যবসাগুলির সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন।

চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্য মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে সাধারণ কারণ। যখন চাহিদা পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহের চেয়ে বেশি হয়, তখন দাম বৃদ্ধি পায়। চাহিদা বৃদ্ধি হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন: জনসংখ্যা বৃদ্ধি: যখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। আয় বৃদ্ধি: যখন মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়, তখন তারা আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। ঋণের সহজলভ্যতা: যখন ঋণ সহজলভ্য হয়, তখন মানুষ আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি জনসংখ্যা বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির একটি সাধারণ কারণ। যখন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তখন পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদাও বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল, আরও বেশি মানুষ পণ্য এবং পরিষেবা কেনার জন্য বাজারে আসে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দেশের জনসংখ্যা 10% বৃদ্ধি পায়, এবং পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহ একই থাকে, তাহলে দাম 10% বৃদ্ধি পাবে। আয় বৃদ্ধি আয় বৃদ্ধিও মুদ্রাস্ফীতির একটি কারণ। যখন মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়, তখন তারা আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। 

উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দেশের মানুষের গড় আয় 10% বৃদ্ধি পায়, এবং পণ্য এবং পরিষেবার সরবরাহ একই থাকে, তাহলে দাম 10% বৃদ্ধি পাবে। ঋণের সহজলভ্যতা ঋণের সহজলভ্যতাও মুদ্রাস্ফীতির একটি কারণ। যখন ঋণ সহজলভ্য হয়, তখন মানুষ আরও বেশি পণ্য এবং পরিষেবা কিনতে সক্ষম হয়, যা চাহিদা বৃদ্ধি করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দেশের ঋণ সুদের হার 10% হ্রাস পায়, তাহলে মানুষ আরও বেশি ঋণ নিতে উৎসাহিত হয়। এটি পণ্য এবং পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি করে, যা দাম বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করতে পারে। সরবরাহ হ্রাস সরবরাহ হ্রাসও চাহিদা-পাওয়ার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যুদ্ধ সরবরাহ হ্রাস করতে পারে, যা চাহিদা বৃদ্ধির সাথে মিলিত হলে মুদ্রাস্ফীতি হতে পারে। খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য খরচ-প্রবাহ ভারসাম্য মুদ্রাস্ফীতির আরেকটি কারণ। যখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়, তখন ব্যবসাগুলি তাদের পণ্য এবং পরিষেবার দাম বাড়াতে বাধ্য হয়। উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি হতে পারে বিভিন্ন কারণে, যেমন: শ্রম খরচ বৃদ্ধি: যখন মজুরি বৃদ্ধি পায়, তখন শ্রম ব্যয় বৃদ্ধি পায়, যা উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি করে। কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি: যখন কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। পরিবহন খরচ বৃদ্ধি: যখন পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পায়, তখন উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দেশের মজুরি 10% বৃদ্ধি পায়, এবং উৎপাদন ব্যয়ের অন্যান্য উপাদানগুলি একই থাকে, তাহলে পণ্য এবং পরিষেবার দাম গড়ে 10% বৃদ্ধি পাবে।

অর্থ সরবরাহ মুদ্রাস্ফীতির একটি কারণ হতে পারে। যখন সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়ায়, তখন সেই অর্থের মান হ্রাস পায়। এর কারণ হল, একই পরিমাণ অর্থের জন্য আরও পণ্য এবং পরিষেবা কেনা যেতে পারে। অর্থ সরবরাহ বাড়ানোর কয়েকটি কারণ রয়েছে, যেমন: অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করা: অর্থনীতিকে উদ্দীপিত করার জন্য সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে। ঋণ কমানো: সরকারের ঋণ কমাতে অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে। অন্যান্য দেশের সাথে প্রতিযোগিতা করা: অন্যান্য দেশের মুদ্রা মূল্যবৃদ্ধির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য সরকার অর্থ সরবরাহ বাড়াতে পারে।

Link copied